বুধবার, ১৪ জুন, ২০২৩ ০০:০০ টা
এবার চোখ সিলেট রাজশাহীতে

চ্যালেঞ্জ কেন্দ্রে ভোটার নেওয়া

কাজী শাহেদ, রাজশাহী

চ্যালেঞ্জ কেন্দ্রে ভোটার নেওয়া

রাজশাহী সিটি করপোরেশন (রাসিক) নির্বাচনে মেয়র পদে এখন প্রায় প্রতিদ্বন্দ্বীহীন আওয়ামী লীগের প্রার্থী এ এইচ এম খায়রুজ্জামান লিটন। ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের প্রার্থী নিজেকে সরিয়ে নেওয়ায় মাঠে আছে জাতীয় পার্টি (জাপা) ও জাকের পার্টি। কিন্তু আগে থেকেই এ দুটি দলের প্রচার-প্রচারণা নেই মাঠে। ফলে আওয়ামী লীগের জন্য চ্যালেঞ্জ হবে কেন্দ্রে ভোটার নিয়ে যাওয়া। যদিও আওয়ামী লীগ বলছে, স্থানীয় সরকার নির্বাচনে রাজনৈতিক দলগুলোর নির্বাচন বর্জন কোনো প্রভাব ফেলবে না। কাউন্সিলর প্রার্থীরা কেন্দ্রে ভোটার নিয়ে যেতে বড় ভূমিকা রাখবেন। ২১ জুন উৎসবমুখর হবে ভোট।

লিটন বাদে এবারের নির্বাচনে এখনো ভোটারদের কাছেই পরিচিত হতে পারেননি জাপা প্রার্থী সাইফুল ইসলাম স্বপন ও জাকের পার্টির লতিফ আনোয়ার। ভোটের মাঠেও নেই তাঁরা। আলোচনায়ও আসেনি তাঁদের নাম। লিফলেট, পোস্টারও দেখা যায়নি। মাঝে মাঝে মাইকের আওয়াজ শোনা গেলেও সেটি কম। তবে শুরু থেকে বিএনপির অনুপস্থিতির কারণে ইসলামী আন্দোলনের প্রার্থী মুরশিদ আলম ফারুকী কিছুটা আলোচনায় এলেও সোমবার বরিশালে তাদের নেতার ওপর হামলার জেরে নির্বাচন থেকে সরে দাঁড়ানোর ঘোষণা দিয়েছেন। এ অবস্থায় মাঠের প্রার্থী বলতে থাকলেন শুধু আওয়ামী লীগের খায়রুজ্জামান লিটন। নগর আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আহসানুল হক পিন্টু বলেন, ‘লিটন শুধু আওয়ামী লীগ বা ১৪ দলের প্রার্থী নন। তিনি রাজশাহীর উন্নয়নের প্রতীক। তাঁকে ভোট দিতেই নাগরিকরা কেন্দ্রে যাবেন।’ রাজশাহী সিটি করপোরেশন নির্বাচনের তফসিল ঘোষণার পর থেকেই মাঠে আছেন আওয়ামী লীগের মেয়র প্রার্থী খায়রুজ্জামান লিটন ও দলটির নেতা-কর্মীরা। প্রতিদিন মাঠে নামছেন তিনি। যেখানে যাচ্ছেন ভোটারদের ব্যাপক সাড়া পাচ্ছেন। আওয়ামী লীগ নেতারা বলছেন, লিটনের জয়ের ব্যাপারে আওয়ামী লীগ নিশ্চিত হলেও এখন ভোটের ব্যবধান নিয়ে ভাবছেন তাঁরা। এবারের নির্বাচনে তাঁরা কমপক্ষে ৭০ ভাগ ভোটার উপস্থিতি চান কেন্দ্রে। সে অনুযায়ী কাজ করছেন। খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, রাজশাহীতে মোট ভোটের একটি অংশ বিএনপি-জামায়াতের। তারা যদি কেন্দ্রে না যান তবে ভোটের অঙ্ক কমে যাবে। এ কারণে কেন্দ্রে ভোটার উপস্থিতি বাড়াতে নারী ও তরুণ ভোটারদের এবার আগ্রহী করতে তুলতে কাজ করছে রাজশাহী নগর আওয়ামী লীগ। গতকাল দুপুরে রাজশাহী মহানগরীর সাহেববাজার কাঁচাবাজারে গণসংযোগ করেন খায়রুজ্জামান লিটন। এ সময় ইসলামী আন্দোলনের প্রার্থীর ভোট বর্জনের বিষয়ে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ‘তাদের নির্বাচন করার মানসিকতা শেষ পর্যন্ত ধরে রাখা উচিত ছিল। কেন সরে গেল সেটা তারাই বলতে পারবে। তারা নির্বাচন বর্জন করলেও তাদের মার্কা তো থেকেই যাচ্ছে। কাজেই তাদের মার্কায় যারা ভোট দেওয়ার তারা দেবে।’ খায়রুজ্জামান লিটন আরও বলেন, জাতীয় পার্টি ও জাকের পার্টির মেয়র প্রার্থী নির্বাচনে আছেন। তাই নির্বাচন প্রতিদ্বন্দ্বিতাপূর্ণ না হওয়ার কোনো কারণ নেই। তাঁরা নিশ্চয় তাদের প্রচার-প্রচারণা বাড়াবেন।’ ২১ জুন রাজশাহী সিটি করপোরেশন নির্বাচনের ভোট গ্রহণ। এবার চারজন মেয়র পদে লড়ছেন। আর ৩০ সাধারণ ওয়ার্ডে ১১২ জন কাউন্সিলর প্রার্থী আছেন। তবে ২০ নম্বর ওয়ার্ডে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় কাউন্সিলর নির্বাচিত হয়েছেন। রাজশাহী সিটিতে ভোটার ৩ লাখ ৫১ হাজার ৯৮২ জন। ভোট কেন্দ্র ১৫৫টি।

সর্বশেষ খবর