বৃহস্পতিবার, ২৫ মে, ২০২৩ ০০:০০ টা

ভারতের সঙ্গে মুখ দেখা বন্ধ করলে দেশ এগোতে পারবে না : কাদের

নিজস্ব প্রতিবেদক

আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক, সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেছেন, প্রতিবেশী ভারতের সঙ্গে মুখ দেখাদেখি বন্ধ করলে বাংলাদেশ সামনে এগোতে পারবে না। ব্যবসা-বাণিজ্য বন্ধ হয়ে যাবে। উন্নয়নের স্বার্থে বাংলাদেশ ও ভারতের পারস্পরিক সম্পর্ক অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। ভারত আরও বেশি পরিমাণে বিনিয়োগ নিয়ে এলে বাংলাদেশকে বিনিয়োগকারী খুঁজতে আর দূরে যেতে হবে না। গতকাল সকালে রাজধানীর তেজগাঁওয়ে সড়ক ভবনে ‘বারইয়ারহাট- হেয়াকো-রামগড়’ সড়ক প্রশস্তকরণ কার্যক্রমের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন অনুষ্ঠানে সাংবাদিকদের এ কথা বলেন তিনি। সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বাংলাদেশ ও ভারতের যৌথ উদ্যোগে ‘বারইয়ারহাট-হেয়াকো-রামগড়’ সড়ক প্রশস্তকরণ কাজের ভিত্তিপ্রস্তর উদ্বোধন করেন। অনুষ্ঠানে ভারতের হাই কমিশনার প্রণয় ভার্মা উপস্থিত ছিলেন। এতে সভাপতিত্ব করেন সড়ক ও জনপথ অধিদফতরের প্রধান প্রকৌশলী মো. ইসহাক। এ ছাড়া সংসদ সদস্য সৈয়দ নাজিবুল বশর মাইজভান্ডারি, সড়ক পরিবহন ও মহাসড়ক বিভাগের সচিব এ বি এম আমিন উল্লাহ নুরী, বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন কর্তৃপক্ষের চেয়ারম্যান নুর মোহাম্মদ মজুমদার, ঢাকা ম্যাস ট্রানজিট কোম্পানি লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক এম এ এন ছিদ্দিক এবং ঢাকা বিআরটি কোম্পানি লিমিটেড ব্যবস্থাপনা পরিচালক সফিকুল ইসলাম উপস্থিত ছিলেন। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে হত্যা করে বিএনপি এক দফা বাস্তবায়ন করতে চায় কি না- এ প্রশ্ন রেখে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে হত্যার হুমকিতে বিএনপির মৌন সম্মতি আছে। এটা স্লিপ অব টাং নয়। তিনি বলেন, শেখ হাসিনাকে হত্যার হুমকির ঘটনা মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের রাষ্ট্রদূত পিটার হাসও ভালোভাবে নেননি। কিন্তু বিএনপির কোনো দায়িত্বশীল নেতা এ পর্যন্ত এর কোনো ব্যবস্থা নেননি। ওবায়দুল কাদের বলেন, বিএনপির একজন যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক বলেছেন, ‘এটি মুখ ফসকে বলেছে।’ যিনি শেখ হাসিনাকে হত্যার হুমকি দিয়েছেন তিনি বিএনপির কোনো সাধারণ কর্মী নন। জেলার আহ্বায়ক ও কেন্দ্রীয় নেতা। তিনি যা বলেছেন সেটা বিএনপিরই কথা। ২৭ দফা, ১০ দফা নয়, এক দফায় এসেছে তারা। তাহলে কি ধরে নেব- শেখ হাসিনাকে হত্যা করে তারা এক দফা বাস্তবায়ন করতে চায়। এ ব্যাপারে বিএনপি কী বলে সেটা শুনতে চাই। মঙ্গলবার ঢাকায় বিআরটিসির বাসে আগুন ও পুলিশের ওপর হামলা প্রসঙ্গে আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের বলেন, আন্দোলনের নামে বিএনপি নৈরাজ্য ও সন্ত্রাস করবে, এটা তাদের পুরনো স্বভাব। উদ্ভূত পরিস্থিতি বলে দেবে কোনো পরিস্থিতিতে কীভাবে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী ব্যবস্থা নেবে। আর রাজনীতির একটা ভাষা আছে। রাজনৈতিকভাবে সেটা মোকাবিলা করব। আমরা সহিংসতায় যাব না। দলীয় নেতা-কর্মীদের সতর্ক থাকার আহ্বান জানিয়ে তিনি বলেন, আগামী নির্বাচন পর্যন্ত সতর্ক থাকতে হবে। যারা নির্বাচন প্রতিরোধ করতে আসবে তাদের প্রতিরোধ করতে হবে।

সেপ্টেম্বরে ভারত যাচ্ছেন প্রধানমন্ত্রী, জুলাইয়ে আওয়ামী লীগ : ওবায়দুল কাদের বলেন, আমাদের প্রধানমন্ত্রী জি২০ শীর্ষ সম্মেলনে যোগ দিতে সেপ্টেম্বরে ভারতে যাবেন। এর মধ্যে আমাদের পার্টি টু পার্টি একটি আলোচনা হবে। সেটার জন্য ভারতের বিজেপি থেকে আমাদের আমন্ত্রণ জানানো হয়েছে। আমরা আশা করছি, জুলাইয়ে যাব। আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের বলেন, একাত্তরে বাংলাদেশ-ভারতের মধ্যে যে বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক রচিত হয়েছিল, তা পঁচাত্তরে বঙ্গবন্ধুর হত্যাকান্ডের পর অবিশ্বাস আর সন্দেহে রূপ নেয়। কিন্তু ওই বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক যদি অব্যাহত রাখতে পারতাম, আমরা লাভবান হতাম। কিন্তু বাংলাদেশের বাস্তবতায় তা হয়নি। হয়নি বলে আমাদের এ অবিশ্বাস ও সন্দেহ একটি দেয়াল তৈরি করেছিল। এটা ভাঙা দরকার ছিল। সেটাই প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও ভারতের নরেন্দ্র মোদি ভেঙেছেন।

সর্বশেষ খবর