মিয়ানমারে ২০১৭ সালে রোহিঙ্গা জনগোষ্ঠীর ওপর চালানো নির্যাতন-নিপীড়নের তথ্য-প্রমাণ সংগ্রহ করা হচ্ছে, জানিয়েছেন বাংলাদেশ সফররত আন্তর্জাতিক অপরাধ আদালতের (আইসিসি) প্রধান কৌঁসুলি করিম আসাদ আহমাদ খান। কক্সবাজারের উখিয়ার রোহিঙ্গা আশ্রয়শিবির পরিদর্শন শেষে গতকাল রাজধানীর হোটেল ইন্টারকন্টিনেন্টালে মিট দ্য প্রেস অনুষ্ঠানে তিনি এসব কথা বলেন। আইসিসি প্রধান আরও বলেন, ২০১৭ সালে ১১ লাখ রোহিঙ্গা জনগোষ্ঠী বাংলাদেশে আশ্রয় নিয়েছে। আমি বৃহস্পতিবার রোহিঙ্গা ক্যাম্প পরিদর্শন করেছি। সেখানে রোহিঙ্গা নারী-পুরুষের সঙ্গে কথা বলেছি। তাদের সমস্যার কথা শুনেছি। রোহিঙ্গা সংকট শুধু বাংলাদেশের জন্য উদ্বেগের বিষয় নয়, এটি সারা বিশ্বের জন্যই উদ্বেগের। মানবিক কারণে রোহিঙ্গাদের আশ্রয় দিয়েছে বাংলাদেশ। সেখানে রোহিঙ্গারা মানবেতর জীবন-যাপন করছে। গত মার্চ মাস থেকে আন্তর্জাতিক সহায়তা কমেছে রোহিঙ্গাদের। জনপ্রতি একজন রোহিঙ্গা দিনে ৯ টাকা করে সহায়তা পাচ্ছেন। এখন একটি ডিমের দাম ১২ টাকা। তাহলে এ অর্থ দিয়ে তারা কীভাবে খাদ্য চাহিদা মেটাবে? এটা একটি মানবিক সমস্যা। এখানে আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের নজর দেওয়া প্রয়োজন। রোহিঙ্গা শরণার্থীদের মৌলিক চাহিদা মেটাতে সবার সহযোগিতা দরকার। তাই, আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়কে বলব রোহিঙ্গাদের সহযোগিতায় এগিয়ে আসুন। তিনি বলেন, আমি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে বৈঠক করেছি। তিনি বলেছেন- ১৯৭১ সালে ভারতে বাংলাদেশের মানুষ আশ্রয় নিয়েছিলেন। সে কারণে মানবিক বিবেচনায় রোহিঙ্গাদের এখানে আশ্রয় দেওয়া হয়েছে। রোহিঙ্গা শিশুদের রাখাইন ভাষায় শিক্ষাদান করা হচ্ছে। তবে, তারা কবে নাগাদ দেশে ফিরতে পারবে, সেটা অনিশ্চিত। এসব শিশুর ভবিষ্যৎও অনিশ্চিত। রোহিঙ্গা নির্যাতনের বিচার শেষ হওয়ার বিষয়ে এক প্রশ্নের উত্তরে তিনি বলেন, বিচার নিয়ে চূড়ান্ত তারিখ বলা সম্ভব নয়। এ বিচারে আমরা প্রতিজ্ঞাবদ্ধ।