বুধবার, ১৪ জুন, ২০২৩ ০০:০০ টা

চিকিৎসকদের বিক্ষোভে উত্তাল বিএসএমএমইউ

নিজস্ব প্রতিবেদক

চিকিৎসকদের বিক্ষোভে উত্তাল বিএসএমএমইউ

বিএসএমএমইউতে চিকিৎসকদের বিক্ষোভ

বেতন-ভাতা বৃদ্ধি, বকেয়া পরিশোধ এবং ভাতা নিয়মিত করার দাবিতে আন্দোলন করছেন বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বিএসএমএমইউ) প্রশিক্ষণার্থী ৫ শতাধিক চিকিৎসক। এর অংশ হিসেবে কার্যালয়ে উপাচার্যকে অবরুদ্ধ করে সামনে অবস্থান নেন তাঁরা। গতকাল আন্দোলনের একপর্যায়ে ভিসিপন্থি শিক্ষকরা গিয়ে আন্দোলনকারীদের বাধা দেওয়ার চেষ্টা করেন। সরকারের সঙ্গে আলাপ করে সমস্যা সমাধানে আন্দোলনকারীদের কাছে সময় চেয়েছেন বিএসএমএমইউ উপাচার্য। এর পরও আন্দোলন করলে কোর্স আউটের হুঁশিয়ারি দেন তিনি। জানা যায়, বেলা ১১টা থেকে বিশ্ববিদ্যালয়ের সি ব্লকের সামনে জড়ো হতে থাকেন চিকিৎসকরা। এরপর উপাচার্যের কার্যালয়ের সামনে বিক্ষোভ শুরু করেন। এ সময় চিকিৎসকরা ৫০ হাজার টাকা ভাতা দাবিসহ তিন দফা দাবিতে বিভিন্ন স্লোগান দিতে থাকেন। বেলা সাড়ে ১১টার দিকে তাঁরা উপাচার্যের কার্যালয়ের সামনে অবস্থান নিলে কক্ষে অবরুদ্ধ হয়ে পড়েন উপাচার্য। একপর্যায়ে উপাচার্যপন্থি চিকিৎসকরা কার্যালয়ের নিচে অবস্থান নেন। পরে দুপুর ২টার দিকে আন্দোলনকারী চিকিৎসকদের সঙ্গে বৈঠক করেন উপাচার্য। বৈঠক শেষে উপাচার্য সাংবাদিকদের বলেন, ‘আন্দোলনকারীরা যদি কর্মবিরতিতে যেতে চায়, তাহলে কিন্তু কোর্সআউট হয়ে যাওয়ার শঙ্কা আছে। এটা যেন তারা মাথায় রাখে। আমাদের আইনে আছে, কোনো শিক্ষার্থী যদি টানা তিন দিন ক্লাসে উপস্থিত না থাকে, তাহলে তাদের বের করে দেওয়া যাবে। তারা আমাদের সন্তানের মতো। তাদের আমরা বুঝিয়ে বলেছি যে স্বাস্থ্যমন্ত্রী এবং সচিবের সঙ্গে কথা বলে তাদের দাবিপূরণের চেষ্টা করব। তার পরও যদি তারা কর্মবিরতিতে যায়, তাহলে তারা কোর্সআউট হয়ে যেতে পারে।’ আন্দোলনরত চিকিৎসকরা বলেন, ২০১৯-২০ সেশন থেকে নন-রেসিডেন্স কোর্সের ছাত্রছাত্রীদের প্রতি মাসে ২০ হাজার টাকা করে মাসিক ভাতা দেওয়ার সিদ্ধান্ত হয়। কিন্তু পরের বছর থেকেই তা অনিয়মিত হয়ে যায়। ২০২২-২৩ সেশনের নন-রেসিডেন্স চিকিৎসকরা ১২ মাসের মধ্যে মাত্র তিন মাসের ভাতা পেয়েছেন, বাকি নয় মাসই বকেয়া। কোর্সে থাকাকালীন অন্য কোনো চাকরি, ডিউটি, চেম্বার ইত্যাদি করার অনুমতি না থাকায় এ কোর্সের চিকিৎসকরা মানবেতর জীবনযাপন করছেন।

আন্দোলনরত এক প্রশিক্ষণার্থী চিকিৎসক বলেন, ‘বেলা ১১টা থেকে বেতন বৃদ্ধি ও বকেয়া বেতনের দাবিতে আমরা উপাচার্যের কার্যালয়ের সামনে শান্তিপূর্ণ অবস্থান করছিলাম। দুপুর ২টার দিকে ১০-১২ জন প্রতিনিধি দেখা করতে গেলে তিনি আন্দোলন করার কারণে কিছুটা রেগে যান। আন্দোলনটাকে রাজনৈতিকভাবে নেওয়ার ইঙ্গিত করেন। এ সময় উপাচার্য অধ্যাপক ডা. শারফুদ্দিন আহমেদ বলেন, “এটা আমার হাতে নেই। আমি সরকারের সঙ্গে আলাপ করব। প্রয়োজনে তোমাদের প্রতিনিধিদের নিয়ে স্বাস্থ্যমন্ত্রী, সচিবের কাছে যেতে পারি”। কিন্তু তিনি নির্দিষ্টভাবে কিছুই বলেননি। এতে আমরা হতাশ। আমাদের পরবর্তী কর্মসূচি বিষয়ে এখনো সিদ্ধান্ত হয়নি।’

সর্বশেষ খবর