সরকারি-বেসরকারি সব ধরনের চাকরিতে আবেদনের বয়সসীমা ৩৫ বছর করা, অবসরের বয়সসীমা বাড়ানোসহ চার দফা দাবিতে গতকাল রাজধানীর শাহবাগ মোড় অবরোধ করে রাখা চাকরিপ্রত্যাশী যুবকদের পুলিশ লাঠিচার্জ করে সরিয়ে দিয়েছে।

এর আগে তারা টানা সাড়ে ছয় ঘণ্টা শাহবাগ মোড় অবরোধ করে রেখে সমাবেশ করেন। এর ফলে ওই মোড় দিয়ে যান চলাচল বন্ধ হয়ে  যায়। তার প্রভাবে নগরীর বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ সড়কে তৈরি হয় তীব্র যানজট। পরে রাত সাড়ে ৮টার দিকে পুলিশ লাঠিচার্জ করে তাদের সরিয়ে দেয়। এরপর সেখান দিয়ে আবারও যান চলাচল শুরু হয়। চাকরিপ্রত্যাশী যুবকদের আরও দুটি দাবি ছিল। সেগুলোর একটি চাকরির আবেদন ফি সর্বোচ্চ ২০০ টাকা করা এবং অন্যটি জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের স্মৃতিবিজড়িত ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আইন অনুষদে বঙ্গবন্ধুর নামে বঙ্গবন্ধু ল কমপ্লেক্স (বঙ্গবন্ধু চেয়ার ও একটি ম্যুরাল) স্থাপন। সংশ্লিষ্ট সূত্রগুলো জানান, গতকাল দুপুরে শাহবাগে জাতীয় জাদুঘরের সামনে জড়ো হন চাকরিপ্রত্যাশীরা।

বিক্ষোভে অংশ নেওয়া সমন্বয় পরিষদের নেতা মোহাম্মদ রাসেল, সানোয়ারুল হক, খোকন মিয়া প্রমুখ শাহবাগ মোড় অবরোধ চলাকালে বক্তব্য দেন। তাদের বক্তব্য হলো- বিশ্বের ১৬২টি দেশে চাকরিতে আবেদনের বয়সসীমা ৩৫ থেকে ৫৯ বছর পর্যন্ত। অর্থাৎ বয়স নয়, যোগ্যতাই একজন প্রার্থীর একমাত্র মাপকাঠি। বাংলাদেশ এ ক্ষেত্রে পাকিস্তানকে অনুসরণ করে বয়সসীমা ৩০ বছর করে রেখেছে। স্মার্ট বাংলাদেশ গড়তে হলে চাকরির বয়স ৩০ বছরে সীমাবদ্ধ রাখা যাবে না।

চাকরিতে এ বয়স বাড়ানোর বিষয়টি ২০১৮ সালের জাতীয় নির্বাচনে আওয়ামী লীগের ইশতেহারে ছিল বলেও বক্তারা উল্লেখ করেন। কিন্তু ক্ষমতায় গিয়ে সরকার কথা রাখেনি।

নাম না প্রকাশ করার শর্তে ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) রমনা জোনের একজন ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা গত রাতে সাংবাদিকদের বলেন, দীর্ঘ ছয় ঘণ্টা রাস্তা অবরোধ করে রেখেছিল। এতে নগরের বিভিন্ন স্থানে যানজট বেড়ে যায়। এমন পরিস্থিতিতে সড়ক অবরোধকারীদের সরে যেতে বললেও তারা রাজি হয়নি। পরে বাঁশি বাজিয়ে হালকা অ্যাকশনে গেলে অবরোধকারীরা রাস্তা ছেড়ে চলে যায়। ফলে আবারও যানবাহন চলাচল স্বাভাবিক হয়।