তথ্য ও সম্প্রচারমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ বলেছেন, বাংলাদেশের উন্নয়নে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র বিরাট ভূমিকা রাখছে। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের অনেক কর্মকর্তা এসেছেন এবং সহসাই আরও বেশ কয়েকজন আসবেন। মার্কিন কর্মকর্তাদের আগমন তাদের সঙ্গে আমাদের সম্পর্ক আরও ঘনিষ্ঠ হওয়ার বার্তাই বহন করে। এ আগমনকে আমরা স্বাগত জানাই।

গতকাল দুপুরে সচিবালয়ে নিজ মন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে সাংবাদিকদের বিভিন্ন প্রশ্নের জবাবে তিনি এসব কথা বলেন। এর আগে তথ্য ও সম্প্রচারমন্ত্রী বাংলাদেশ প্রেস ইনস্টিটিউট (পিআইবি) থেকে প্রকাশিত ‘পার্বত্য চট্টগ্রাম শান্তিচুক্তি : সংবাদপত্রে প্রতিফলন’ গ্রন্থের মোড়ক উন্মোচন করেন। এ সময় পিআইবির মহাপরিচালক জাফর ওয়াজেদ, পরিচালক আবুল কালাম মোহাম্মদ শামসুদ্দিন, গ্রন্থকার গবেষক পপি দেবী থাপা প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।

হাছান মাহমুদ বলেন, ইউরোপীয় ইউনিয়নভুক্ত দেশগুলোয় যে সরকার ক্ষমতায় থাকে তারাই নির্বাচনকালীন সরকারের দায়িত্ব পালন করে। আমাদের দেশেও ঠিক একইভাবে নির্বাচন হবে। এ সময় তিনি আবারও বলেন, বিএনপিকে অনুরোধ জানাব নালিশ জনগণের কাছে করার জন্য, বিদেশিদের হাতে-পায়ে না ধরার জন্য।

বিএনপির সরকার পতনের এক দফা আন্দোলন চট্টগ্রাম থেকে শুরু হবে ঘোষণার পরিপ্রেক্ষিতে চট্টগ্রামের নেতা ও আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক হাছান মাহমুদ বলেন, তারা তো মাঝেমধ্যেই এক দফা আন্দোলনের ঘোষণা দেন। তো এক দফা আন্দোলন চট্টগ্রামেই মারা যায় কি না, সেটিই দেখার বিষয়। চট্টগ্রাম খুব তাৎপর্যপূর্ণ। বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা জিয়াউর রহমান চট্টগ্রামে নিহত হয়েছিলেন, অভ্যন্তরীণ কোন্দলের কারণে।

আরেক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ‘শেখ হাসিনার নেতৃত্বাধীন সরকার কোনো চাপে নেই। আমরা জানি কখন কী করতে হবে।’