মঙ্গলবার, ১১ জুলাই, ২০২৩ ০০:০০ টা

প্রযুক্তির উন্নয়ন সময়ের সঙ্গে হয়নি

ড. সাঈদ আক্তার হোসেইন

প্রযুক্তির উন্নয়ন সময়ের সঙ্গে হয়নি

ড্যাফোডিল ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটির সায়েন্স অ্যান্ড ইনফরমেশন টেকনোলজি বিভাগের ডিন অধ্যাপক ড. সাঈদ আক্তার হোসেইন গতকাল বাংলাদেশ প্রতিদিনকে বলেন, আমাদের সাইবার সিকিউরিটির দুর্বলতা হচ্ছে কিছুটা প্রাতিষ্ঠানিক এবং কিছুটা আমাদের দক্ষতার অভাবের কারণে। এ মুহূর্তে যে সাইবার অ্যাটাক দেখছি তা বদলে যেতে পারে পরমুহূর্তেই। আমরা যে তথ্যউপাত্ত সংরক্ষণ করছি তার অপারেটিং সিস্টেমের কিছু আছে অ্যাপলিকেশন সফটওয়্যার, কিছু আছে ডেটা বেইজড। এর সঙ্গে হার্ডওয়্যার ও সফটওয়্যার একসঙ্গে একটি প্রক্রিয়ার মধ্য দিয়ে আমরা তথ্য সংরক্ষণ করছি। বর্তমানে প্রযুক্তির ক্ষেত্রে যতদিন যাচ্ছে তত প্রযুক্তির উন্নয়ন হচ্ছে। তিনি বলেন, জন্মনিবন্ধনের যে তথ্য আমরা ২০০৬-২০০৭ সালের দিকে সংরক্ষণ করেছি তখন প্রযুক্তির যে ধারা ছিল, সে প্রযুক্তির এক ধরনের প্রয়োগ ঘটেছিল। তখন জন্মনিবন্ধনের তথ্য যেভাবে সংরক্ষণ করেছি বর্তমান সময়ে এসে তার যে পরিবর্তন দরকার ক্ষেত্রবিশেষে এবং সময়-সুযোগ ও দক্ষতার অভাবে সেই পরিমাণ সংরক্ষিত উপাত্তের যে রক্ষণাবেক্ষণ দরকার তা সুষ্ঠুভাবে হয়নি। তিনি বলেন, এ তথ্য ফাঁসের কারণে যে ঝুঁকি তৈরি হওয়ার আশঙ্কা তৈরি হয়েছে তা অনির্ধারিত। এটা বলা কঠিন যে, এক্ষেত্রে আদৌ কোনো ঝুঁকি আছে কি না। আমরা যে তথ্যউপাত্ত সংরক্ষণ করেছি তার অনেকগুলোই পরিবর্তন ও পরিবর্ধন হয়েছে। এর ফলে যে তথ্যগুলো ফাঁস হয়েছে তার মধ্যে অনেক তথ্য এখনো কার্যকর আছে কি না সে প্রশ্ন থেকে যায়। বাংলাদেশের মতো জনবহুল দেশে আমরা ডিজিটাইলাইজেশনে গিয়েছি কিন্তু এর পূর্ণ ব্যবহার এখনো করতে পারিনি। আর্থিক প্রতিষ্ঠানে কেউ একজনের বায়োমেট্রিক সাইন পেয়ে গেলেও তার সশরীরে উপস্থিতি প্রয়োজন। সে ক্ষেত্রে ব্যক্তি ছাড়া এ তথ্যউপাত্ত অর্থহীন। এ ধরনের ঘটনা প্রতিরোধের পথ এখন তৈরি হয়েছে। আমাদের হাইটেক পার্কে যে ডেটা সেন্টার তৈরি হয়েছে এটি পৃথিবীর খুব বিখ্যাত একটি ডেটা সেন্টার। এখানে নতুন করে বায়োমেট্রিক তথ্যগুলো নিরাপদে সংরক্ষণ করতে হবে।

সর্বশেষ খবর