বুধবার, ১০ মে, ২০২৩ ০০:০০ টা
বিদায় সমরেশ

শেষ শ্রদ্ধা জানাতে মানুষের ঢল

নিজস্ব প্রতিবেদক ও কলকাতা প্রতিনিধি

শেষ শ্রদ্ধা জানাতে মানুষের ঢল

দুই বাংলার কালজয়ী কথাসাহিত্যিক সমরেশ মজুমদারের শেষকৃত্য সম্পন্ন হয়েছে। প্রয়াত সাহিত্যিকের ইচ্ছা অনুযায়ী অনাড়ম্বরভাবে শেষকৃত্য সম্পন্ন হলেও তাঁর প্রতি শেষ শ্রদ্ধা জানাতে মানুষের ঢল নামে। গতকাল বেলা সাড়ে ১১টার দিকে কলকাতার নিমতলা মহাশ্মশানে তাঁর শেষকৃত্য সম্পন্ন হয়। কিংবদন্তি লেখক ও উপন্যাসিক সমরেশ মজুমদারের মৃত্যুতে গতকাল শোক ও সমবেদনা জানিয়েছেন বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। এ ছাড়া আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের, তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ, জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান জি এম কাদের প্রমুখ শোক প্রকাশ করেছেন। গত সোমবার সন্ধ্যায় কলকাতার এ্যাপোলো হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান তিনি। সকাল ৮টা নাগাদ সমরেশ মজুমদারের নিথর দেহ এ্যাপোলো হাসপাতাল থেকে কলকাতার ৬৪-ডি, শ্যামপুকুর স্ট্রিটের বাসায় নেওয়া হয়। বেলা সাড়ে ১১টা পর্যন্ত সেখানে তাঁকে শেষ শ্রদ্ধা জানান পরিবারের সদস্য, আত্মীয়স্বজন, বন্ধু, সাহিত্যিক ও গুণমুগ্ধ অসংখ্য মানুষ। সকাল থেকেই বাবার লাশের সামনে বসে ছিলেন বড় মেয়ে দোয়েল মজুমদার এবং ছোট মেয়ে পরমা মজুমদার। হাসপাতাল, বাসভবন, মহাশ্মশান সর্বত্রই প্রিয় সাহিত্যিকের প্রতি শেষ শ্রদ্ধা জানাতে সর্বস্তরের মানুষের ঢল নামে। শেষ শ্রদ্ধা জানাতে আসেন কলকাতার মেয়র ও পশ্চিমবঙ্গের নগর উন্নয়ন মন্ত্রী ফিরহাদ হাকিম, নারী ও শিশু কল্যাণ মন্ত্রী শশী পাঁজা, বামফ্রন্টের চেয়ারম্যান বিমান বসু, সিপিআইএমের রাজ্য সম্পাদক মহম্মদ সেলিম, সিপিআইএম নেতা রবীন দেব, রমনা চক্রবর্তী, রাজ্য বিজেপির মুখপাত্র শমিক ভট্টাচার্য, কংগ্রেসের মুখপাত্র আশুতোষ চট্টোপাধ্যায়, লেখক ও কলকাতা আন্তর্জাতিক বইমেলার আয়োজক সংস্থা ‘কলকাতা বুক সেলারস অ্যান্ড গিল্ডে’র সাধারণ সম্পাদক ত্রিদিব চট্টোপাধ্যায়, লেখক এবং প্রকাশক সুধাংশু শেখর দে, লেখক ইমানুল হক, অভিনেতা দুলাল লাহিড়ীসহ সমাজের বিভিন্ন স্তরের মানুষ।

এ ছাড়াও শেষ শ্রদ্ধা জানাতে আসেন কলকাতায় বাংলাদেশ উপ-দূতাবাসের ডেপুটি হাই-কমিশনার, সাহিত্যিক আখতারুজ্জামান ইলিয়াসের পুত্র আন্দালিব ইলিয়াস ও প্রথম সচিব (প্রেস) রঞ্জন সেন। কলকাতার ইন্দো বাংলা প্রেস ক্লাবের তরফেও শ্রদ্ধা জানানো হয়। মেয়র ফিরহাদ হাকিম বলেন, সমরেশ মজুমদার সব পাঠক ও মানুষের হৃদয় স্পর্শ করেছেন। আর সেই কারণেই বাংলাদেশ, ঢাকা, সুদূর লন্ডন থেকে শোকবার্তা আসছে। কারণ সমরেশের লেখা সেখানকার মানুষের কাছে পৌঁছেছে, সেখানকার মানুষের হৃদয়কে ছুঁয়েছে। আন্দালিব ইলিয়াস বলেন, বাংলাদেশের সব জনগণ এবং উপ দূতাবাসের তরফ থেকে আমি এখানে এসে শোক প্রকাশ করছি। বাংলাদেশে সমরেশ মজুমদারের জনপ্রিয়তা ছিল আকাশছোঁয়া। তার চলে যাওয়া দুই বাংলার কাছেই অপূরণীয় ক্ষতি।

সর্বশেষ খবর