বুধবার, ৫ এপ্রিল, ২০২৩ ০০:০০ টা

১০ বার সতর্ক করে ফায়ার সার্ভিস

নিজস্ব প্রতিবেদক

অগ্নিনিরাপত্তার দিক থেকে চার বছর আগেই রাজধানীর বঙ্গবাজার মার্কেটকে ‘খুবই ঝুঁকিপূর্ণ’ হিসেবে চিহ্নিত করেছিল ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্স। এ-সংক্রান্ত একটি সতর্কতামূলক ব্যানারও টানিয়ে দেওয়া ছিল মার্কেটটির সামনে। মার্কেটটির সামনে টানানো সতর্কীকরণ ব্যানারে লেখা হয়েছিল, ‘অগ্নি নিরাপত্তার দিক থেকে বঙ্গবাজার খুবই ঝুঁকিপূর্ণ। তাই সবাইকে এ বিষয়ে সতর্ক হওয়ার জন্য অনুরোধ করা হলো।’

গতকাল বঙ্গবাজার মার্কেটে অগ্নিকান্ডে ক্ষুব্ধ প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করেছেন ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্সের মহাপরিচালক (ডিজি) ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মো. মাইন উদ্দিন। তিনি বলেন, ২০১৯ সালের ২ এপ্রিল এই ভবনটি অত্যন্ত ঝুঁকিপূর্ণ হিসেবে ঘোষণা করা হয়েছিল। এরপর ১০ বার নোটিস দেওয়া হয়েছিল। ব্যানার টানানো হয়েছিল। ফায়ার সার্ভিসের পক্ষ থেকে যা যা করা সম্ভব ছিল, আমরা করেছি। তার পরও এখানে ব্যবসা চলছে। ফায়ার সার্ভিস সূত্রে জানা গেছে, ডিএনসিসি মার্কেটে ২০১৭ সালের অগ্নিকান্ডের পর ঢাকার মার্কেটগুলো নিয়ে জরিপ চালানো হয়। জরিপ শেষে বিভিন্ন মার্কেটের ত্রুটিগুলো জানিয়ে ব্যবস্থা নিতে চিঠি দেওয়া হয়। ২০১৮ সালে আবারও জরিপ করে তেমন কোনো উন্নতি দেখা যায়নি। ফলে মার্কেটগুলোকে আবারও সতর্ক করা হয়। এরপর ক্রমাগত বঙ্গবাজারকে দেওয়া হয় নোটিস ও চিঠি। কিন্তু এতেও টনক নড়েনি কারও। জানা যায়, আইন অনুযায়ী দুর্ঘটনা রোধে মার্কেটের অবস্থান, ব্যবহৃত ফ্লোরের আয়তন, সাধারণ সিঁড়ির প্রশস্ততা, অগ্নিনির্বাপণ কাজে সিঁড়ির ব্যবস্থা, জরুরি প্রস্থানের সিঁড়ির সংখ্যা, প্রতি তলায় সেফটি লবির ব্যবস্থা নিশ্চিত করার কথা রয়েছে। একই সঙ্গে বৈদ্যুতিক তারে কনসিল ওয়্যারিং থাকা, বৈদ্যুতিক মেইন সুইচ বক্স ও ডিমান্ড বক্সের নিরাপদ অবস্থানে থাকা এবং প্রতি পয়েন্টে ৫ কেজি পরিমাণের সিওটু ফায়ার এক্সটিংগুইসার সংরক্ষণ করা, স্মোক ও হিট ডিটেক্টর রাখা এবং মার্কেটের ব্যবসায়ী ও কর্মীদের নিয়মিত অগ্নিদুর্ঘটনা প্রতিরোধে প্রশিক্ষণ করানোর কথা রয়েছে। কিন্তু এসব নিয়ম মানার পরিবর্তে বঙ্গবাজারে ছিল ঘিঞ্জি পরিবেশ। এমনকি অগ্নি নিরাপত্তা বিষয়ে প্রতিবেদন করতে গিয়ে এই মার্কেটে সাংবাদিক নির্যাতনের ঘটনাও ঘটেছে।

সর্বশেষ খবর