আইন, বিচার ও সংসদ বিষয়কমন্ত্রী আনিসুল হক বলেছেন, অবাস্তব দাবি নিয়ে সংলাপ হবে না। নির্বাচনই সমাধান। পরিষ্কার বলে দিচ্ছি, প্রধানমন্ত্রী বলেছেন কোনো সংলাপ হবে না।
গতকাল রাজধানীর বিচার প্রশাসন প্রশিক্ষণ ইনস্টিটিউটে সহকারী বিচারকদের প্রশিক্ষণ কর্মশালার উদ্বোধন শেষে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে মন্ত্রী এসব কথা বলেন। এর আগে বিচারকদের প্রশিক্ষণ কর্মশালার উদ্বোধন করেন আইনমন্ত্রী। এতে সভাপতিত্ব করেন প্রতিষ্ঠানটির মহাপরিচালক আপিল বিভাগের সাবেক বিচারক বিচারপতি নাজমুন আরা সুলতানা। বক্তব্য রাখেন আইন সচিব গোলাম সারওয়ার।
আরপিও সংশোধন বিষয়ে এক প্রশ্নের জবাবে মন্ত্রী বলেন, খর্ব করা হয় কখন, যখন ক্ষমতা থাকে, তা নিয়ে নেওয়া হয়। ব্যাপারটা হচ্ছে ১৯৭২ সালের অধ্যাদেশ অনুযায়ী আর্টিকেল ৯১-এ নির্বাচন কমিশনকে কোনো গ-গোলের কারণে নির্বাচন বন্ধ করার ক্ষমতা দেওয়া আছে। সেখানে কিন্তু কোনো হস্তক্ষেপ করা হয়নি। এখানে কোনো কমানো হয়নি, কোনো দাঁড়ি-কমাও সরানো হয়নি। তিনি বলেন, নির্বাচন কমিশন যখন আরপিও সংশোধনের প্রস্তাব দেয়, তখন নতুন একটা সাব-আর্টিকেল ৯১-এ ‘এ’ সন্নিবেশিত করা হয়। নির্বাচনে পোলিং একটা গুরুত্বপূর্ণ অংশ। কোনো পোলিং সেন্টারে যদি কোনোরকম গ-গোল বা সহিংসতা হয়, তাহলে তারা সেই নির্বাচনী এলাকার সম্পূর্ণ নির্বাচন বন্ধ করে দিতে পারবেন। উদাহরণ হিসেবে বলব, আমার এলাকায় ১১৪টা পোলিং সেন্টার। এখন এর মধ্যে ১৪টি সেন্টারে যদি গ-গোল হয়, আর ১০০টিতে যদি সুষ্ঠু নির্বাচন হয়, তাহলে পুরো আসনের নির্বাচন বন্ধ করে দেওয়া কি গণতান্ত্রিক হবে? সেটা গণতান্ত্রিক হবে না। সেটা জনগণের ভোটাধিকার ব্যাহত হবে। যেসব পোলিং সেন্টারে গ-গোল হবে, সেটা বন্ধ করে দেওয়ার ক্ষমতা নির্বাচন কমিশনের আছে। আরপিও সংশোধনের ফলে জনগণের ভোটাধিকার প্রতিষ্ঠিত হলো। বিএনপির নেতা-কর্মীদের বিরুদ্ধে থাকা মামলা দুই মাসের মধ্যে শেষ করে রায় দিতে বিচারক ও পুলিশকে চিঠি দিয়েছে সরকার- বিএনপির এমন অভিযোগের বিষয়ে প্রশ্ন করা হলে আইনমন্ত্রী বলেন, জননেত্রী শেখ হাসিনার সরকার দেশে আইনের শাসন প্রতিষ্ঠিত করেছে। এ ব্যাপারে কোনো সন্দেহ নেই। তার উদাহরণ অনেক আছে। এ সংক্রান্ত কোনো পত্র যদি তারা দেখাতে পারেন, তাহলে তা নিয়ে তাদের সঙ্গে বাহাস হবে। আমার মনে হয়, অন্য কোনো ইস্যু না খুঁজে পেয়ে মিথ্যা ইস্যু বানানোর জন্য তারা সচেষ্ট আছেন। আমি স্পষ্ট করে বলে দিই, এমন কোনো চিঠি বা কোনো মৌখিক আদেশও দেওয়া হয়নি।