শিরোনাম
রবিবার, ২৫ জুন, ২০২৩ ০০:০০ টা

অ্যাম্বুলেন্সেই পুড়ে মারা গেলেন সাতজন

ভাঙ্গা ও বোয়ালমারী (ফরিদপুর) প্রতিনিধি

অ্যাম্বুলেন্সেই পুড়ে মারা গেলেন সাতজন

ঢাকা-ফরিদপুর এক্সপ্রেসওয়েতে গতকাল রেলিংয়ে ধাক্কা লেগে আগুন ধরে পুড়ে যায় অ্যাম্বুলেন্স -বাংলাদেশ প্রতিদিন

ফরিদপুরের ভাঙ্গায় এক্সপ্রেসওয়ের রেলিংয়ে ধাক্কা খেয়ে অ্যাম্বুলেন্সে লাগা আগুনে পুড়ে মা, দুই মেয়ে নাতিসহ আটজন নিহত হয়েছেন। ঢাকা-ভাঙ্গা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান এক্সপ্রেসওয়ের ভাঙ্গা উপজেলার চান্দ্রা এলাকায় গতকাল বেলা ১১টার দিকে এ ঘটনা ঘটে। পুলিশ বলছে, চালক ওই সময় অ্যাম্বুলেন্স থেকে বের হতে পারলেও এতে থাকা সাতজনই পুড়ে মারা যান। নিহতরা হলেন- বোয়ালমারী উপজেলার ফেলাননগর গ্রামের সৌদি প্রবাসী আজিজার শেখের স্ত্রী তাসলিমা বেগম (৫০), বড় মেয়ে ও শেখর ইউনিয়নের মাইটকুমড়া গ্রামের আলমগীর হোসেনের স্ত্রী কমলা পারভীন (৩২), কমলা পারভীনের বড় ছেলে আরিফ (১৩), মেজো ছেলে হাসিব (৮), কন্যা হাফসা (২), তাসলিমার মেজো মেয়ে আলফাডাঙ্গার গোপালপুর ইউনিয়নের কুচিয়াগ্রামের সেনা সদস্য মাহামুদুল হাসান রনির স্ত্রী মোসা. বিউটি পারভীন (২৭), বিউটি পারভীনের ছেলে মেহেদী (১০) এবং অ্যাম্বুলেন্স চালক মৃদুল মালো (৪২)। অ্যাম্বুলেন্স            চালক মৃদুল মালোকে গুরুতর আহত অবস্থায় প্রথমে ফরিদপুর বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল কলেজে ভর্তি করা হয়। পরে ঢাকায় শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটে নেওয়া হলে বিকাল ৫টার দিকে তিনি মারা যান।

নিহতদের পরিবার সূত্রে জানা যায়, তাসলিমা বেগম প্রায় দেড় মাস ধরে ঢাকায় হৃদরোগ ইনস্টিটিউটে চিকিৎসা নিয়ে ঈদুল আজহা সামনে রেখে কদমতলী থেকে স্বজনদের নিয়ে গ্রামের বাড়ি ফেলাননগর যাচ্ছিলেন। হাইওয়ে পুলিশের মাদারীপুর রিজিওনের পুলিশ সুপার মো. মাহবুবুল আলম বলেন, অ্যাম্বুলেন্সটি ফ্লাইওভারের ওপরে ওঠার সময় ডান পাশের রেলিংয়ে ধাক্কা খায়। এ সময় ইঞ্জিনে বিস্ফোরণ হয়ে আগুন ধরে যায়। চালক বের হতে পারলেও ভিতরে থাকা সাতজনের কেউই বের হতে পারেননি। সবাই পুড়ে যায়। ফরিদপুর জেলা প্রশাসক কামরুল আহসান তালুকদার বলেন, দুর্ঘটনার কারণ অনুসন্ধানে পাঁচ সদস্যের তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। নিহত প্রত্যেকের লাশ বহন ও দাফনের জন্য ২০ হাজার টাকা করে দেওয়া হয়েছে। সন্ধ্যায় ফরিদপুর বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের মর্গ থেকে মৃতদেহগুলো স্বজনদের দেওয়া হয়।

ভালুকায় (ময়মনসিংহ) বাবা-ছেলের প্রাণহানি : ময়মনসিংহের ভালুকার মেদুয়ারি ইউনিয়নের বাঘসাতরা বাজার এলাকায় শুক্রবার সন্ধ্যায় মোটরসাইকেল ও দ্রুতগতির ট্রাকের মুখোমুখি সংঘর্ষে বাবা ও ছেলে নিহত হয়েছেন। নিহতরা হলেন মাওলানা মো. খাইরুল ইসলাম (২৯) ও ছেলে মোহাম্মদ বীন খায়ের (৫)। খাইরুল ইসলাম গাজীপুর সদর উপজেলার দৌলতপুর এলাকার ইব্রাহিম খলিলের ছেলে।

নাটোরে দুই নারী নিহত : লালপুরে বিলমাড়িয়া ইউনিয়নের থান্দারপাড়া এলাকায় গতকাল মাটিবোঝাই ট্রাক্টরের ধাক্কায় চার্জারচালিত ভ্যানের আরোহী দুই নারী নিহত হয়েছেন। নিহতরা হলেন মোরকয়া নতুনপাড়া গ্রামের জলিল খামারুর স্ত্রী আফিয়া (৫৫) ও ইনসার আলীর স্ত্রী আনজিরা (৫০)। বিলমাড়িয়া ইউনিয়ন পরিষদ থেকে ভিজিএফের চাল নিয়ে ভ্যানে বাড়ি ফিরছিলেন আফিয়া ও ইনজিরা বেগম।

রাজবাড়ীতে ঝরল দুই প্রাণ : ঢাকা-খুলনা মহাসড়কের দৌলতদিয়া ও রাজবাড়ী-কুষ্টিয়া আঞ্চলিক সড়কের কালুখালীতে গতকাল পৃথক সড়ক দুর্ঘটনায় দুজন নিহত হয়েছেন। নিহতরা হলেন দৌলতদিয়া ইউনিয়নের শাহাদৎ মেম্বারপাড়ার মৃত ভোলাই মন্ডলের ছেলে আনু মন্ডল (৫৫) ও পাংশার হোসেন ডাঙ্গার বাসিন্দা চন্দ্রিকা রানী (২৮)। ঢাকা থেকে বরিশালগামী একটি ট্রাক নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে দৌলতদিয়া বাইপাস সড়কের ডানপাশে দাঁড়িয়ে থাকা হকার আনু মন্ডলকে চাপা দেয়। এ ছাড়া চাঁদপুর চন্দনী এলাকায় কুষ্টিয়াগামী দ্রুতগতির একটি ট্রাক মোটরসাইকেল আরোহী চন্দ্রিকাকে চাপা দেয়।

ফেনীতে লাশ হয়ে ফিরলেন ব্যবসায়ী : ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের ফেনী সদর এলাকায় শুক্রবার রাতে সড়ক দুর্ঘটনায় মো. সুমন (৪০) নামে এক ব্যবসায়ী নিহত হয়েছেন। এ ঘটনায় আরও একজন আহত হয়েছেন। তাকে কুমিল্লা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। নিহত সুমন কুমিল্লার লালমাই উপজেলার শাসনতারা গ্রামের আবদুল হাইর ছেলে। মহিপাল হাইওয়ে পুলিশ জানায়, হতাহতরা মোটরসাইকেলে চট্টগ্রাম থেকে কুমিল্লায় যাচ্ছিলেন। মোটরসাইকেল চালক নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে সামনে থাকা অ্যাম্বুলেন্সে ধাক্কা মেরে সড়কের ওপর ছিটকে পড়েন।

সর্বশেষ খবর