সোমবার, ১৭ এপ্রিল, ২০২৩ ০০:০০ টা

রাজনৈতিক নেতৃত্বেই উন্নয়ন : প্রধানমন্ত্রী

নিজস্ব প্রতিবেদক

রাজনৈতিক নেতৃত্বেই উন্নয়ন : প্রধানমন্ত্রী

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, যখনই রাজনৈতিক নেতারা ক্ষমতায় ছিলেন বাংলাদেশ ব্যবসা-বাণিজ্য, শিক্ষা, স্বাস্থ্য ও প্রযুক্তির মতো প্রতিটি খাতে অলৌকিক উন্নয়ন প্রত্যক্ষ করেছে। রাজনৈতিক নেতৃত্বেই দেশের উন্নয়ন হয়েছে। সেনাশাসন বা সেনাসমর্থিত সরকারের সময়ে দেশের অগ্রগতি হয়নি, এটা মানুষকে বুঝতে হবে। গতকাল গণভবনে জাতীয় প্রশিক্ষণ কাউন্সিলের (এনটিসি) অষ্টম সভায় বক্তব্য দেওয়ার সময় তিনি এ কথা বলেন। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, নতুন প্রজন্ম যারা রাজনীতিতে আসবে তারা যেন বাংলাদেশের অগ্রগতি অব্যাহত রাখতে পারে এবং গণতান্ত্রিক ধারা যেন অব্যাহত থাকতে পারে, সেদিকে আমাদের বিশেষভাবে দৃষ্টি দিতে হবে। তিনি বলেন, সঠিক রাজনৈতিক সিদ্ধান্তের কারণেই ২০০৯ থেকে ২০২৩ পর্যন্ত সময়ে দেশের অভূতপূর্ব উন্নয়ন হয়েছে। ডেলটা প্ল্যান সফল হলে বাংলাদেশকে আর পেছনে ফিরে তাকাতে হবে না। আমরা ডিজিটাল বাংলাদেশ গড়ে তুলেছি, শতভাগ বিদ্যুৎ দিতে পেরেছি, রাস্তাঘাটসহ দেশের সার্বিক উন্নতি হয়েছে। আগামী দিনেও আমরা সেভাবে এগিয়ে যেতে চাই। প্রধানমন্ত্রী আরও বলেন, তাঁর সরকারের অক্লান্ত পরিশ্রমে বাংলাদেশ একটি মর্যাদাপূর্ণ অবস্থানে পৌঁছেছে। কারণ, বিশ্ব বর্তমানে বাংলাদেশকে সম্মান দেখাচ্ছে। এটি আমাদের জন্য সবচেয়ে বড় অর্জন। সরকারপ্রধান বলেন, তাঁর সরকার জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের পদাঙ্ক অনুসরণ করে দেশ পরিচালনা করায় বাংলাদেশ এত মর্যাদাপূর্ণ অবস্থানে পৌঁছেছে। দেশ পরিচালনায় নীতি ও আদর্শ ধরে রাখার কারণে উন্নয়নশীল দেশে উত্তরণ সহজ হয়েছে। প্রশাসন পরিচালনায় আমরা মুক্তিযুদ্ধের চেতনা ও নীতি, আদর্শ ধরে রেখে কাজ করেছি। এরই ফল হিসেবে দেশ আজ এগিয়ে যাচ্ছে। উন্নয়নশীল দেশে উত্তরণ ঘটেছে আমাদের। এ ধারা অব্যাহত রাখতে হবে। তিনি বলেন, ২০০৮ সালের নির্বাচনে বলেছিলাম, ডিজিটাল বাংলাদেশ গড়ে তুলব। আজকের বাংলাদেশ ডিজিটাল বাংলাদেশ। এর সুফল একেবারে গ্রামপর্যায়ের মানুষও পাচ্ছে।  প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, একটি জাতির উন্নয়নের জন্য প্রশিক্ষণের প্রয়োজন। এ সময়টি প্রযুক্তির যুগ। প্রযুক্তিগত অগ্রগতির সঙ্গে মোকাবিলা করে আমাদের এগিয়ে যেতে হবে। প্র্রযুক্তিগত প্রশিক্ষণ দিয়ে আমরা একটি স্মার্ট জনসংখ্যা গড়ে তুলব। আমাদের অর্থনীতি হবে প্রযুক্তিভিত্তিক স্মার্ট অর্থনীতি। এমনকি আমাদের স্বাস্থ্য ও কৃষিও হবে প্রযুক্তিনির্ভর এবং যান্ত্রিক। তিনি বলেন, আমরা প্রযুক্তিকে কাজে লাগিয়ে সমাজ ও সরকারকে স্মার্ট হিসেবে গড়ে তুলতে চাই। আমাদের পর্যায়ক্রমে এগিয়ে যেতে হবে। সমগ্র জনসংখ্যাকে সম্পৃক্ত করে উন্নতি করতে চাই। কেউ পিছিয়ে থাকবে না ।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, আমি বিশ্বাস করি বাংলাদেশ অদম্য গতিতে আর্থ-সামাজিক উন্নয়নের দিকে অগ্রসর হবে। কভিড-১৯ মহামারি এবং রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ সত্ত্বেও বাংলাদেশের অগ্রগতি হয়েছে। আমরা দারিদ্র্যের হার ১৮.৭ শতাংশ এবং হার্ডকোর দারিদ্র্যের হার ৫.৬ শতাংশে নামিয়ে আনতে সক্ষম হয়েছি। ইনশাআল্লাহ, বাংলাদেশে কোনো চরম দারিদ্র্য থাকবে না।

সর্বশেষ খবর