শিরোনাম
শনিবার, ১৭ জুন, ২০২৩ ০০:০০ টা
মার্কিন রিপোর্ট

মানব পাচার রোধে ভালো করছে বাংলাদেশ

কূটনৈতিক প্রতিবেদক

মানব পাচার প্রতিরোধে ভালো করছে বাংলাদেশ। কিন্তু এটি বন্ধে এবং ভুক্তভোগীদের সহায়তার জন্য আরও অনেক করণীয় আছে বলে মনে করে যুক্তরাষ্ট্র। এ জন্য পাচারকারীদের আরও কঠোর শাস্তি ও মানব পাচার ট্রাইব্যুনালের সক্ষমতা বৃদ্ধিসহ মোট ১০ দফা সুপারিশ করেছে ওই দেশের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়। বৃহস্পতিবার রাতে ওয়াশিংটন থেকে স্টেট ডিপার্টমেন্টের প্রকাশিত ‘মানব পাচার রিপোর্ট ২০২৩’-এ এসব সুপারিশ করা হয়। গত বছরের মতো এবারও বাংলাদেশের অবস্থান টিয়ার ২-এ (দ্বিতীয় স্তর)। এর আগে ২০২০ সালে টিয়ার ২ ওয়াচলিস্ট থেকে টিয়ার ২-এ উন্নীত হয় বাংলাদেশ।

ইউএস ট্রাফিকিং ইন পারসনস (টিআইপি) শীর্ষক প্রতিবেদনে ১০ দফা সুপারিশে প্রথমটিতে মানব পাচার অপরাধের তদন্ত ও বিচার প্রক্রিয়া আরও ভালো করার পরামর্শ দেওয়া হয়েছে। মার্কিন বিবেচনায় অপরাধীদের শুধু অর্থদন্ড নয়, একই সঙ্গে কঠোর কারাদন্ড দিতে হবে মানব পাচার প্রতিরোধে। মানব পাচারের ভুক্তভোগীদের চিহ্নিত করার সুপারিশ করার পাশাপাশি ট্রাইব্যুনালের সক্ষমতা বৃদ্ধির জন্য সরকারকে পদক্ষেপ নেওয়ার জন্য বলেছে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র। ভুক্তভোগীদের জন্য সেবা বৃদ্ধি করা, যেসব কোম্পানি বিদেশে লোক পাঠায় বা দালালদের ওপর নজরদারি বাড়ানো, যাতে তারা কাউকে প্রতারিত করতে বা বেশি অর্থ নিতে না পারে সেটির প্রতি আরও নজর দেওয়ার আহ্বান করেছে যুক্তরাষ্ট্র।

প্রতিবেদনে বলা হয়, বাংলাদেশ সরকার মানব পাচার দূর করতে ন্যূনতম মান পূরণ করতে না পারলেও এ লক্ষ্যে উল্লেখযোগ্য চেষ্টা চালিয়েছে সরকার। আগের বছরের তুলনায় বেশ কিছু গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপের কথাও উঠে এসেছে প্রতিবেদনে। বলা হচ্ছে, মানব পাচার বন্ধে পাচারকারীদের বিচারের আওতায় আনা, রোহিঙ্গা পাচারের ঘটনার তদন্তে প্রথমবারের মতো গুরুত্বারোপ এবং সরকারি রিক্রুটিং এজেন্সির বিদেশে লোক পাঠানোর ক্ষেত্রে ফি কমানোর দিকে নজর দিয়েছে বাংলাদেশ সরকার। তবে এ সমস্যা নির্মূলে ন্যূনতম যেসব ব্যবস্থা নেওয়া দরকার বাংলাদেশ সরকার সেগুলো পুরোপুরি নিতে পারছে না। ফলে আগের বছরের মতো এ বছরও দ্বিতীয় ধাপে বা টায়ার-২ এ রাখা হয়েছে বাংলাদেশকে। প্রতিবেদন অনুসারে, বাংলাদেশ সরকার প্রতি বছর ধারাবাহিকভাবে মানব পাচারের তথ্য প্রকাশ করেনি। ফলে সঠিকভাবে পরিস্থিতি নিরূপণ করাও সম্ভব হয়নি। ২০২২ সালে সরকারি হিসাব বলছে, পাচারের শিকার হয়েছে ২৪০ জন। অথচ সুশীল সমাজ এবং আন্তর্জাতিক সংস্থাগুলোর দাবি, কমপক্ষে ৬ হাজার ৭৮১ জন পাচারের শিকার হয়েছে।

সর্বশেষ খবর