সোমবার, ১ মে, ২০২৩ ০০:০০ টা

ড্রেজিং সায়েন্টিফিক হচ্ছে না

-------- ড. তারেকুল ইসলাম

ড্রেজিং সায়েন্টিফিক হচ্ছে না

বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের  (বুয়েট) ওয়াটার অ্যান্ড ফ্লাড ম্যানেজমেন্ট ইনস্টিটিউটের অধ্যাপক ড. তারেকুল ইসলাম বলেছেন,  সায়েন্টিফিক ওয়েতে (বিজ্ঞানসম্মতভাবে) ড্রেজিং না করায় নদীগুলোর নাব্য ধরে রাখা যাচ্ছে না। ইচ্ছামতো ড্রেজিং করায় নদীর আরও ক্ষতি হচ্ছে। পাড় ভাঙছে। নতুন করে যত্রতত্র চর জাগছে। নাব্য নষ্ট হচ্ছে। তিনি বাংলাদেশ প্রতিদিনকে বলেন, নদীতে দুই ধরনের ড্রেজিং হয়। সরকার নাব্য রক্ষায় ড্রেজিং করে, অন্যদিকে বেসরকারি পর্যায়ে বালুমহাল ভাড়া নিয়ে বালু উত্তোলন হয়। দুটো ক্ষেত্রেই বৈজ্ঞানিক পদ্ধতি অবলম্বন হচ্ছে না। ইচ্ছামতো ড্রেজিংয়ের ফলে পাড় ভাঙছে। এতে নদীর তলদেশ ভরাট হচ্ছে। অনেক স্থানে নদীশাসনও ভেঙে যাচ্ছে। এ নিয়ে আমরা বারবার বলে আসছি। বুয়েটের এ অধ্যাপক বলেন, ড্রেজিং করার সময় খেয়াল রাখতে হয় ড্রেজিংটা যেন টেকসই হয়। এ জন্য ড্রেজিংয়ের আগে সমীক্ষা প্রয়োজন। দেখতে হবে বর্তমান বেজলেভেল কেমন আছে। এরপর কোথায় কোথায় মাটি উঠালে নদীটা স্টাবল থাকবে তা বের করতে হবে। কোথায় ড্রেজিং করতে হবে, কতটুকু করতে হবে- নানা বিষয় রয়েছে। না হলে নাব্য বাড়াতে গিয়ে উল্টো ফল হবে। এক স্থানে ড্রেজিং করলে ডাউনস্ট্রিমে অন্য কোথাও বালু জমতে শুরু করবে। পাড় ভাঙবে। অনেক সময় দেখা যাচ্ছে ড্রেজিংয়ের বালুটা যেখানে রাখছে, সেখান থেকে আবার নদীতে আসছে। এতে ভাটির দিকে চর পড়ছে। যারা ইজারা নিয়ে বালু উত্তোলন করছেন, তারা আবার কোনো আইনই মানছেন না। অনেক সময় সরকারের নির্দেশনা এড়াতে রাতে বালু তুলছেন। এতে নদীভাঙন হচ্ছে, মাছের আবাসস্থল ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে, নদীর স্বাভাবিক গতি নষ্ট হচ্ছে। এর প্রভাবে অন্য কোথাও চর জাগছে। বিষয়গুলো নিয়ে পানি উন্নয়ন বোর্ড, বিআইডব্লিউটিএ কাজ করছে। সম্প্রতি নদী রক্ষা কমিশনও উদ্যোগ নিয়েছে। একটা কমিটি করেছে। হয়তো সামনে পরিস্থিতির উন্নতি হবে।

সর্বশেষ খবর