বৃহস্পতিবার, ১ জুন, ২০২৩ ০০:০০ টা
র‌্যাব হেফাজতে মৃত্যু

উচ্চ পর্যায়ের তদন্ত কমিটির হাসপাতাল পরিদর্শন

নওগাঁ প্রতিনিধি

র‌্যাব হেফাজতে নওগাঁর ভূমি অফিসের অফিস সহায়ক সুলতানা জেসমিন (৪৫)-এর মৃত্যুর ঘটনায় হাই কোর্টের নির্দেশে গঠিত তদন্ত দলের প্রধান মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের সচিব (সমন্বয় ও সংস্কার) মাহমুদুল হোসাইন খান বলেছেন, জেসমিনের মৃত্যুর কারণ অনুসন্ধানে এ পর্যন্ত সংশ্লিষ্ট ২০-২৫ জনের সঙ্গে কথা বলেছি। ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছি। তথ্য-উপাত্ত যাচাই-বাছাই করে যথাসময়ে তদন্ত প্রতিবেদন জমা দেওয়া হবে। সোমবার জেসমিনের পরিবারের সদস্যদের জিজ্ঞাসাবাদের মধ্য দিয়ে তদন্ত কার্যক্রম শুরু করে কমিটি। গতকাল সকাল ৯টার দিকে নওগাঁ সদর হাসপাতাল পরিদর্শন করেন তদন্ত দলের সদস্যরা। এ সময় তারা ঘটনার দিন হাসপাতালের জরুরি বিভাগে কর্মরত চিকিৎসক, কর্মকর্তা-কর্মচারীদের সঙ্গে কথা বলেন।

হাসপাতাল পরিদর্শন শেষে দুপুরে কোনো প্রশ্ন না করার শর্তে তদন্ত বিষয়ে সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলেন তদন্ত দলের প্রধান মাহমুদুল হোসাইন খান। তিনি বলেন, জেসমিনের স্বজন, বাড়িওয়ালা, জেসমিনকে আটকের সময় ঘটনাস্থলে উপস্থিত প্রত্যক্ষদর্শী, নওগাঁ ও রাজশাহী হাসপাতালের চিকিৎসক, কর্মকর্তা-কর্মচারী, র‌্যাব সদস্য, রাজশাহী রাজপাড়া থানার ওসিসহ অন্য কর্মকর্তাদের সঙ্গে কথা বলেছি। এ পর্যন্ত ২০-২৫ জনের সাক্ষ্য নেওয়া হয়েছে।

জেসমিন এনামুলের টাকা লেনদেনের প্রমাণ তদন্ত দলের কাছে : ডিজিটাল সিকিউরিটি অ্যাক্ট আইনে সুলতানা জেসমিনের বিরুদ্ধে করা প্রতারণা মামলার বাদী যুগ্ম সচিব এনামুল হকের সঙ্গে জেসমিনের টাকা লেনদেনের প্রমাণ হিসেবে সুলতানা জেসমিনের হাতে লেখা ৪৬টি চিরকুট তদন্ত দলের কাছে জমা দিয়েছেন তার স্বজনরা। জেসমিনের মামা নাজমুল হক বলেন, সোমবার তদন্ত দল আমিসহ জেসমিনের ছেলে, তার ভাই ও দুলাভাইয়ের সঙ্গে কথা বলেছে। এ সময় আমরা সুলতানার ঘর থেকে পাওয়া তার নিজ হাতে লেখা ৪৬টি চিরকুট তদন্ত দলের কাছে জমা দিয়েছি। এসব চিরকুটে মামলার বাদী এনামুলের ব্যাংক অ্যাকাউন্ট, বিকাশ অ্যাকাউন্ট লেখা আছে।

এ ছাড়া কখন কত টাকা বিকাশে দেওয়া হয়েছে তাও লেখা আছে। মামলার তদন্তের স্বার্থে কাগজগুলো আমরা তদন্ত দলের কাছে জমা দিয়েছি। আমরা চাই, এ ঘটনার সুষ্ঠু তদন্ত হোক এবং প্রকৃত অপরাধীরা শাস্তি পাক।

সর্বশেষ খবর