মঙ্গলবার, ১৬ মে, ২০২৩ ০০:০০ টা

সেনা সমর্থকদের হারিয়ে তরুণদের জয় থাইল্যান্ডে

প্রতিদিন ডেস্ক

সেনা সমর্থকদের হারিয়ে তরুণদের জয় থাইল্যান্ডে

দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার পর্যটনসমৃদ্ধ দেশ থাইল্যান্ডের জাতীয় নির্বাচনে সেনা সমর্থিত সরকারকে নাকচ করে দিয়েছেন দেশের ভোটাররা। নির্বাচনে জয়লাভ করেছে বিরোধী দল, যার নেতৃত্বে রয়েছেন তরুণ ভোটাররা। রবিবার দেশটিতে ভোট গ্রহণ করা হয়। সূত্র : রয়টার্স, আলজাজিরা। অনুষ্ঠিত নির্বাচনে দেশটির প্রগতিশীল মুভ ফরোয়ার্ড পার্টি (এমএফপি) একক দল হিসেবে বেশি ভোট পেয়েছে। দ্বিতীয় অবস্থানে আছে পিউ থাই দল। নির্বাচনে এই দুই বিরোধী দল ৫০০ আসনের মধ্যে ২৯২টিতে বিজয়ী হয়েছে। তরুণ জোট মুভ ফরোয়ার্ড ১৫১টি এবং সাবেক প্রধানমন্ত্রী থাকসিন সিনাওয়াত্রার মেয়ের নেতৃত্বাধীন পিউ থাই পার্টি ১৪১টি আসন পেয়েছে। নির্বাচন কমিশনের তথ্য অনুসারে ৯৯ শতাংশ ভোট গণনার পর দেখা গেছে, এমএফপি ভোট পেয়েছে ১ কোটি ৪০ লাখ ও পিউ থাই দল পেয়েছে ১ কোটির সামান্য বেশি। নির্বাচনে প্রধানমন্ত্রী প্রায়ুথ চান ওচার দল এবং সেনা সমর্থিত আরেকটি জোট সম্মিলিতভাবে মোট আসনের শতকরা ১৫ ভাগ পেয়েছে। উল্লেখ্য, ২০১৪ সালে থাইল্যান্ডে সেনা অভ্যুত্থানের মাধ্যমে নির্বাচিত সরকারকে উৎখাত করা হয়েছিল এবং সেই অভ্যুত্থানের নেতৃত্ব দিয়েছিলেন প্রায়ুথ ওচা।

এদিকে নির্বাচনের এ ফলাফলকে বিশ্লেষকরা রাজনৈতিক ভূমিকম্প হিসেবে দেখছেন এবং যাকে তারা দেশের জনমতের ব্যাপক পরিবর্তন হিসেবে গণ্য করছেন। খবরে বলা হয়, নির্বাচনের এ ফলাফলকে সাধারণ মানুষ থেকে শুরু করে রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা প্রধানমন্ত্রী প্রায়ুথ ওচার সরকার থেকে মুক্তি পাওয়ার প্রচেষ্টা বলে উল্লেখ করেছেন। তারা বলছেন, নির্বাচনের ফল পরিষ্কার ইঙ্গিত দিচ্ছে যে, জনগণ শাসন ক্ষমতার পরিবর্তন চায় এবং এই সংখ্যা ধারণার চেয়ে বেশি। এদিকে নির্বাচনে ভালো ফলাফল করার পর মুভ ফরোয়ার্ড পার্টির ৪২ বছর বয়সী নেতা পিতা লিমজারোয়েনরাত জোট সরকার গঠনের জন্য থাকসিন সিনাওয়াত্রার মেয়ের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন।

তবে কোনো কোনো খবরে বলা হচ্ছে, সামরিক বাহিনী সমর্থিত দলগুলোর বিরুদ্ধে গণতন্ত্রপন্থি বিরোধীরা জয় পেলেও তাদের জোট কীভাবে সরকার গঠন করবে- তা এখনো নিশ্চিত নয়। কারণ ২০১৪ সালে অভ্যুত্থানের পর সেনারা তাদের দলগুলোর পক্ষে পার্লামেন্টারি আইন করে রেখেছে। সরকার গঠনে অন্যান্য দল ও সামরিক সরকারের নিয়োগ দেওয়া সিনেট সদস্যদের সঙ্গে চুক্তির প্রয়োজন। দুই কক্ষের পার্লামেন্টে মোট আসন ৭৫০টি। এ দুই কক্ষের সদস্যরা মিলেই দেশটির প্রধানমন্ত্রী নির্বাচন ও সরকার গঠন করবেন।

সর্বশেষ খবর