মঙ্গলবার, ২০ জুন, ২০২৩ ০০:০০ টা
কাল ভোটের পরীক্ষা দুই সিটিতে

আওয়ামী লীগের শোডাউন রাজশাহীতে

নিজস্ব প্রতিবেদক, রাজশাহী

আওয়ামী লীগের শোডাউন রাজশাহীতে

রাজশাহী সিটি করপোরেশন নির্বাচনে প্রচার-প্রচারণা শেষ। নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বী মেয়র ও কাউন্সিলর প্রার্থীরা শেষবারের মতো গণসংযোগ, পথসভা ও মিছিল মিটিং সেরে নিয়েছেন। সকালে নির্বাচনের পরিবেশ, নিজের অবস্থান তুলে ধরে সংবাদ সম্মেলন করেন আওয়ামী লীগ প্রার্থী এ এইচ এম খায়রুজ্জামান লিটন। জাতীয় পার্টির প্রার্থীও প্রচারণা চালিয়েছেন। দুপুরে সংবাদ সম্মেলনে আওয়ামী লীগ প্রার্থী এ এইচ এম খায়রুজ্জামান লিটন রাজশাহী মহানগরবাসীর কল্যাণে কাজ করার জন্য নগরবাসীর কাছে আরেকবার সুযোগ চেয়ে বলেন, রাজশাহীর অবকাঠামো উন্নয়ন দৃশ্যমান হয়েছে। এবার আমার লক্ষ্য কর্মসংস্থান।

বিকালে নৌকার পক্ষে করা হয় নির্বাচনী শোডাউন। বিভিন্ন ওয়ার্ড থেকে খন্ড খন্ড মিছিল এসে হাজির হয় বাটার মোড়ের জয় বাংলা চত্বরে। সেখান থেকে বের করা হয় মিছিল। মিছিলে নেতুত্ব দেন মেয়র প্রার্থী এ এইচ এম খায়রুজ্জামান লিটন।

এদিকে সকালে নগরীর বিভিন্ন এলাকায় অনির্ধারিত প্রচারণা চালিয়েছেন জাতীয় পার্টির প্রার্থী সাইফুল ইসলাম স্বপন। এ সময় গণমাধ্যমকে তিনি বলেন, এ নির্বাচনে তারা থাকতে চাননি। কিন্তু কেন্দ্র শেষ পর্যন্ত অপেক্ষা করতে বলেছে। তারা দেখতে চান ভোটের পরিবেশ কেমন থাকে। শেষ পর্যন্ত ভোটাররা নির্বিঘ্নে ভোট দিতে পারেন কি না। জয়ের ব্যাপারে আশাবাদী স্বপন বলেন, নাগরিকরা তাদের পছন্দের ভোটারকে ভোট দেওয়ার সুযোগ পেলে লাঙল জয়ী হবে।

১৫৫ কেন্দ্রে বসছে সিসিটিভি : রাজশাহী সিটি করপোরেশনে ভোট কেন্দ্র ১৫৫। সব কেন্দ্রেই বসছে সিসিটিভি। এ ক্যামেরাগুলোর মাধ্যমে ঢাকা থেকে নির্বাচন কমিশন ভোট পর্যবেক্ষণ ও নিয়ন্ত্রণ করবে।

১৪৮ কেন্দ্র ঝুঁকিপূর্ণ : নগরীর ৩০টি ওয়ার্ডে সুষ্ঠুভাবে ভোট গ্রহণের সব প্রস্তুতি সম্পন্ন করেছে নির্বাচন কমিশন। সুষ্ঠুভাবে ভোট গ্রহণের জন্য পুলিশ, আনসারের পাশাপাশি স্ট্রাইকিং ফোর্স হিসেবে র‌্যাব, বিজিবি ও সাদা পোশাকে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী নিয়োজিত থাকবে। ১৫৫টি কেন্দ্রের মধ্যে ১৪৮টি কেন্দ্র ঝুঁকিপূর্ণ চিহ্নিত করে নিরাপত্তা জোরদার করা হয়েছে। এ ছাড়া ৩০ জন ম্যাজিস্ট্রেট নিয়োজিত করা হয়েছে। প্রতিটি ওয়ার্ডের জন্য একজন করে নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট দায়িত্ব পালন করবেন। রাজশাহী সিটিতে ৩ লাখ ৫১ হাজার ৯৮২ জন ভোট দেবেন। এর মধ্যে পুরুষ ভোটার ১ লাখ ৭১ হাজার ১৬৭ এবং নারী ১ লাখ ৮০ হাজার ৮০৯ ও হিজরা ভোটার ছয়জন। ১৫৫টি ভোট কেন্দ্রের ১১৫৩টি কক্ষে ভোট গ্রহণ করা হবে। এবারের নির্বাচনে মেয়র পদে চারজন, সাধারণ কাউন্সিলর পদে ১১২ জন ও সংরক্ষিত নারী কাউন্সিলর পদে ৪৬ জন প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। এর মধ্যে ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ নির্বাচন বয়কট করেছে।

 

 

সর্বশেষ খবর