মঙ্গলবার, ১৩ জুন, ২০২৩ ০০:০০ টা

হামলা উত্তেজনা বরিশালে

নিজস্ব প্রতিবেদক, বরিশাল

হামলা উত্তেজনা বরিশালে

দিনভর উত্তেজনার মধ্য দিয়ে শেষ হয়েছে বরিশাল সিটি করপোরেশন নির্বাচনের ভোট গ্রহণ। ভোটের সময় হাতপাখা প্রার্থীর ওপর নৌকা সমর্থকদের হামলা চালানোর অভিযোগ পাওয়া গেছে। পাশাপাশি আওয়ামী লীগ থেকে অভিযোগ করা হয়েছে, ভোটের সময় রামদা, অস্ত্র ও লাঠি নিয়ে ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের নেতা-কর্মী, সমর্থকরা মহড়া দিয়েছেন। প্রাপ্ত খবর অনুযায়ী, গতকাল সকাল থেকে বিকাল পর্যন্ত বিচ্ছিন্ন কয়েকটি ঘটনা ছাড়া অনেকটা শান্তিপূর্ণ পরিবেশে ভোট হলেও অপ্রীতিকর ঘটনা ঘটে নগরীর ২২ নম্বর ওয়ার্ডের চৌমাথা ছাবেরা খাতুন বালিকা মাধ্যমিক বিদ্যালয় কেন্দ্রে। এখানে দুপুরে ভোট কেন্দ্র পরিদর্শন শেষে বের হওয়ার সময় হামলার শিকার হন হাতপাখার প্রার্থী ফয়জুল করীম, তার ছেলে ফজলুল করীম মুজাহিদ এবং মো. তারেক নামে এক কর্মী। এ সময় তারা আঘাতে রক্তাক্ত হন বলে অভিযোগ করা হয়েছে। ঘটনার পর রিটার্নিং কর্মকর্তা এবং মেট্রোপলিটন পুলিশ কমিশনার ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়ার হুঁশিয়ারি দেন। এ ছাড়া বিকাল ৩টার দিকে ২৫ নম্বর ওয়ার্ডের জাগুয়া কলেজ কেন্দ্রে হাতপাখার পোলিং এজেন্ট বের করে দেওয়া নিয়ে আওয়ামী লীগের সঙ্গে সংঘর্ষ বাধলে উভয় পক্ষের ১০ জন আহত হন। সব মিলিয়ে দিনভর উত্তেজনার মধ্য দিয়ে ভোট গ্রহণ সম্পন্ন হয়। বিকাল ৪টায় সদর রোডে আওয়ামী লীগ প্রার্থীর প্রধান নির্বাচন কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে নৌকা প্রার্থীর চিফ ইলেকশন এজেন্ট ও মহানগর আওয়ামী লীগের সিনিয়র সহসভাপতি আফজালুল করিম, নৌকার পক্ষে কাজ করায় সংশ্লিষ্টদের ধন্যবাদ এবং অভিনন্দন জানিয়ে বলেন, নৌকার কর্মীরা কারও ওপর হামলা করেনি। তবে একটি অস্থিতিশীল পরিস্থিতি সৃষ্টি করতে ইসলামী আন্দোলন প্রার্থী বাইরের বিভিন্ন জেলা-উপজেলা থেকে লাঠিসোঁটা এবং ধারালো অস্ত্র নিয়ে নগরীতে প্রবেশ করে। তিনি প্রশ্ন তোলেন, ‘মহড়া দিয়ে, লাঠি নিয়ে, অস্ত্র নিয়ে, রামদা নিয়ে কীভাবে সিটি করপোরেশন নির্বাচন চলার সময় তারা শহরে ঢুকল?’ সংবাদ সম্মেলনে প্রশ্ন করা হয়, যারা সৈয়দ ফয়জুল করীমের ওপর হামলা করেছে, তাদের গলায় আওয়ামী লীগের ব্যাজ ছিল। জবাবে আফজালুল করিম বলেন, ‘এটা সম্পূর্ণ মিথ্যা একটি অভিযোগ। তিন দিন ধরে এ রকম নানান মিথ্যা অভিযোগ দিয়ে আসছে। আমাদের সঙ্গে তাদের এখন পর্যন্ত কোনো সংঘর্ষ হয়নি।’ ফয়জুল করীমকে রক্তাক্ত করার ঘটনা অনাকাক্সিক্ষত মন্তব্য করে তিনি বলেন, ‘একটা ভিডিও দেখেছি, হঠাৎ করে তাদের কার্যালয়ের ভিতরে অরাজকতা। এ দ্বারা আমার মনে হয়, সুপরিকল্পিত কোনো পরিকল্পনা থাকতে পারে শহরের ভিতর অরাজকতা তৈরির জন্য। আমাদের দিক থেকে তাদের সঙ্গে কোনো বৈরিতা নেই, ছিলও না, ভবিষ্যতেও থাকবে না।’ আফজালুল করিম আরও বলেন, ভোটাররা অত্যন্ত আনন্দচিত্তে সুন্দরভাবে ভোট দিয়েছেন।

হামলার ঘটনায় বিক্ষোভ : হাতপাখার প্রার্থী ফয়জুল করীমের ওপর হামলার প্রতিবাদে গতকাল বিকালে কিছু জায়গায় ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের বিক্ষোভের খবর পাওয়া গেছে। এসব বিক্ষোভ বগুড়া, রংপুরে হয়েছে।

 

 

এই রকম আরও টপিক

সর্বশেষ খবর