সোমবার, ১২ জুন, ২০২৩ ০০:০০ টা

খালেদা জিয়ার মুক্তির গুঞ্জনটি গুজব

নিজস্ব প্রতিবেদক

খালেদা জিয়ার মুক্তির গুঞ্জনটি গুজব

আনিসুল হক

বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়াকে মুক্তি দেওয়া হতে পারে বলে যে গুঞ্জন শোনা যাচ্ছে তাকে গুজব বলে মন্তব্য করেছেন আইন, বিচার ও সংসদ বিষয়ক মন্ত্রী আনিসুল হক। তিনি বলেন, ‘তাকে (খালেদা জিয়া) প্রধানমন্ত্রীর মহানুভবতায় দন্ড স্থগিত রেখে শর্ত সাপেক্ষে মুক্তি দেওয়া হয়েছে। কারণ তার আবেদনে বলা হয়েছে তিনি অসুস্থ। খালেদা জিয়া যদি এখন বলেন তিনি সুস্থ, তাহলে তাকে বাকি সাজা খাটার জন্য জেলে যেতে হবে।’ গতকাল রাজধানীর সেগুনবাগিচায় ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটিতে ল’ রিপোর্টার্স ফোরাম আয়োজিত ‘মিট দ্য রিপোর্টার্স’ অনুষ্ঠানে তিনি এসব কথা বলেন। ফোরামের সভাপতি আশুতোষ সরকারের সভাপতিত্বে ও সাধারণ সম্পাদক আহমেদ সরোয়ার হোসেন ভূঁইয়ার সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে আরও উপস্থিত ছিলেন আইন সচিব গোলাম সারোয়ার, যুগ্ম সচিব বিকাশ কুমার সাহা, ফোরামের সহসভাপতি দিদারুল আলম দিদার, যুগ্ম সম্পাদক ফজলুল হক মৃধা, অর্থ সম্পাদক আবদুল জাব্বার খান, সাংগঠনিক সম্পাদক আরাফাত মুন্না, দফতর সম্পাদক এস এম নুর মোহাম্মদ, প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক জাহিদ হাসান প্রমুখ। অনুষ্ঠানে আইনমন্ত্রী উপস্থিত গণমাধ্যমকর্মীদের বিভিন্ন প্রশ্নের জবাব দেন। এক প্রশ্নের জবাবে মুক্তিযুদ্ধকালে জামায়াতের ভূমিকা প্রসঙ্গে আইনমন্ত্রী বলেন, ‘যতক্ষণ পর্যন্ত রায়ে দোষী সাব্যস্ত না করা হয় ততক্ষণ আমি বলতে পারব না জামায়াত দোষী।’ জামায়াতের বিচার-প্রক্রিয়া শুরু হবে উল্লেখ করে আইনমন্ত্রী বলেন, ‘আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে যে বিচার করে আসছি সেখান থেকে যে তথ্য-উপাত্ত পাওয়া গেছে, জামায়াতকে যুদ্ধাপরাধী দল হিসেবে বিচার করার যথেষ্ট সুযোগ রয়েছে। কিন্তু বিচার করার পরই এটা বলা যাবে দলটি দোষী কি নির্দোষ।’ যুক্তরাষ্ট্রের ঘোষিত নতুন ভিসানীতি দেশের বিচার বিভাগকেও স্পর্শ করেছে কি না, এমন প্রশ্নের জবাবে আইনমন্ত্রী বলেন, ‘একটা কথা পরিষ্কার বলতে চাই। এই ভিসানীতি যার বিরুদ্ধেই ব্যবহার করা হোক না কেন, যেহেতু এটা বাংলাদেশের ব্যাপারে দেওয়া হয়েছে; সেটা সরকারি দল বা বিরোধী দল হোক; আমেরিকার এই সিদ্ধান্তে আমরা অপমানিত হয়েছি। তবে এই ভিসানীতিতে আমরা বিচলিত নই।’ আনিসুল হক বলেন, ‘এটা তারা যদি সুষ্ঠুভাবে প্রয়োগ করেন তাহলে আমাদের কোনো আপত্তি নেই। কিন্তু তারা যদি মাত্র একটা দলের বিরুদ্ধে ব্যবহার করেন তাহলে আমাদের আপত্তি আছে। এখানে বিচার বিভাগকে কেন টেনে আনা হলো, সেই বিষয়টা স্পষ্টকরণের জন্য বলেছি।’ আরেক প্রশ্নের জবাবে আইনমন্ত্রী বলেন, বিচার বিভাগ ডিজিটালাইজড করার লক্ষ্যে নেওয়া ই-জুডিশিয়ারি প্রকল্প এখন চূড়ান্ত পর্যায়ে রয়েছে। ২ হাজার ৩০০ কোটি টাকা ব্যয়ে নেওয়া এ প্রকল্পটি অনুমোদনের জন্য খুব শিগগিরই একনেকের সভায় ওঠবে। এ ছাড়া বিচারক ও আইন কর্মকর্তাদের উন্নতমানের প্রশিক্ষণের লক্ষ্যে বাংলাদেশ জুডিশিয়াল একাডেমি প্রকল্পটি জমি অধিগ্রহণ পর্যায়ে রয়েছে বলেও জানান আইনমন্ত্রী।

সর্বশেষ খবর