মঙ্গলবার, ২০ জুন, ২০২৩ ০০:০০ টা
সাংবাদিক নাদিম হত্যা

ইউপি চেয়ারম্যান বাবু বহিষ্কার

প্রধানমন্ত্রীর সাক্ষাৎ চান সাংবাদিক নাদিমের স্ত্রী

নিজস্ব প্রতিবেদক

ইউপি চেয়ারম্যান বাবু বহিষ্কার

জামালপুর জেলার সাংবাদিক গোলাম রাব্বানী নাদিম হত্যায় জড়িত থাকায় বকশীগঞ্জ উপজেলার ৪ নম্বর সাধুরপাড়া ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান মাহমুদুল আলম বাবুকে সাময়িক বহিষ্কার করেছে স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয়। একই সঙ্গে ওই বর্বর হত্যাকান্ডের ঘটনায় তাকে চূড়ান্তভাবে কেন অপসারণ করা হবে না, জানতে কারণ দর্শানোর নোটিস প্রেরণের সিদ্ধান্ত নিয়েছে। সেখানে পত্র প্রাপ্তির ১০ কার্য দিবসের মধ্যে মাহমুদুল আলম বাবুকে জবাব দিতে বলা হয়েছে। এ সংক্রান্ত নথিতে স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রী মো. তাজুল ইসলাম স্বাক্ষর করেছেন। গতকাল স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয়ের জনসংযোগ বিভাগ থেকে গণমাধ্যমে পাঠানো এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে এসব তথ্য জানানো হয়। এদিকে হত্যাকান্ডের শিকার বাংলানিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম-এর জামালপুর জেলা প্রতিনিধি গোলাম রাব্বানী নাদিমের স্ত্রী মনিরা বেগম প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে সাক্ষাৎ করতে চেয়েছেন। গতকাল জামালপুর প্রেস ক্লাবে শোক সভা ও মিলাদ মাহফিলে সন্তানসহ উপস্থিত হয়ে তিনি তার এ আগ্রহের কথা জানান। মনিরা বেগম বলেন, আমি মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে সাক্ষাৎ করতে চাই। আপনারা যেভাবেই হোক প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে সাক্ষাৎ করার সুযোগ কওে দেবেন। আমি তার  সঙ্গে কথা বলতে চাই। আমার স্বামীর হত্যার বিচার চাই। আমার স্বামীর মৃত্যুর রাষ্ট্রীয় মর্যাদা চাই।

অনুসন্ধানে জানা যায়, সাংবাদিক নাদিম হত্যার পরিকল্পনা এক দিনের নয়? অনেকের মতে, এ হত্যাকান্ডের নেপথ্যে ক্ষমতাধর কেউ রয়েছেন, যার গ্রিন সিগন্যালেই খুন হন সাংবাদিক নাদিম। পুলিশ যদি আন্তরিক হন তাহলেই বেরিয়ে আসবে খুনের আসল ঘটনা। অনেকে ঘটনার পর উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি শাহিনা বেগম ও চেয়ারম্যান মাহমুদুল আলম বাবুর কল লিস্ট নিলে হত্যাকান্ডের আসল রহস্য বেরিয়ে আসবে বলেও মনে করেন। জানা যায়, যুদ্ধাপরাধী বাবুল চিশতি এবং যুদ্ধাপরাধীর সন্তানসহ বকশীগঞ্জ উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি শাহিনা বেগমের বিরুদ্ধে গণমাধ্যমে চাঞ্চল্যকর সংবাদ প্রকাশ করেছিলেন সাংবাদিক নাদিম। সে সময়েও তার ওপরে হামলা করা হয়। সেই হামলার পেছনে উপজেলা আওয়ামী লীগ সভাপতি শাহিনা বেগম ছিলেন বলে সাংবাদিক নাদিম বলেছিলেন। ওই সময় সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ভাইরাল হওয়া ভিডিওতে তিনি বলেছিলেন, হামলার ঘটনায় তিনি পাঁচজনের নামে থানায় অভিযোগ করেছেন। তার প্রধান আসামি উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি শাহিনা বেগম। তিনি ক্ষমতাশালী হওয়ায় থানা অভিযোগ আমলে নেবে কি না সন্দীহান।

 

সর্বশেষ খবর