বৃহস্পতিবার, ২২ জুন, ২০২৩ ০০:০০ টা

গণমিছিল ইসলামী আন্দোলনের, বাধা পুলিশের

নিজস্ব প্রতিবেদক

গণমিছিল ইসলামী আন্দোলনের, বাধা পুলিশের

প্রধান নির্বাচন কমিশনারের পদত্যাগ ও সিটি নির্বাচন বাতিলের দাবিতে গতকাল নির্বাচন কমিশন অভিমুখে গণমিছিল বের করে ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ -বাংলাদেশ প্রতিদিন

পুলিশের বাধায় ইসলামী আন্দোলনের গণমিছিল নির্বাচন কমিশনে পৌঁছাতে পারেনি। গতকাল দুপুরে রাজধানীর বায়তুল মোকাররম উত্তর গেট থেকে শেরেবাংলা নগরে নির্বাচন কমিশন সচিবালয় অভিমুখে গণমিছিল যাত্রা করলে পুলিশ শান্তিনগর মোড়ে ব্যারিকেড দিয়ে পথরোধ করে। এ সময় দলের নেতা-কর্মীদের মাঝে উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়লে নেতাদের হস্তক্ষেপে শান্ত হয়। প্রধান নির্বাচন কমিশনারের পদত্যাগ ও নির্বাচন কমিশন বাতিলের দাবিতে আয়োজিত এ গণমিছিলে নেতৃত্ব দেন ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের আমির মুফতি সৈয়দ মুহাম্মদ রেজাউল করীম পীর চরমোনাই। এর আগে বায়তুল মোকাররম উত্তর গেটে মিছিলপূর্ব সমাবেশে পীর চরমোনাই বর্তমান সরকারের অধীন কোনো নির্বাচনে অংশ না নেওয়ার ঘোষণা দিয়ে বলেন, আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচন দলীয় সরকারের অধীন নয়, জাতীয় সরকারের অধীনে দিতে হবে। ক্ষমতাসীনরা এবারও বর্তমান সংসদ বহাল রেখে গায়ের জোরে তাদের অধীনেই নির্বাচন করতে চাইলে জনগণ প্রতিহত করবে। আমাদের দাবি আদায় না হওয়া পর্যন্ত আন্দোলন চলবে। বরিশাল সিটি নির্বাচনে ইসলামী আন্দোলনের মেয়র প্রার্থী দলের সিনিয়র নায়েবে আমির মুফতি সৈয়দ মুহাম্মদ ফয়জুল করীমের ওপর হামলার প্রতিবাদসহ বিভিন্ন দাবিতে গণমিছিল কর্মসূচির আয়োজন করা হয়। এ উপলক্ষে সকাল ৯টা থেকে উত্তর গেটে জমায়েত হতে থাকেন দলের নেতা-কর্মীরা। সেখানেও অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন ছিল। বেলা ১২টায় চরমোনাই পীরের নেতৃত্বে বিপুলসংখ্যক নেতা-কর্মীর মিছিল উত্তর গেট থেকে পল্টন মোড়, বিজয়নগর, কাকরাইল হয়ে ১২টা ২০ মিনিটে শান্তি নগর চৌরাস্তায় পৌঁছলে পুলিশ কাঁটাতারের ব্যারিকেড দিয়ে মিছিলের গতিরোধ করে। এ সময় ইসলামী আন্দোলনের আমির মুফতি রেজাউল করীম বলেন, ইসলামী আন্দোলন বারবার প্রমাণ করেছে আমরা শান্তিপ্রিয়। আমরা মানুষের কল্যাণের জন্য রাজনীতি করি। প্রশাসন আমাদের বাধা দিয়েছে। তিনি বলেন, নির্লজ্জ অথর্ব সিইসিকে পদত্যাগে বাধ্য করা হবে। বরিশালে আওয়ামী লীগের সন্ত্রাসীরা একজন বরেণ্য আলেম মেয়রপ্রার্থীর রক্ত ঝরিয়েছে। কিন্তু এখন পর্যন্ত হামলাকারী সন্ত্রাসীদের গ্রেফতার না করা রহস্যজনক। পীর চরমোনাই বলেন, দেশময় সংঘাত আর সহিংসতার অশনি সংকেত পাওয়া যাচ্ছে। ক্ষমতাসীনরা দ্বাদশ জাতীয় নির্বাচনও যেনতেনভাবে করার চক্রান্ত করছে। এ ধরনের স্বপ্ন দেখলে কোনো কাজ হবে না। দেশবাসী জেগে উঠছে, আর ভোট ডাকাতির সুযোগ দেবে না।

 দলের প্রচার সম্পাদক মাওলানা আহমদ আবদুল কাইয়ূম ও সাংগঠনিক সম্পাদক মুফতি দেলাওয়ার হোসাইন সাকীর পরিচালনায় সমাবেশে বক্তব্য রাখেন ইসলামী আন্দোলনের মহাসচিব অধ্যক্ষ হাফেজ মাওলানা ইউনুছ আহমাদ, কেন্দ্রীয় নেতা মাওলানা সৈয়দ মোসাদ্দেক বিল্লাহ আল-মাদানী, আল্লামা নূরুল হুদা ফয়েজী, অধ্যাপক আশরাফ আলী আকন, অধ্যাপক মাহবুবুর রহমান, মাওলানা গাজী আতাউর রহমান, আশরাফুল আলম, মাওলানা ইমতিয়াজ আলম, কেএম আতিকুর রহমান, মাওলানা লোকমান হোসাইন জাফরী, আবদুর রহমান, অধ্যাপক সৈয়দ বেলায়েত হোসেন, ডা. শহিদুল ইসলাম প্রমুখ।

সর্বশেষ খবর