রবিবার, ১১ জুন, ২০২৩ ০০:০০ টা

মায়ের শাড়িতে মুড়িয়ে দাফন

নোয়াখালী প্রতিনিধি

মায়ের শাড়িতে মুড়িয়ে দাফন

শেষ ইচ্ছা অনুযায়ী মায়ের শাড়িতে মুড়িয়ে গতকাল দাফন করা হয়েছে মুক্তিযুদ্ধের অন্যতম সংগঠক সিরাজুল আলম খানকে। নোয়াখালীর বেগমগঞ্জ সরকারি পাইলট উচ্চবিদ্যালয় মাঠে জানাজা শেষে সন্ধ্যায় আলিপুরের সাহেববাড়িতে পারিবারিক কবরস্থানে মা সৈয়দা জাকিয়া খাতুনের কবরের পাশে তাঁকে রাষ্ট্রীয় মর্যাদায় সমাহিত করা হয়েছে। দাফনের আগে বীর মুক্তিযোদ্ধা সিরাজুল আলম খানকে বেগমগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী অফিসার ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটের নেতৃত্বে পুলিশের চৌকশ একটি দল গার্ড অব অনার দেয়। ৮২ বছর বয়সী সিরাজুল আলম খান শুক্রবার ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মৃত্যুবরণ করেন। তিনি দীর্ঘদিন উচ্চ রক্তচাপ, শ্বাসকষ্ট, ফুসফুসের সংক্রমণসহ নানা শারীরিক জটিলতায় ভুগছিলেন। বৃষ্টি উপেক্ষা করে সর্বস্তরের মানুষ জানাজায় অংশগ্রহণ করে। এ ছাড়া অংশ নেন বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের নেতারা। এদের মধ্যে ছিলেন জেএসডি সভাপতি আ স ম আবদুর রব, জাতীয় সংসদ সদস্য মামুনুর রশীদ কিরণ (নোয়াখালী-৩), মুক্তিযুদ্ধে নোয়াখালী সি-জোন কমান্ডার মোহাম্মদ উল্লাহ, বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান মোহাম্মদ শাহজাহান, বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা পরিষদের সদস্য শিমুল বিশ্বাস, ঢাকা মহানগর বিএনপি সভাপতি আবদুস সালাম, কবি ফরহাদ মজহার, বাংলাদেশ জাসদের সাধারণ সম্পাদক নাজমুল হক প্রধান, নোয়াখালী বিএনপি সভাপতি গোলাম হায়দার বিএসসি, সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট আবদুর রহমান, আবুল নাসের, অ্যাডভোকেট সাহাদাত হোসেন ও নোয়াখালী জেলা যুবদলের সভাপতি মঞ্জুরুল আজিম সুমন, নোয়াখালী জেলা জাসদের আহ্বায়ক আমির হোসেন বিএসসি, যুগ্ম-আহ্বায়ক নুর রহমান চেয়ারম্যান, ইকবাল হোসেন প্রমুখ। এর আগে সকাল ১০টার দিকে রাজধানীর বায়তুল মোকাররম জাতীয় মসজিদে তাঁর প্রথম জানাজা হয়। সকাল পৌনে ৯টায় মরদেহ বায়তুল মোকাররম মসজিদে আনা হলে বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর, নাগরিক ঐক্যের আহ্বায়ক মাহমুদুর রহমান মান্না, গণসংহতি আন্দোলনের প্রধান সমন্বয়কারী জোনায়েদ সাকি, জেএসডি নেতা আ স ম আবদুর রবসহ বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের নেতা-কর্মীরা মরদেহের প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদন করেন। দুপুর ২টার দিকে পৈতৃকভিটা আলিপুর সাহেববাড়িতে পৌঁছায় সিরাজুল আলম খানের লাশ। খবর পেয়ে দূরদূরান্ত থেকে ছুটে আসেন ভক্ত ও শুভাকাক্সক্ষীরা। জাসদের নেতা-কর্মীদের প্রিয় ‘দাদাভাই’ সিরাজুল আলম খানকে বুদ্ধিজীবী মহলে রাজনীতির ‘রহস্যময় পুরুষ’ বলে উল্লেখ করা হয়। তিনি ১৯৬১ সালে ছাত্রলীগের সহসাধারণ সম্পাদক হন। ১৯৬৩ সালে ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক নির্বাচিত হন। ১৯৭২ সালে জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দল (জাসদ) গঠিত হয় তাঁর উদ্যোগে।

এই রকম আরও টপিক

সর্বশেষ খবর