সোমবার, ১২ জুন, ২০২৩ ০০:০০ টা

গণতন্ত্রের মুক্তি দিবস ১১ জুন

নিজস্ব প্রতিবেদক

গণতন্ত্রের মুক্তি দিবস ১১ জুন

তথ্য ও সম্প্রচারমন্ত্রী এবং আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ড. হাছান মাহমুদ বলেছেন, ২০০৮ সালের ১১ জুন জননেত্রী শেখ হাসিনা ১১ মাস কারাভোগের পর মুক্তি লাভ করেন।

গণতন্ত্রের পায়ে শেকল পরাতেই তাঁকে গ্রেফতার করা হয়েছিল। ১১ জুন তাই শুধু ব্যক্তি শেখ হাসিনা নয়, গণতন্ত্রের মুক্তি দিবস।

গতকাল সচিবালয়ে প্রেস ইনস্টিটিউট অব বাংলাদেশ (পিআইবি) প্রকাশিত ‘সংবাদপত্রে বঙ্গবন্ধু : জুলিও কুরি ও এশীয় শান্তি সম্মেলন’ গ্রন্থের মোড়ক উন্মোচনকালে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন। তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব মো. ফারুক আহমেদ, পিআইবির মহাপরিচালক জাফর ওয়াজেদ, সহযোগী সম্পাদক এ কে এম শামসুদ্দিন, গ্রন্থকার ও গবেষক পপি দেবী থাপা প্রমুখ এ সময় উপস্থিত ছিলেন। তথ্যমন্ত্রী বলেন, বিএনপি-জামায়াতের দুঃশাসন, অপরাজনীতি, জঙ্গিবাদের উত্থান, দুর্নীতিতে পরপর পাঁচবার দেশ বিশ্ব চ্যাম্পিয়ন- এমনই এক প্রেক্ষাপটে ক্ষমতায় আসে সেনাসমর্থিত তত্ত্বাবধায়ক সরকার। অথচ ক্ষমতায় এসে তারা নিজেরাই লিপ্ত হয় দুর্নীতি, অপশাসনে। যাদের দুঃশাসনের কারণে তারা ক্ষমতায় এসেছিল তাদের (বিএনপি) বিরুদ্ধে ব্যবস্থা না নিয়ে তারা প্রথমেই গ্রেফতার করে শেখ হাসিনাকে। কারণ একমাত্র শেখ হাসিনাই তখন তত্ত্বাবধায়কের অপশাসনের বিরুদ্ধে কথা বলেছিলেন। কিন্তু আওয়ামী লীগের নেতা-কর্মীদের দুর্বার আন্দোলনে তারা বুঝতে পারে মুক্ত শেখ হাসিনার চেয়ে বন্দি শেখ হাসিনা অনেক বেশি শক্তিশালী।

তিনি বলেন, ১১ জুন তাই গণতন্ত্রের মুক্তি দিবস। শেখ হাসিনা মুক্তি না পেলে আমাদের দেশের পরিস্থিতি পাকিস্তান কিংবা তার চেয়েও খারাপ হতো।

গত শনিবার রাজধানীতে জামায়াতে ইসলামীর সমাবেশ নিয়ে তথ্যমন্ত্রী বলেন, জামায়াত এখনো নিষিদ্ধ হয়নি। রাজনৈতিক দল হিসেবে তাদের সমাবেশের অনুমতি দেওয়া হয়েছে। বিএনপি জোটের প্রধান শরিক হলো জামায়াত। সমাবেশে আস্ফালন করে তারা যে বক্তব্য দিয়েছে, এগুলো আসলে বিএনপিরই বক্তব্য। বিএনপিই জামায়াতকে দিয়ে এসব কথা বলিয়েছে। ২০১৪ সালে নির্বাচন প্রতিহত করতে তারা শত শত মানুষ পুড়িয়ে মেরেছিল। এগুলো তারই ইঙ্গিত। সুযোগ দিলে তারা কী করতে পারে সেটি তাদের বক্তব্যে পরিষ্কার হয়েছে। তথ্যমন্ত্রী বলেন, আমরা চাই সব রাজনৈতিক দল নির্বাচনে আসুক। নির্বাচনের বাকি মাত্র ছয় মাস। এখন রাজনৈতিক দলগুলো সভা-সমাবেশ করবে, নির্বাচনের পরিবেশ তৈরি করবে, এটিই স্বাভাবিক। কিন্তু বিএনপি-জামায়াতের উদ্দেশ্য তা নয়। অতীত পর্যালোচনা আর তাদের সাম্প্রতিক বক্তব্য ব্যাখ্যা করলে দেখা যাচ্ছে- তারা অতীতের পুনরাবৃত্তি করার চেষ্টা চালাচ্ছে।

সর্বশেষ খবর