সোমবার, ১ মে, ২০২৩ ০০:০০ টা

উজানের পানি পেলে সংকট কাটবে

------- ড. মনজুর আহমেদ চৌধুরী

উজানের পানি পেলে সংকট কাটবে

জাতীয় নদী রক্ষা কমিশনের চেয়ারম্যান ড. মনজুর আহমেদ চৌধুরী বলেছেন, আমরা বাংলাদেশে ৮৫৭টি নদী শনাক্ত করেছি। এর মধ্যে বেশ কিছু নদীতে নাব্য সংকট হয়েছে। দক্ষিণ- পশ্চিমাঞ্চলে এ সমস্যা সবচেয়ে বেশি। এর বড় কারণ গ্রীষ্মকালে যে পরিমাণ পানি গঙ্গা থেকে আমাদের নদীগুলোতে আসার কথা, তা আসছে না। পানি কম আসায় স্রোত কম, পলি জমে নদী নাব্য হারাচ্ছে। উজান থেকে ঠিকভাবে পানি পেলে আজ আমাদের নদীগুলোর অবস্থা এতটা খারাপ হতো না।

তিনি বাংলাদেশ প্রতিদিনকে বলেন, বর্তমানে সব নদীতে স্বাভাবিকভাবেই পানি কম। তবে তিস্তা ও আশপাশের অনেক নদী নাব্য হারিয়ে ফেলেছে। নদীগুলোর নাব্য ধরে রাখতে বিভিন্ন প্রকল্প নিচ্ছে সরকার। তবে নদী রক্ষা কমিশন প্রকল্প বাস্তবায়নকারী প্রতিষ্ঠান নয়। আমরা পর্যবেক্ষণ করি। সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠানগুলোকে পরামর্শ দিই। কাজগুলো পরিবেশ অধিদফতর, পানি উন্নয়ন বোর্ড, বিআইডব্লিউটিএ করে।

ড. মনজুর বলেন, ভারত অনেক নদীতে বাঁধ দিয়েছে। আমরা বলি আমাদের ৫৭টি আন্তসীমান্ত নদী। তবে ভারত হয়ে বাংলাদেশে এসেছে এমন নদী শতাধিক। এ নদীগুলোয় বাঁধ দিলে কিছু বলার নেই। কারণ এগুলো আন্তসীমান্ত নদী বলে ঘোষণাই হয়নি। আন্তসীমান্ত নদীগুলো থেকে স্বাভাবিক পানি পেলে আমাদের নদীগুলোর নাব্য সংকট এমনিতেই কেটে যেত। এটা আমি নদী রক্ষা কমিশনের চেয়ারম্যান হিসেবে বলছি না, দেশের একজন সাধারণ নাগরিক হিসেবে এটা আমার মতামত। এ জন্য আমি যৌথ নদী কমিশনে লিখেছি। নদীগুলোর তালিকা চেয়েছি।

তিনি বলেন, আমি ব্যক্তিগতভাবে মনে করি ফারাক্কা বাঁধ দিয়ে ভারত কলকাতা বন্দরটাকে বাঁচাতে চেয়েছিল। কিন্তু সেটা পারেনি। এ কারণে এখন তারা মোংলা বন্দর ব্যবহার করতে চাইছে। উল্টো এ পানি আটকানোর ফলে ফারাক্কার উজানে অনেক পলি পড়েছে। বর্ষাকালে সেখানেও বন্যা হচ্ছে। এখন পশ্চিমবঙ্গেও ফারাক্কা বাঁধের বিরুদ্ধে আন্দোলন হচ্ছে। তবে আমাদের এখন গ্রীষ্মের জন্য পানি ধরে রাখার ব্যবস্থা করতে হবে।

সর্বশেষ খবর