শুক্রবার, ২১ এপ্রিল, ২০২৩ ০০:০০ টা

রাহুলের দুই বছর সাজা বহাল

নয়াদিল্লি প্রতিনিধি

রাহুলের দুই বছর সাজা বহাল

মানহানি মামলার সাজার রায়ের বিরুদ্ধে কংগ্রেস নেতা রাহুল গান্ধীর করা আপিল গুজরাটের সুরাট উচ্চ আদালত (সেশন্স কোর্ট) গতকাল খারিজ করে দিয়েছেন। এর ফলে নিম্ন আদালতের রায় দুই বছর কারাদ- বহাল থাকল। অবিলম্বে যদি সুপ্রিম কোর্ট বা হাই কোর্ট কোনো স্থগিতাদেশ জারি না করেন তাহলে রাহুল গান্ধীকে জেলে যেতেই হবে এবং তাঁর সংসদ সদস্যপদ পুনর্বহাল হবে না। জাতীয় কংগ্রেসের মুখপাত্র জয়রাম রমেশ বলেছেন, তাঁরা উচ্চ আদালতে আপিল করার কথা বিবেচনা করছেন। ২০১৯ সালে লোকসভা নির্বাচনের প্রচারে কর্ণাটকে গিয়ে রাহুল গান্ধী এক জনসভায় বলেছিলেন, ‘সব চোরেদের নাম মোদি হয় কেন?’ এ মন্তব্যের বিরুদ্ধে বিজেপি নেতা পূর্ণেশ মোদি নিম্ন আদালতে মানহানির মামলা রুজু করেন। সেই মামলায় রায় দিতে গিয়ে বিচারক ২৩ মার্চ রাহুলকে দোষী সাব্যস্ত করে দুই বছরের কারাদ- দেন। তবে তাঁকে এক মাসের সুযোগ দেন উচ্চ আদালতে আপিল করার এবং সেই পর্যন্ত জামিন মঞ্জুর হয়। তাই ২৩ এপ্রিলের মধ্যে ওই কারাদ- স্থগিত না হলে রাহুলকে জেলে যেতেই হবে।

আপিল আবেদনে রাহুলের আইনজীবী বলেন, নিম্ন আদালতের বিচারক অযথা হেনস্তা করার জন্য কঠোর শাস্তি দিয়েছেন; যা দেওয়া উচিত ছিল না। এ রায় স্থগিত না হলে রাহুলের রাজনৈতিক জীবন ক্ষতিগ্রস্ত হবে। বিজেপি নেতার আইনজীবী পাল্টা যুক্তি দেখিয়ে বলেন, ‘রাহুল গান্ধী বারবার এ ধরনের অপরাধ করেন। তাঁকে ছাড় দেওয়া উচিত হবে না।’ রাহুল গান্ধী কেরালার ওয়েনাড় লোকসভা আসনে সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন। আদালত দোষী সাব্যস্ত করার পর তাঁর সাংসদ পদ খারিজ হয়ে যায়।

ভারতে সংসদীয় বিধানে বলা আছে : কারও দুই বছরের কারাদ- হলে বিধায়ক বা সংসদ সদস্য পদ সঙ্গে সঙ্গে খারিজ হয়ে যাবে। এখন শেষ পর্যন্ত রেহাই না পেলে ওয়েনাড় আসনে উপনির্বাচন ঘোষণা করে দিতে পারে নির্বাচন কমিশন।

কংগ্রেস নেতারা বলছেন, যে বিচারক রায় দিয়েছেন সেই রবিন মোগরো একসময় বিজেপির নেতা ছিলেন। এ ছাড়া মোগরো ছিলেন বর্তমান স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহের আইনজীবী। কংগ্রেস নেতা ও আইনজীবী নৈশাদ দেশাই সাংবাদিকদের বলেন, ‘আদালতের সিদ্ধান্তকে চ্যালেঞ্জ জানাতে আমরা শুক্রবার গুজরাট হাই কোর্টে যাচ্ছি। বিচার বিভাগ ন্যায়বিচার বজায় রেখে গণতন্ত্র রক্ষা করবেন এ বিষয়ে আমাদের পুরো বিশ্বাস রয়েছে।’

সর্বশেষ খবর