বাংলাদেশ সরকারের ট্রাভেল পাস সংগ্রহ করেছেন ভারতে অবস্থানরত বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য সালাহউদ্দিন আহমেদ। এখন আর দেশে ফিরতে বাধা নেই তার। গতকাল বাংলাদেশ প্রতিদিনকে টেলিফোনে সালাহউদ্দিন আহমেদ বলেন, সোমবার দিবাগত রাত ১১টার দিকে তিনি ট্রাভেল পাস হাতে পান। এটি ৮ জুন ইস্যু করা হয়েছে। এখন ভারতে কিছু আইনি প্রক্রিয়া রয়েছে, সেগুলো সম্পন্ন করবেন তিনি। একই সঙ্গে শারীরিক চেক-আপ করাবেন। ২০১৫ সালের ১১ মে থেকে ভারতের মেঘালয় রাজ্যের রাজধানী শিলংয়ে অবস্থান করছেন বিএনপি জোট সরকারের মন্ত্রী সালাহউদ্দিন আহমেদ। তার আগের দুই মাস দেশের ভিতরেই ছিলেন নিখোঁজ। ট্রাভেল পাস পাওয়ায় এখন আর তার দেশে ফিরতে বাধা নেই। তবে দেশে ফেরার আগে তাকে ভারত সরকারের কিছু নিয়ম পালন করতে হবে। তাছাড়া আদালতের কাগজপত্রসহ নানা আনুষঙ্গিক বিষয় বাকি রয়েছে। দল ও পরিবারের পক্ষ থেকে অভিযোগ, ২০১৫ সালের ১০ মার্চ গভীর রাতে রাজধানীর উত্তরার ৩ নম্বর সেক্টরের ১৩/বি নম্বর সড়কে ৪৯/বি নম্বর বাড়ির ২/বি নম্বর ফ্ল্যাট থেকে র‌্যাব ও আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর পরিচয়ে সালাহউদ্দিনকে তুলে নিয়ে যাওয়া হয়। দুই মাস পর পাশের দেশ ভারতের মেঘালয় রাজ্যের সীমান্ত এলাকায় উদ্দেশ্যহীনভাবে ঘুরে বেড়াতে দেখা যায় তাকে। গ্রেফতারের পর তার বিরুদ্ধে ভারতে অনুপ্রবেশের দায়ে মামলা হয়। প্রায় সাড়ে তিন বছর মামলার কার্যক্রম চলার পর ২০১৮ সালের ২৬ অক্টোবর আদালত নির্দোষ হিসেবে রায় দেন। পরে ভারত সরকার রায়ের বিরুদ্ধে আপিল করে। এ বছরের ২৮ ফেব্রুয়ারি শিলংয়ের জজ কোর্টের রায়ে তিনি বেকসুর খালাস পান। তখন থেকেই তিনি শিলংয়ে অবস্থান করছেন।

সিভিল সার্ভিস কর্মকর্তা সালাহউদ্দিন আহমেদ ১৯৯১ সালে তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়ার এপিএস ছিলেন। ২০০১ সালে কক্সবাজার থেকে বিএনপির টিকিটে সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন তিনি। তাকে বিএনপি-জামায়াত জোট সরকারের যোগাযোগ প্রতিমন্ত্রী করা হয়েছিল। নিখোঁজ ও মেঘালয়ে আটকের সময় তিনি বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব ছিলেন। ভারতের জেলবাসের সময় তাকে বিএনপি স্থায়ী কমিটির সদস্য করা হয়।