শনিবার, ৮ জুলাই, ২০২৩ ০০:০০ টা

সড়কে মৃত্যুদূত ইজিবাইক

যশোর ও সিলেটে পৃথক সংঘর্ষে নিহত ১২

নিজস্ব প্রতিবেদক, যশোর ও সিলেট

যশোর সদর উপজেলার লেবুতলায় যশোর-মাগুরা মহাসড়কে যাত্রীবাহী বাসের চাপায় ইজিবাইকে থাকা দুটি শিশুসহ সাতজন নিহত হয়েছেন। গতকাল সন্ধ্যা সাড়ে ৭টার দিকে এ দুর্ঘটনা ঘটে।

নিহতরা হলেন ইমরান হোসেন (২৭), দুই বোন রাহিমা বেগম (৭০) ও মাহিমা বেগম, মাহিমা বেগমের মেয়ে খাদিজা বেগম (৬), যমজ ভাই হাসান (৬) ও হোসেন (৬) এবং অজ্ঞাতপরিচয় একজন। নিহতের মধ্যে ইমরান হোসেন ও অজ্ঞাতপরিচয় ব্যক্তি ছাড়া বাকি পাঁচজন একই পরিবারের সদস্য। চোখের পলকে শেষ হয়ে যায় পরিবারটি।

স্থানীয়রা জানান, মাগুরাগামী রয়েল কোচ নামের একটি যাত্রীবাহী বাস নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে লেবুতলা বাজারে রাস্তার পাশে দাঁড়িয়ে থাকা একটি ইজিবাইককে চাপা দিয়ে উল্টে যায়।

এতে চালকসহ ইজিবাইকে থাকা আট যাত্রী বাসের নিচে চাপা পড়েন। খবর পেয়ে যশোর ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা ঘটনাস্থলে পৌঁছে হতাহতদের উদ্ধার করে যশোর জেনারেল হাসপাতালে নিয়ে যান। ঘটনাস্থলে মারা যান তিনজন। হাসপাতালে আনার পর আরও চারজনের মৃত্যু হয়। প্রত্যক্ষদর্শীরা বলেন, বেপরোয়া গতির বাসটি স্পিডব্রেকারে গতি না কমিয়েই চলতে গিয়ে নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে ইজিবাইককে চাপা দেয়। যশোর কোতোয়ালি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) তাজুল ইসলাম বলেন, লেবুতলা বাজারের স্পিডব্রেকারের কাছে দুর্ঘটনাটি ঘটেছে। নিহত ও আহতদের সবাই ইজিবাইকের যাত্রী ছিলেন বলে জানান ওসি। যশোরের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার বিল্লাল হোসেন বলেন, ঠিক কী কারণে এ দুর্ঘটনা ঘটল, তা পুলিশ তদন্ত করে দেখছে। দুর্ঘটনার পর যশোর-মাগুরা মহাসড়কে ব্যাপক যানজটের সৃষ্টি হয়। রাস্তার দুই পাশে গাড়ির লম্বা লাইন পড়ে যায়। পুলিশের চেষ্টায় প্রায় দুই ঘণ্টা পর ওই সড়কে আবার যান চলাচল স্বাভাবিক হয় বলে নিশ্চিত করেছেন যশোর ট্রাফিক বিভাগের ইন্সপেক্টর শুভেন্দু কুমার।

সিলেট-তামাবিল সড়কে বাস-ইজিবাইক সংঘর্ষ, নিহত ৫ : সিলেট-তামাবিল সড়কে বাস-ইজিবাইক (ব্যাটারিচালিত রিকশা) সংঘর্ষে পাঁচজন নিহত হয়েছেন। গত রাত ১০টার দিকে উপজেলার দরবস্ত এলাকায় এ দুর্ঘটনা ঘটে। এরপর পুলিশ ও ফায়ার সার্ভিসের দল ঘটনাস্থলে গিয়ে হতাহতদের উদ্ধার করা শুরু করেছে। বাংলানিউজ

স্থানীয়রা জানান, রাত ১০টার দিকে সিলেট থেকে জাফলং অভিমুখী বাসটির বিপরীতমুখী ইজিবাইকের সঙ্গে মুখোমুখি সংঘর্ষ হয়। ওই ইজিবাইকে চালক ছাড়াও সাতজন যাত্রী ছিলেন। সবাই হতাহত হয়েছেন। জৈন্তাপুর উপজেলার দরবস্ত ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান বাহারুল আলম বাহার পাঁচজন নিহত হওয়ার বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। তবে রাত সোয়া ১১টা পর্যন্ত নিহতদের নাম-পরিচয় নিশ্চিত হওয়া যায়নি। সিলেটের জৈন্তাপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) ওমর ফারুক বলেন, দুর্ঘটনার খবর পেয়ে তিনি পুলিশ নিয়ে ঘটনাস্থলে গিয়ে উদ্ধার কাজ পরিচালনা করেছেন। নিহতদের মধ্যে চারজন ঘটনাস্থলে এবং একজনকে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নেওয়ার পথে মৃত্যু হয়। হতাহতদের নাম পরিচয় জানার চেষ্টা চলছে।

এই রকম আরও টপিক

সর্বশেষ খবর