বুধবার, ১৪ জুন, ২০২৩ ০০:০০ টা
দুদকে মান্নান

পি কে হালদার বড় মাস্টারমাইন্ড

নিজস্ব প্রতিবেদক

ঋণের নামে প্রায় ২৬৭ কোটি টাকা আত্মসাৎ মামলার তদন্তে বাংলাদেশ ইন্ডাস্ট্রিয়াল ফাইন্যান্স করপোরেশন লিমিটেডের (বিআইএফসি) সাবেক চেয়ারম্যান ও বিকল্পধারা বাংলাদেশের মহাসচিব মেজর (অব.) আবদুল মান্নান এমপি-কে জিজ্ঞাসাবাদ করেছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)।

রাজধানীর সেগুনবাগিচায় দুদকের প্রধান কার্যালয়ে গতকাল সকাল সাড়ে ১০টা থেকে বেলা সোয়া ১টা পর্যন্ত তাকে জিজ্ঞাসাবাদ করেন সংস্থাটির সহকারী পরিচালক আফরোজা হক খান। জিজ্ঞাসাবাদ শেষে লক্ষ্মীপুর-৪ (রামগতি-কমলনগর) আসনের এমপি মেজর (অব.) আবদুল মান্নান সাংবাদিকদের বলেন, এগুলো হয়রানিমূলক। যারা এই কোম্পানিটা (বিআইএফসি) প্রথমে দখল করতে চেয়েছে, তারাই দুদকে অভিযোগ দিয়েছে। পি কে হালদার (প্রশান্ত কুমার হালদার) এই ঘটনার সবচেয়ে বড় মাস্টারমাইন্ড। বিআইএফসির সব টাকা পি কে হালদার লুট করেছেন দাবি করে মেজর (অব.) মান্নান বলেন, পি কে হালদার এবং তার লোকেরা আমাদের বরখাস্ত করে পাঁচ বছর বিআইএফসি দখলে রাখে। ওই সময়ে সে (পি কে হালদার) বিআইএফসি লুট করে সব টাকা নিয়ে গেছে। আমাদের কোম্পানির শেয়ারহোল্ডারদের সব টাকা যে নিয়ে গেল, তার বিচার হচ্ছে না। তিনি আরও বলেন, পি কে হালদার ‘শুকজা ভেনসার’ নামে একটি ভুয়া কোম্পানি দেখিয়ে খোলাবাজার থেকে ৫ শতাংশ শেয়ার কেনে। পরে বাংলাদেশ ব্যাংকের জিএম শাহ আলমের সহায়তায় বিআইএফসিতে দুজন পরিচালক নিয়োগ দেয়, যা সম্পূর্ণ বেআইনি। পি কে হালদার, রুহুল আমিন এবং শাহআলম মিলে একটি সিন্ডিকেট তৈরি করে। মাত্র ৫ শতাংশ শেয়ার কিনে আমাদের ৯৫ শতাংশ শেয়ারহোল্ডারদের পরিচালনা পর্ষদ পুরো দখলে নেয়। পরে একে একে তাদের সব এজেন্ডা বাস্তবায়ন করে। এক প্রশ্নের জবাবে মেজর (অব.) মান্নান বলেন, ‘শুধু দুদকের গল্প পড়েন। আমার গল্পও পড়ুন, এখানে সব লেখা আছে। আপনারা আসল কাহিনি না পড়ে নকল কাহিনি নিয়ে সময় নষ্ট করছেন। দুদক কি গড? দুদক মামলা করলেই কি সব শেষ হয়ে গেল?’ তিনি বলেন, দুদকের করা ১১টি মামলা মিথ্যা, বানোয়াট ও উদ্দেশ্যপ্রণোদিত। সূত্র জানায়, বিআইএফসি থেকে ২৬৬ কোটি ৫০ লাখ টাকা উত্তোলন করে আত্মসাতের ঘটনায় মেজর (অব.) আবদুল মান্নান ও তার স্ত্রী উম্মে কুলসুম মান্নানসহ প্রতিষ্ঠানের পরিচালনা পর্ষদের সদস্য এবং কর্মকর্তাদের বিরুদ্ধে ১১টি মামলা করেছে দুদক। ইতোমধ্যে দুটি মামলার চার্জশিট দেওয়া হয়েছে ও ৯টি মামলা এখনো তদন্তাধীন।

সর্বশেষ খবর