সোমবার, ১২ জুন, ২০২৩ ০০:০০ টা
চট্টগ্রাম-১০ উপনির্বাচন

মনোনয়নপ্রত্যাশী একডজন কে পাচ্ছেন নৌকা

আজহার মাহমুদ, চট্টগ্রাম

মনোনয়নপ্রত্যাশী একডজন কে পাচ্ছেন নৌকা

ডা. আফছারুল আমীনের মৃত্যুতে শূন্য হওয়া চট্টগ্রাম-১০ আসনের নৌকার পরবর্তী কান্ডারি কে হচ্ছেন তা নিয়ে স্থানীয় রাজনৈতিক মহলে নানা আলোচনা চলছে। দ্বাদশ সংসদ নির্বাচনের আগে মাত্র ৩-৪ মাসের এমপি হওয়ার দৌড়ে ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগের কে এগিয়ে আছেন তা নিয়ে ভীষণ আগ্রহ রাজনৈতিক মহলের। এ আসনে মনোনয়ন পেতে আওয়ামী লীগের ডজন খানেক সম্ভাব্য প্রার্থীর নাম শোনা যাচ্ছে। 

চট্টগ্রাম নগরীর হালিশহর, পাহাড়তলী, ডবলমুরিং ও খুলশীর কিছু অংশ নিয়ে চট্টগ্রাম-১০ আসন গঠিত। ১৯৯১ সালের পর বিএনপির প্রার্থীরা তিনবার এই আসনে বিজয়ী হয়েছেন। গত তিনটি সংসদ নির্বাচনে আওয়ামী লীগের ডা. আফছারুল আমীন এই আসনে টানা তিনবার বিজয়ী হয়েছিলেন। তাঁর মৃত্যুতে আসনটি শূন্য হওয়ায় আগামী ৩০ জুলাই এ আসনের উপনির্বাচনের ভোট গ্রহণের তারিখ ঘোষণা করেছে নির্বাচন কমিশন। নির্বাচন কমিশনের তফসিল ঘোষণার পর মনোনয়নপ্রত্যাশীদের তৎপরতা লক্ষ্য করা যাচ্ছে। বিএনপি কিংবা দলটির সমর্থিত কোনো প্রার্থী এই নির্বাচনে আসবে কিনা এখন পর্যন্ত ঘোষণা না হলেও ক্ষমতাসীনদের টিকিট পাওয়ার প্রতিযোগিতায় অন্তত ডজনখানেক প্রার্থীর নাম শোনা যাচ্ছে। তাদের কেউ কেউ গত একাদশ সংসদে নৌকার মনোনয়ন চেয়েছেন, আবার কেউ প্রথমবারের মতো মনোনয়নপ্রত্যাশী। কেউ কেউ ব্যবসায়িক নেতা হিসেবে আওয়ামী লীগের ঊর্ধ্বতন মহলের দৃষ্টি কাড়তে চেষ্টা করছেন। আবার ডা. আফছারুল আমীনের পরিবারের সদ্যরাও আছেন এই তালিকায়।

চট্টগ্রামের বিভিন্ন মহলে খোঁজ নিয়ে জানা যায়, নৌকার মনোনয়নপ্রত্যাশীরা হলেন, মহানগর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও সাবেক সিটি মেয়র আ জ ম নাছির উদ্দীন, চট্টগ্রাম চেম্বারের প্রেসিডেন্ট মাহবুবুল আলম, মহানগর আওয়ামী লীগের সহসভাপতি আলতাফ হোসেন বাচ্চু, এম এ আজিজ পুত্র সাইফুদ্দিন খালেদ বাহার, নিরাপত্তা বিশ্লেষক মেজর (অব.) মোহাম্মদ এমদাদুল ইসলাম, যুবলীগের সাবেক প্রেসিডিয়াম সদস্য সৈয়দ মাহমুদুল হক, বিজিএমইএ’র সাবেক প্রথম সহসভাপতি মাইন উদ্দিন মিন্টু, আওয়ামী লীগ নেতা ফরিদ মাহমুদ, মহিউদ্দিন বাচ্চু, ডা. আফছারুল আমীনের ছোট ভাই এরশাদুল আমিন ও পুত্র ফয়সাল আমীন।

মনোনয়নপ্রত্যাশী বিভিন্ন মহলে তৎপরতা শুরু করলেও ডা. আমীনের মৃত্যুর শোক কাটিয়ে ওঠার আগে এ বিষয়ে খোলাখুলি মন্তব্য করছেন না কেউ। তবে নাম প্রকাশ না করে একাধিক  নেতা দলের কাছে মনোনয়ন চাইবেন বলে স্বীকার করেছেন।

এদের মধ্যে মেজর (অব.) মোহাম্মদ এমদাদুল ইসলাম বাংলাদেশ প্রতিদিনকে বলেন, এই এলাকার মানুষের সঙ্গে আমার হৃদ্যতা আছে। তাদের জন্য কিছু করতে চাই। নৌকা পেলে নির্বাচন করব। অপর মনোনয়নপ্রত্যাশী আওয়ামী লীগ নেতা ফরিদ মাহমুদ বলেন, গত ১৫ বছর ধরে এই আসনের মানুষের সুখে-দুঃখে ছিলাম। আগামী দিনেও থাকব। দলীয় সভানেত্রী যদি আমাকে সুযোগ দেন আমি এলাকার মানুষের জন্য কাজ করার পাশাপাশি দলের ভাবমূর্তি উজ্জ্বল করতে সর্বোচ্চ চেষ্টা করব। আওয়ামী লীগের একজন কেন্দ্রীয় নেতা জানান, অল্প মেয়াদের জন্য এই উপনির্বাচন অনুষ্ঠিত হলেও আওয়ামী লীগ খুব সতর্কতার সঙ্গে এই আসনে মনোনয়ন দেবে। কারণ, এই মুহূর্তে যিনি মনোনয়ন পাবেন তিনিই দ্বাদশ সংসদ নির্বাচনেও পুনরায় মনোনয়ন পাওয়ার ক্ষেত্রে এগিয়ে থাকবেন।

সর্বশেষ খবর