রবিবার, ২ জুলাই, ২০২৩ ০০:০০ টা

এবার এক দফা আন্দোলনের ধরন ভিন্ন : ফখরুল

নিজস্ব প্রতিবেদক

বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, সরকার পদত্যাগের এক দফার আন্দোলনের ধরন হবে ‘ভিন্ন রকম’। গতকাল গুলশানে চেয়ারপারসনের কার্যালয়ে ঈদ-পরবর্তী শুভেচ্ছা বিনিময়কালে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে তিনি এ কথা জানান।

ফখরুল বলেন, তারুণ্যের সমাবেশ হচ্ছে, সামনে আমাদের পদযাত্রার কর্মসূচি শুরু হবে। আশা করি এক দফাতে আমরা আন্দোলন শুরু করব। আমাদের যে ১০ দফা, যুগপৎ আন্দোলনকারী দলগুলোর যেসব দফা আছে তাদের দফাগুলো মিলিয়ে একটা দফায় আন্দোলনে যাব। সেটা হচ্ছে এই অবৈধ সরকারের পদত্যাগ, সংসদ বিলুপ্ত করা, তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অধীনে নির্বাচন এবং নতুন নির্বাচন কমিশনের মাধ্যমে নির্বাচন অনুষ্ঠান এগুলোকে নিয়ে আমরা একটা জায়গায় আসছি। সেটা মূলত এই সরকারের পদত্যাগ।

এ আন্দোলন বিষয়ে ফখরুল বলেন, গত আন্দোলনগুলোর চেয়ে ধরনও হবে একটু ভিন্ন এবং জনগণের সম্পৃক্ততাও বাড়বে। এই আন্দোলনের মাধ্যমে চূড়ান্তভাবে সরকার বাধ্য হবে নতি স্বীকার করে পদত্যাগ করে একটা নিরপেক্ষ সরকারের অধীনে নির্বাচনের ব্যবস্থা করতে।

এক দফার আন্দোলনের ধরন কেমন হবে, হরতাল-অবরোধের মতো কর্মসূচি থাকবে কি না জানতে চাইলে মির্জা ফখরুল বলেন, হরতাল-অবরোধের মতো কোনো কর্মসূচিতে সচেতনভাবে চাচ্ছি না। আমাদের ভায়োলেন্সে যাওয়ার প্রশ্নই উঠতে পারে না। সরকার যদি কোনোভাবে ওইসব দিকে ঠেলে দেয় তা সরকারের দায়। শান্তিপূর্ণভাবে আন্দোলনটা করছি, শান্তিপূর্ণভাবে আন্দোলনে আমরা চূড়ান্ত পর্যায়ে যেতে চাই।

মির্জা ফখরুল বলেন, বাংলাদেশের উন্নয়ন বিষয়ে বারবার যা বলা হচ্ছে, এটা আসলে উন্নয়ন বিভ্রম। এটা করে মানুষকে বোকা বানানো হয়, প্রতারণা করা হয়। পরিসংখ্যানে সরকার অনেক তথ্য সরবরাহ করে, যে তথ্যগুলো সঠিক নয়। এটা আজ থেকে নয়, এই সরকার আসার পর থেকেই।

ফখরুল বলেন, দেশটাকে আমদানিনির্ভর করে ফেলা হয়েছে। কারণ আমদানি করতে গেলে যে কমিশন পাওয়া যায়। এই সরকারের চারিত্র্যিক বৈশিষ্ট্য লুট করা। বর্গীদের মতো।

নির্দলীয় সরকারের বিষয়টি সংবিধানে সংযোজন ‘সরকারের দায়িত্ব’ বলে উল্লেখ করে বিএনপি মহাসচিব বলেন, তাদের দুই-তৃতীয়াংশ সংখ্যাগরিষ্ঠতা আছে। এটা সম্পূর্ণভাবে নির্ভর করছে সরকারের সদিচ্ছার ওপর। সরকারের জনগণের প্রতি যদি ভালোবাসা থেকে থাকে, দেশের প্রতি যদি কোনো প্রেম থাকে তাহলে নিঃসন্দেহে তাদের দায়িত্ব হচ্ছে এই রাজনৈতিক সংকট মোকাবিলা করার জন্য তাদের সব রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে আলোচনা করতে হবে। শুভেচ্ছা বিনিময়কালে উপস্থিত ছিলেন বিএনপির মিডিয়া সেলের আহ্বায়ক জহির উদ্দিন স্বপন, সদস্যসচিব শহীদ উদ্দিন চৌধুরী এ্যানী, সদস্য শায়রুল কবির খান এবং সমাজকল্যাণ সম্পাদক কামরুজ্জামান রতন।

 

সর্বশেষ খবর