বৃহস্পতিবার, ১৩ এপ্রিল, ২০২৩ ০০:০০ টা

বিএনপি মাইক লাগিয়ে মিথ্যা বলে যাচ্ছে : প্রধানমন্ত্রী

♦ আওয়ামী লীগ কখনো অন্যভাবে ক্ষমতায় আসেনি ♦ দেশি-বিদেশি চক্রান্তে নেতা-কর্মীদের সতর্ক থাকার পরামর্শ

নিজস্ব প্রতিবেদক

আওয়ামী লীগ সভানেত্রী প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, বিএনপি বা জাতীয় পার্টি সব দল, এরা তো আর মাটি-মানুষ থেকে উঠে আসে নাই। এক মিলিটারি ডিক্টেটর ক্ষমতা দখল করে তার পকেট থেকে একটা দল বের করে দিয়েছে, সেটা নিয়ে তারা চেঁচামেচি করে যাচ্ছে। প্রতিদিন মাইক লাগিয়ে মিথ্যা কথা বলেই যাচ্ছে। রোজা রমজানের দিন এত মিথ্যা কথা বলে যাচ্ছে কেন? আমি তা-ও বুঝতে পারছি না। একটু তো রয়ে সয়ে বলা উচিত। কোনো উন্নতিই নাকি তারা দেখে না চোখে। গতকাল গণভবনে আওয়ামী লীগের বিভিন্ন জেলার নেতা-দলীয় এমপিদের সঙ্গে মতবিনিময়কালে তিনি এ কথা বলেন। আগামী নির্বাচনে দলীয় নেতা-কর্মীদের সতর্ক ও সজাগ থাকার আহ্বান জানিয়ে শেখ হাসিনা বলেন, সামনের নির্বাচন ঘিরে দেশের ভিতর ও আন্তর্জাতিক চক্রান্ত হবে। কারণ একটা দেশ এত দ্রুত উন্নতি করুক, অনেকে তো এটা চায় না। কাজেই তারা তাদের দিক থেকে বাংলাদেশের বিরুদ্ধে কাজ করেই যাচ্ছে। তিনি বলেন, বাংলাদেশের যে অগ্রযাত্রা, এটা যেন অব্যাহত থাকে, সেটা মাথায় রেখে আমাদের কাজ করতে হবে।

দেশের মানুষই আমার পরিবার : দেশের জনগণ ও আওয়ামী লীগের নেতা-কর্মীদের প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করে বঙ্গবন্ধুকন্যা শেখ হাসিনা বলেন, প্রকৃতপক্ষে বাংলাদেশের মানুষই আমার পরিবার। আর আমি যেটুকু করি বাংলাদেশের মানুষের জন্যই করি। আপনজন সব হারানোর পর এ দেশের মানুষই কিন্তু আমাকে আশ্রয় দিয়েছে। তিনি বলেন, আওয়ামী লীগের নেতা-কর্মী তাদের প্রতি আমার কৃতজ্ঞতা জানাই এ জন্য যে, তারা পাশে ছিল বলেই দেশের মানুষের জন্য কাজ করতে পারছি। শেখ হাসিনা বলেন, আমরা মানুষের জন্য কাজ করেছি, মানুষ আমাদের ভোট দেয়। সেটা হচ্ছে বাস্তব কথা। কাজেই এখানে আমাদের ভোট চুরি করা লাগে না, ভোটে কোনো কিছু করাও লাগে না। তিনি বলেন, জনগণের সেবা করে জনগণের আস্থা অর্জন করেই আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় আসে। আওয়ামী লীগ কিন্তু অন্যভাবে কখনো ক্ষমতায় আসে নাই। সব সময় ভোটের মাধ্যমে এসেছে। শেখ হাসিনা বলেন, যারা (বিএনপি) এখন মাইক লাগিয়ে সারা দিন কথা বলে সত্য মিথ্যা দিয়ে। তাদের তো ক্ষমতায় আসাই হচ্ছে বন্দুকের নলে। অবৈধভাবে ক্ষমতা দখলের মাধ্যমে। এ জন্য জনগণ তাদের প্রত্যাখ্যান করে।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, ২০০৮-এর নির্বাচনে বিএনপি পেয়েছিল মাত্র ২৯টা সিট। সে নির্বাচন নিয়ে তো কেউ প্রশ্ন তুলতে পারে নাই। তাদের অবস্থান তো সেখানেই নির্দিষ্ট। তারপরও আমরা দেশে উন্নয়নের কাজ করেই দেশকে এত উন্নত করতে পেরেছি। আজকে আমরা এটাই শুকরিয়া আদায় করি।

সংগঠন হিসেবে আওয়ামী লীগকে আরও শক্তিশালী করার ওপর গুরুত্বারোপ করে শেখ হাসিনা বলেন, আওয়ামী লীগ সংগঠনটা আরও শক্তিশালী হবে, সেটা আমরা চাই। আর আগামী নির্বাচনও আমাদের সামনে, সেটা মাথায় রেখে কাজ করতে হবে। তিনি বলেন, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান আমাদের স্বাধীনতা এনে দিয়েছেন। কাজেই আমরা জাতির পিতার সেই আদর্শ মেনেই দেশ এবং দেশের মানুষের উন্নতির জন্য কাজ করে যাচ্ছি। দেশে দরিদ্র ও অতিদরিদ্র মানুষ কমেছে জানিয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেন, গতকাল (মঙ্গলবার) একনেকে আমাদের পরিকল্পনামন্ত্রী সারা বাংলাদেশের সার্ভে রিপোর্ট পেশ করলেন। সেখানে বললেন, আমাদের দারিদ্র্যসীমা ২০০৬ সালে ৪১ ভাগ ছিল, আজকে সেটা ১৮ ভাগে নেমে এসেছে। তো আমি বললাম আরও ২-৩ ভাগ যাতে তাড়াতাড়ি কমাতে পারি, সেটা আমরা চেষ্টা করব। আর অতিদরিদ্রের হার যেটা প্রায় ২৫ ভাগ ছিল সেটা ৫ ভাগে নেমে এসেছে। এটা মাথায় রেখে আমাদের আরও সামনে কাজ করতে হবে দেশের মানুষের জন্য, যে একটা মানুষ গৃহহীন থাকবে না, ভূমিহীন থাকবে না।

ভূমিহীন মানুষকে খুঁজে পেতে আওয়ামী লীগের নেতা-কর্মীদের কাজ করার আহ্বান জানিয়ে শেখ হাসিনা বলেন, প্রত্যেকের অঞ্চলে খোঁজ করবেন কোনো পরিবার নিঃস্ব আছে কি না, ভূমিহীন আছে কি না। কেউ ভূমিহীন থাকবে না এই দেশে।

পারিবারিক কমিটি নয় : বৈঠক সূত্র জানায়, বৈঠকে খুলনা, টাঙ্গাইল, সুনামগঞ্জ, চট্টগ্রাম দক্ষিণ ও উত্তর, পিরোজপুর, কুড়িগ্রাম, রাঙামাটিসহ বিভিন্ন জেলা নেতা-এমপি, দলীয় চেয়ারম্যানসহ নেতা-কর্মীরা উপস্থিত ছিলেন। দুপুর ১২টার দিকে বৈঠক শুরু হয়ে প্রায় ৩টায় শেষ হয়। রুদ্ধদ্বার বৈঠকে সুনামগঞ্জ জেলা আওয়ামী লীগের নবনির্বাচিত সভাপতি নুরুল হুদা মুকুটের বিরুদ্ধে অভিযোগ করেন সুনামগঞ্জ থেকে আগত প্রবীণ নেতারা। তারা বলেন, নুরুল হুদা মুকুট জামায়াত এবং রাজাকারের পরিবারের সন্তান। সে দুটি জেলা পরিষদ নির্বাচনে বিদ্রোহী প্রার্থী হয়েছিল। তারপরও তাকে জেলা সভাপতি করা হয়েছে। সে এখন নিজের পছন্দমতো কমিটি গঠনের চেষ্টা করছে। এ সময় আওয়ামী লীগ সভানেত্রী প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, নুরুল হুদা মুকুট তো দীর্ঘদিন ধরেই আওয়ামী লীগ করে। প্রথমে যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক, সহসভাপতিও ছিলেন। তখন তো তাকে নিয়ে কথা ওঠেনি। এ সময় জেলার নেতারা বলেন, তখন বড় কোনো পদ পায়নি বলে এ নিয়ে কথা বলা হয়নি। এ সময় আওয়ামী লীগ সভানেত্রী বলেন, আগে সোচ্চার হতেন, এখন কথা বলে লাভ কী? কারা তাকে দলে নিয়েছে? রাঙামাটি থেকে আসা জেলা নেতারা অভিযোগ করেন, জেলার নেতার পছন্দের লোক, পরিবারের লোক দিয়ে কমিটি গঠন চলছে। দলের পুরনো কর্মীদের বাদ দেওয়া হচ্ছে। এ সময় শেখ হাসিনা বলেন, একপেশে কমিটি হবে না। যারা দীর্ঘ সময় ধরে দল করে, ছাত্রলীগের রাজনীতি করেছে তাদেরই কমিটিতে রাখতে হবে। কোনো পারিবারিক কমিটি গঠন চলবে না।

টিম জেতাতে লোক হায়ার করি : সাতকানিয়া-লোহাগড়া থেকে নেতা-কর্মীরা স্থানীয় এমপি আবু রেজা নিজামউদ্দিন নদভীর বিরুদ্ধে দলীয় নেতা-কর্মীদের হামলা-মামলা দিয়ে ঘরছাড়া করা, পুলিশ দিয়ে হয়রানি করার অভিযোগ করেন। নদভী জামায়াত থেকে আগত, তাই তাকে দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে দলীয় মনোনয়ন না দিতে দলীয় সভানেত্রীর কাছে অনুরোধ করেন তারা। এ আসনে দলের অনেক ত্যাগী নেতা-কর্মী রয়েছে উল্লেখ করেন স্থানীয়রা। এ সময় নদভীর প্রসঙ্গে শেখ হাসিনা বলেন, ফুটবল টিমে কী হয়? টিম যদি দুর্বল হয়, তাহলে সেই টিমকে বিজয়ী করতে অন্য দল থেকে প্লেয়ার হায়ার করে আনা হয়। আমিও তাই করেছি। আমি ওকে অন্য দল থেকে হায়ার করে এনেছি। দলীয় নেতা-কর্মীদের বিরুদ্ধে হামলা-মামলার বিষয়ে আমি অবশ্যই ওকে ডেকে নিয়ে জিজ্ঞাসা করব। তাকে ধরব। কিন্তু সবাইকে ঐক্যবদ্ধভাবে কাজ করতে হবে। আর সেখানে অবশ্যই আমাদের দলের অনেক যোগ্য লোক আছে। কিন্তু কখনো কখনো ছাড় দিতে হয়। এখন ঐক্যবদ্ধ থাকতে হবে।

সফিকের বিরুদ্ধে নোট নাও : আওয়ামী লীগের বর্তমান কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য সাখাওয়াত হোসেন সফিক। বিগত কমিটিতে দলের সাংগঠনিক সম্পাদক পদে ছিলেন। গত কমিটিতে অনেকটা চমক হিসেবেই তার আগমন হয় দলে। রংপুর বিভাগের দায়িত্ব পালন করতে গিয়ে অনেক ত্যাগী নেতা-কর্মীকে বাদ দিয়ে হাইব্রিডদের নিয়ে চলতেন বলে অভিযোগ আছে। কুড়িগ্রাম থেকে আমজাদ হোসেন নামের এক প্রবীণ আওয়ামী লীগ নেতা বলেন, নেত্রী বিগত দিনে আপনার কাছে একটা চিঠি লিখেছিলাম। তৎকালীন সাংগঠনিক সম্পাদক সাখাওয়াত হোসেন সফিক আপনার নাম নিয়ে আমাকে ভর্ৎসনা করেছে। তিনি বলেন, আমি চিঠি লেখার কারণে আপনি নাকি আমাকে তিরস্কার করেছিলেন। এ সময় আওয়ামী লীগের প্রচার সম্পাদক আবদুস সোবহান গোলাপ ও দফতর সম্পাদক ব্যারিস্টার বিপ্লব বড়–য়াসহ প্রধানমন্ত্রীর ব্যক্তিগত স্টাফদের উদ্দেশে বলেন, তোমরা বিষয়টির নোট নাও। সফিকের সঙ্গে কখনো এ ধরনের কথাই হয়নি। সে কেন প্রবীণ নেতাদের এসব বলবে? আমজাদ হোসেনকে উদ্দেশ করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, আমি কেন আপনাকে তিরস্কার করব? ১৯৮১ সালে যখন দেশে ফিরে আসি, তখন তো আপনাদেরই পেয়েছিলাম। তখন তো এত নেতা ছিল না। আপনারাই তো আমার শক্তি। বরিশাল বিভাগে বাড়ি। ছিলেন ছাত্রলীগের কেন্দ্রীয় সাবেক সাধারণ সম্পাদক। তিনি দলীয় সভানেত্রীর দৃষ্টি আকর্ষণ করে বক্তব্য শুরু করেন। এ সময় হাসতে হাসতে শেখ হাসিনা বলেন, এই ‘কচিকাঁচারা’ তোমাদের আবার কথা কীসের? বসো। এ সময় ওই নেতা বলেন, নেত্রী আমার কমিটির অনেককে কেন্দ্রীয় নেতা বানিয়েছেন, এমপি বানিয়েছেন-এটা আমার ভালোই লাগে। আমাকেও কয়েকবার মনোনয়ন দিয়েছেন, কিন্তু জোটের কারণে আবার ছেড়েও দিতে বলেছেন। এ সময় প্রধানমন্ত্রী বলেন, প্রয়োজনে সামনেও তাই বলব।’

আওয়ামী লীগ সরকার সব ধর্মের মানুষের অধিকার নিশ্চিত করতে কাজ করে : দলীয় নেতা-কর্মীদের সঙ্গে বৈঠকের আগে বাংলাদেশ হিন্দু, বৌদ্ধ, খ্রিস্টান ঐক্য পরিষদের নেতৃবৃন্দ গণভবনে বৈঠক করেন প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে। এ সময় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, তাঁর দল আওয়ামী লীগ যখনই সরকারে থাকে, সব ধর্মীয় বিশ্বাসের মানুষের অধিকার নিশ্চিত করতে সব সময় কাজ করে। প্রধানমন্ত্রী নেতৃবৃন্দকে বলেন, ধর্ম যার যার কিন্তু উৎসব সবার। তিনি বলেন, তাঁর সরকার বঙ্গবন্ধুর আদর্শ ও মুক্তিযুদ্ধের চেতনা বাস্তবায়ন করে দেশকে এগিয়ে নিয়ে যাচ্ছে।

বাংলাদেশ হিন্দু, বৌদ্ধ, খ্রিস্টান ঐক্য পরিষদের সাধারণ সম্পাদক রানা দাশগুপ্তের নেতৃত্বে বৈঠকে নেতৃবৃন্দ বলেন, দেশে চাকরি, নিয়োগ, পদোন্নতির মতো সব ক্ষেত্রে বৈষম্য দূর হয়েছে। তারা বিভিন্ন ধর্মের মানুষ স্বাধীনভাবে তাদের ধর্মীয় রীতি পালন করায় প্রধানমন্ত্রীকে ধন্যবাদ জানান।

প্রতিবেশীর সঙ্গে সুসম্পর্ককে অগ্রাধিকার দেয় বাংলাদেশ : বাংলাদেশ প্রতিবেশী দেশগুলোর সঙ্গে সুসম্পর্ককে খুবই অগ্রাধিকার দেয় বলে জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। গতকাল গণভবনে ঢাকায় নিযুক্ত শ্রীলঙ্কার হাইকমিশনার প্রফেসর সুদর্শন ডি এস সেনেভিরত্নের সঙ্গে বিদায়ী সাক্ষাতে এ কথা বলেন প্রধানমন্ত্রী। পরে প্রধানমন্ত্রীর প্রেস সচিব ইহসানুল করিম সাংবাদিকদের ব্রিফ করেন। প্রধানমন্ত্রী বলেন, বাংলাদেশ প্রতিবেশী দেশগুলোর সঙ্গে সুসম্পর্ককে সর্বাধিক অগ্রাধিকার দেয়। বিশেষ করে শ্রীলঙ্কার সঙ্গে সম্পর্ককে। শ্রীলঙ্কার সঙ্গে বাংলাদেশের সম্পর্ক ঐতিহাসিক। বিনিয়োগ, কৃষি, মৎস্য আহরণ, ওষুধ, মেরিটাইম কানেকটিভিটি এবং উচ্চশিক্ষাসহ বিভিন্ন ক্ষেত্রে বাংলাদেশে ও শ্রীলঙ্কার মধ্যে দ্বিপক্ষীয় সম্পর্ক জোরদার করার কথা উল্লেখ করেন তিনি। বাংলাদেশের উন্নয়ন প্রসঙ্গে শেখ হাসিনা বলেন, তাঁর সরকার অভ্যন্তরীণ তহবিল থেকে দেশের ৯০ শতাংশ উন্নয়ন কর্মসূচি বাস্তবায়ন করছে। কভিড-১৯ মহামারি পরিস্থিতির কারণে দেশের উন্নয়ন প্রক্রিয়া বাধাগ্রস্ত হয়েছে। বাংলাদেশ এখন ঘুরে দাঁড়ানোর চেষ্টা করছে এবং কঠোর পরিশ্রম করছে। বাংলাদেশে সফলভাবে দায়িত্ব পালন করার জন্য হাইকমিশনারকে অভিনন্দন জানান শেখ হাসিনা। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বাংলাদেশের আর্থ-সামাজিক উন্নয়নের ভূয়সী প্রশংসা করেন হাইকমিশনার সুদর্শন ডি এস সেনেভিরত্ন। তিনি বলেন, পদ্মা সেতুর মতো মাতারবাড়ী এবং পায়রা বন্দরসহ অন্যান্য মেগা প্রজেক্ট বাস্তবায়ন হলে বাংলাদেশ কানেকটিভিটির বড় আঞ্চলিক কেন্দ্রে পরিণত হবে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এবং শ্রীলঙ্কার হাইকমিশনার দুজনেই ব্লু-ইকোনমির ওপর গুরুত্বারোপ করেন। শ্রীলঙ্কার হাইকমিশনার বলেন, তার দেশে বাণিজ্য, পর্যটন, গভীর সমুদ্রবন্দর এবং ওষুধ সেক্টরে বাংলাদেশের সঙ্গে পারস্পরিক সহযোগিতা বাড়াতে আগ্রহী। বাংলাদেশের পররাষ্ট্রনীতির প্রশংসা করেন শ্রীলঙ্কার হাইকমিশনার।

সর্বশেষ খবর