মঙ্গলবার, ২০ জুন, ২০২৩ ০০:০০ টা

ওকালতির দরকার নেই বাংলাদেশের

কূটনৈতিক প্রতিবেদক

ওকালতির দরকার নেই বাংলাদেশের

ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির আসন্ন যুক্তরাষ্ট্র সফরে মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের সঙ্গে বৈঠকে কোন কোন বিষয় আলোচনায় গুরুত্ব পাবে, তা নিয়ে বাংলাদেশের ওকালতি করার দরকার নেই বলে জানিয়েছেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আবদুল মোমেন। গতকাল বিকালে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি এ কথা বলেন।

পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, ভারত অত্যন্ত পরিপক্ব গণতান্ত্রিক একটি দেশ। ভারতের নেতৃত্বও অত্যন্ত পরিপক্ব ও সমৃদ্ধ। বৈঠকে যা ভালো মনে করবেন, তা নিয়েই তারা (মোদি-বাইডেন) আলাপ করবেন। ওখানে আমার (বাংলাদেশের) ওকালতি করার প্রয়োজন নেই। ওয়াশিংটনে আগামী ২২ জুন অনুষ্ঠেয় মোদি-বাইডেন বৈঠকে আলোচনার বিষয়বস্তুতে বাংলাদেশের নির্বাচন প্রসঙ্গটি থাকছে কি না জানতে চাইলে সাংবাদিকদের পাল্টা প্রশ্ন ছুড়ে দেন ড. মোমেন। তিনি বলেন, ওইসব দেশের বৈঠকে কে কী নিয়ে আলাপ করবে তা নিয়ে এত দুশ্চিন্তা কেন?

বাংলাদেশে গণতন্ত্র পুনরুদ্ধারের পদক্ষেপ নিতে ইইউ ভাইস প্রেসিডেন্টকে দেওয়া ছয় ইইউ পার্লামেন্টের চিঠি প্রসঙ্গে মন্ত্রী বলেন, এখানে কিছু তথ্যের গরমিল আছে। ভুল আছে, মিথ্যা আছে। যেমন একটি মিথ্যা হলো তারা বলছে যে, গত কয়েক বছরে শেখ হাসিনা সরকারের আমলে নির্যাতনের শিকার হয়ে ৬০ শতাংশ হিন্দু বিদেশে পালিয়ে চলে গেছেন। এটা তো সত্য নয়। তারা বলছে খ্রিস্টানদের ওপর অত্যাচার হচ্ছে, এটা তো সত্যি নয়। চিঠিটা পড়ে মনে হয়েছে যে অপরিপক্ব হাতের লেখা। আমার তো এসব নিয়ে দুশ্চিন্তার কোনো কারণ নেই।

সরকারের পক্ষ থেকে এ বিষয়ে কিছু বলা হবে কি না বা লবিস্ট নিয়োগ করা হবে কি না জানতে চাইলে মোমেন বলেন, আপনারা বলেন না কেন? আমি কেন বলব? আমাদের লবিস্ট টবিস্ট নেই, আমরা বাদ দিয়ে দিছি। বরং যারা লবিস্ট নিয়োগ করেছে তাদের বলেন আল্লাহর ওয়াস্তে দেশটাকে ধ্বংস করার তালে থাকবেন না। যারা চিঠি লিখেছে তাদের সঙ্গে যোগাযোগ করা হয়েছে কি না এমন প্রশ্নের জবাবে মন্ত্রী বলেন, আমার বক্তব্য হলো, তারা লিখেছে ভাইস প্রেসিডেন্টকে। তারা তা লিখতেই পারে। তবে মিথ্যা তথ্য লিখলে খারাপ লাগে।

ইউরোপের শীর্ষস্থানীয় কেউ নির্বাচনের আগে আসবে না বলে শোনা যাচ্ছে, এ বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি বলেন, আমরা স্বচ্ছ। আমরা একটা সুন্দর এবং স্বচ্ছ নির্বাচন করব। আমরা আমাদের সুষ্ঠু নির্বাচনের জন্য যত ধরনের প্রচেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছি।

ব্রাজিল, রাশিয়া, ভারত, চীন ও দক্ষিণ আফ্রিকার জোট ব্রিকসে অংশগ্রহণ প্রসঙ্গে তিনি বলেন, তারা দাওয়াত দিলে আমরা নিশ্চয়ই জয়েন করব। ফরমাল চিঠি আমরা পাইনি। ব্রিকসের নেতারা চিন্তা করছেন তারা তো এখন পাঁচজন। তারা আরও কিছু দেশকে নেবে। আমরা একটি বড় অর্থনৈতিক দেশ। আমরা পৃথিবীর ৩৫তম ইকোনমি। তারা সৌদি আরব, বাংলাদেশ, ইইউ, ইন্দোনেশিয়াসহ আটটি দেশকে নিয়ে ভাবছে। আমাদের দাওয়াত দিয়েছিল, আমি অংশ নিয়েছিলাম। আমরা আরও টাকা-পয়সা চাই বিভিন্ন দিক থেকে। সুতরাং তারা যদি আমাদের সদস্য করে আমি মনে করি এটা নিয়ে কাজ করব।

 

 

 

এই রকম আরও টপিক

সর্বশেষ খবর