নির্বাচন কমিশনার রাশেদা সুলতানা বলেছেন, ‘ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের প্রার্থী নির্বাচন বয়কটের ঘোষণা দিলেও আইনগতভাবে আর প্রত্যাহারের সুযোগ নেই। তারা কীভাবে নির্বাচনী কাজ করবেন সেটি তাদের বিষয়। এ বিষয়ে আমাদের কিছু বলার নাই। প্রার্থী যদি না-ই আসেন শেষ পর্যন্ত, তাহলে আমাদের আরও প্রার্থী আছেন। কাউন্সিলর প্রার্থীরা আছেন। নিশ্চয় তারাও তাদের কাক্সিক্ষত ভোট হোক, সেটা চাইবেন। আমরা বিশ্বাস করি যে, ভোটাররা আসবেন।’ গতকাল রাজশাহীতে সিটি নির্বাচনের প্রিসাইডিং অফিসারদের সঙ্গে মতবিনিময় সভার শুরুতে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি এসব কথা বলেন। ইসি রাশেদা সুলতানা বলেন, ‘কোনো প্রার্থী আচরণবিধি লঙ্ঘন করলে তাদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে। এমনকি তাদের প্রার্থিতাও বাতিল করা হতে পারে। সিটি নির্বাচন ঘিরে কমিশন সতর্ক ও অনড় অবস্থানে আছে। কোনো অনিয়ম হলে সঙ্গে সঙ্গে ব্যবস্থা নেওয়া হবে। রাজশাহীতে প্রচার-প্রচারণার ক্ষেত্রে এখন পর্যন্ত বড় ধরনের কোনো আচরণবিধি লঙ্ঘনের ঘটনা আমরা পাইনি। প্রার্থীদের আচরণবিধি লঙ্ঘনের বিষয়টি কঠোরভাবে নজরদারি করা হচ্ছে।’

ভোটারদের নির্বিঘ্নে কেন্দ্রে যাওয়ার আহ্বান জানিয়ে নির্বাচন কমিশনার রাশেদা সুলতানা বলেন, নির্বাচন সুষ্ঠুভাবে সম্পন্ন করতে আইনের কাঠামোয় যা যা দরকার তার সব ধরনের প্রস্তুতি গ্রহণ করা হয়েছে। প্রয়োজনমতো আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্য দায়িত্বে নিয়োজিত থাকবেন। নির্বাচন চলাকালে প্রিসাইডিং কর্মকর্তা তার ওপর অর্পিত দায়িত্ব পালন করবেন। রাজশাহী সিটি নির্বাচনে চারজন মেয়র, ১১২ জন সাধারণ কাউন্সিলর ও ৪৬ জন সংরক্ষিত ওয়ার্ডে নারী কাউন্সিলর প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। তবে আনুষ্ঠানিক নির্বাচন বর্জনের ঘোষণা দিয়ে ভোটের মাঠের বাইরে আছেন ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের প্রার্থী। ৩০ ওয়ার্ডে ভোটার আছেন ৩ লাখ ৫১ হাজার ৯৪৫ জন, যার মধ্যে নতুন ভোটার ৩০ হাজার।