শিরোনাম
শনিবার, ৮ এপ্রিল, ২০২৩ ০০:০০ টা

চট্টগ্রামে পাহাড় কাটার সময় ধস নিহত ১

নিজস্ব প্রতিবেদক, চট্টগ্রাম

চট্টগ্রামে পাহাড় কেটে রাস্তা তৈরির সময় ধসে পড়ে একজন নিহত এবং মাটির নিচে চাপা পড়ে নিখোঁজ রয়েছেন আরও কয়েকজন। নিহত ওই ব্যক্তির নাম খোকা (৪৫)। গতকাল সন্ধ্যা ৬টায় নগরীর আকবর শাহ থানাধীন বেলতলিঘোলা এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।

চট্টগ্রাম জেলা প্রশাসনের সিনিয়র সহকারী কমিশনার তৌহিদুল ইসলাম বলেন, জেলা প্রশাসনের আবুল বাশার মোহাম্মদ ফখরুজ্জামান পাহাড়ধস এলাকায় অবস্থান করে সবকিছু তদারকি করছেন। সরেজমিন আমরা একজন নিহত ও তিনজনকে আহত অবস্থায় উদ্ধার করেছি। এখনো উদ্ধারকাজ চলছে। জেলা প্রশাসক নিহতের দাফনের জন্য নগদ ২৫ হাজার টাকা প্রদান করবেন এবং আহতদের চিকিৎসার ব্যয়ভার গ্রহণ করবেন। আকবর শাহ থানার ওসি ওয়ালী উদ্দিন আকবর বলেন, পাহাড় কেটে রাস্তা তৈরির সময় শ্রমিকদের ওপর ধসে পড়ে পাহাড়ের মাটি। এতে মাটির নিচে চাপা পড়েন শ্রমিকদের কয়েকজন। ঘটনার সঙ্গে সঙ্গে স্থানীয় লোকজন উদ্ধার অভিযান শুরু করে। পরে ফায়ার সার্ভিস উদ্ধারকাজে যোগ দেয়। চট্টগ্রাম ফায়ার স্টেশন অফিসার এনামুল হক বলেন, ফায়ার সার্ভিস উদ্ধার অভিযান শুরু করে একজনকে উদ্ধার করে চমেক হাসপাতালে পাঠিয়েছে। উদ্ধারকাজ শেষ না হওয়া পর্যন্ত কিছু বলা যাচ্ছে না। ঘটনার প্রত্যক্ষদর্শী হাফিজুল ইসলাম বলেন, রাস্তা তৈরির জন্য পাহাড় কেটে রিটেইনিং ওয়াল তৈরি করছিলেন ১০ জনের অধিক শ্রমিক। ইফতারের আগে বিকট শব্দে পাহাড় ধসে পড়ে শ্রমিকদের ওপর। এতে মাটির নিচে চাপা পড়ে শ্রমিকরা। স্থানীয় লোকজন পাঁচ শ্রমিককে উদ্ধার করে। যার মধ্যে খোকা নামে একজন নিহত হন। চমেক হাসপাতালের পুলিশ ফাঁড়ির এসআই নুরুল আলম বলেন, পাহাড় ধসের ঘটনায় আহত খোকাকে হাসপাতালে আনা হলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন। স্থানীয়দের অভিযোগ, আকবর শাহ এলাকায় প্রতিদিনই পাহাড় কেটে নতুন নতুন প্লট তৈরি করে আসছে কয়েকটি সংঘবদ্ধ চক্র। যার মধ্যে একটি চক্রের নেতৃত্বে রয়েছেন স্থানীয় ওয়ার্ড কাউন্সিলর জহুরুল আলম ওরফে জসিম ও তার স্ত্রী তাসলিমা বেগম। জসিম ও তার স্ত্রীর বিরুদ্ধে তিনটি মামলা দায়ের করেছে পরিবেশ অধিদফতর। তার পরও থামানো যায়নি জসিম ও তার স্ত্রীকে।

তদন্ত কমিটি গঠন : আকবর শাহ এলাকায় পাহাড় ধসের ঘটনা তদন্তে ছয় সদস্যের কমিটি গঠন করে জেলা প্রশাসন। অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট রাকিব হাসানকে এ কমিটির প্রধান করা হয়। তদন্ত কমিটিকে পাঁচ কর্মদিবসের মধ্যে প্রতিবেদন দেওয়ার নির্দেশনা দেওয়া হয়।

সর্বশেষ খবর