রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন নির্বাচন সুষ্ঠু ও অংশগ্রহণমূলক করতে নির্বাচন কমিশনের পাশাপাশি রাজনৈতিক দল ও প্রার্থীদের এগিয়ে আসার আহ্বান জানিয়েছেন। তিনি বলেন, গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়ায় নির্বাচন খুবই গুরুত্বপূর্ণ।

গতকাল বঙ্গভবনে প্রধান নির্বাচন কমিশনার কাজী হাবিবুল আউয়ালের নেতৃত্বে পাঁচ সদস্যের একটি প্রতিনিধি দল রাষ্ট্রপতির সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎ করতে গেলে তিনি এ আহ্বান জানান। পরে রাষ্ট্রপতির প্রেস সচিব জয়নাল আবেদিন সাংবাদিকদের ব্রিফ করেন। রাষ্ট্রপতি সাহাবুদ্দিন বলেন, গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়ায় নির্বাচন খুবই গুরুত্বপূর্ণ। সুষ্ঠু নির্বাচনের স্বার্থে ভোটের সময় শান্তিপূর্ণ পরিবেশ নিশ্চিত করতে আইনশৃঙ্খলাসহ সার্বিক সহযোগিতা দেওয়া হবে। তিনি ভোট গ্রহণ নিরপেক্ষ ও অংশগ্রহণমূলক করতে ভোটের তারিখের আগে থেকেই ঝুঁকিপূর্ণ এলাকা চিহ্নিত করে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নিতে নির্দেশ দেন। তিনি আশা প্রকাশ করেন, বর্তমান নির্বাচন কমিশন দেশের সব নির্বাচন সুষ্ঠু ও সুন্দরভাবে সম্পন্ন করতে সক্ষম হবে। সাক্ষাৎকালে আনুষ্ঠানিকভাবে নির্বাচন কমিশনের পক্ষ থেকে রাষ্ট্রপতিকে অভিনন্দন জানানো হয়। প্রধান নির্বাচন কমিশনার হাবিবুল আইয়াল জানান, তিনি দায়িত্ব নেওয়ার পর থেকে স্থানীয় সরকারসহ সব নির্বাচন নিরপেক্ষ ও শান্তিপূর্ণভাবে করতে সর্বাত্মক প্রচেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছেন। তিনি বলেন, কিছু কারিগরি ত্রুটি ছাড়া নির্বাচনে সফলভাবে ইভিএম ব্যবহার করা যাচ্ছে। এ ছাড়া নির্বাহী বিভাগের সহযোগিতা পাওয়া যাচ্ছে। ইতোমধ্যে সীমানা চূড়ান্ত করা হয়েছে উল্লেখ করে প্রধান নির্বাচন কমিশনার আরও জানান, ভোট কেন্দ্র চূড়ান্তকরণের প্রক্রিয়া চলমান আছে। আসন্ন জাতীয় সংসদ নির্বাচন সুষ্ঠু ও শান্তিপূর্ণভাবে সম্পন্ন করতে রাষ্ট্রপতির সহযোগিতা ও দিকনির্দেশনা কামনা করেন। তিন নির্বাচন কমিশনার ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অব.) মো. আহসান হাবিব খান, বেগম রাশেদা সুলতানা ও মো. আলমগীর এবং নির্বাচন কমিশন সচিবালয়ের সচিব জাহাংগীর আলম উপস্থিত ছিলেন। এ সময় রাষ্ট্রপতির সচিবরাও উপস্থিত ছিলেন। এদিকে গতকাল দুপুর সাড়ে ১২টায় সিইসি কাজী হাবিবুল আউয়ালের নেতৃত্বে বঙ্গভবনে যান তিন নির্বাচন কমিশনার; প্রায় ৪৫ মিনিট বঙ্গভবনে ছিলেন তাঁরা। তবে আরেক নির্বাচন কমিশনার মো. আনিছুর রহমান দেশের বাইরে অবস্থান করছেন। মো. সাহাবুদ্দিন রাষ্ট্রপতি হিসেবে দায়িত্ব গ্রহণের পর তাঁর সঙ্গে এটি নির্বাচন কমিশনের প্রথম সাক্ষাৎ। নির্বাচন কমিশনার আহসান হাবিব খান বলেন, ‘মহামান্য রাষ্ট্রপতিকে আমরা অভিনন্দন জানিয়েছি। এটা ছিল একটা সৌজন্য সাক্ষাৎ।’ এই কমিশনের অধীনে দ্বাদশ সংসদ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। বর্তমান ইসি গত বছর ফেব্রুয়ারিতে দায়িত্ব নেওয়ার পর ৬ শতাধিক নির্বাচন করেছে। জাতীয় নির্বাচনের আগে তারা পাঁচ সিটি করপোরেশন নির্বাচন করবে। আগামী নভেম্বরে সংসদ নির্বাচনের ক্ষণ গণনা শুরু হবে। এ বছরের নভেম্বর থেকে আগামী ২৯ জানুয়ারির মধ্যে দ্বাদশ সংসদ নির্বাচন হবে। সংসদ নির্বাচনের তফসিল ঘোষণার আগে প্রথা অনুযায়ী সব ধরনের প্রস্তুতি সম্পর্কে রাষ্ট্রপতিকে অবহিত করবে ইসি।