মঙ্গলবার, ১১ জুলাই, ২০২৩ ০০:০০ টা
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা

সংবাদ পরিবেশনে দেশের ভাবমূর্তি যেন ক্ষুণ্ন না হয়

নিজস্ব প্রতিবেদক

সংবাদ পরিবেশনে দেশের ভাবমূর্তি যেন ক্ষুণ্ন না হয়

দেশের অগ্রযাত্রা ও ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ন হয় বা সমালোচিত হয় এমন কোনো সংবাদ প্রচার না করার জন্য সাংবাদিক সমাজের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। তিনি বলেছেন, আপনারা এমন কোনো সংবাদ প্রকাশ করবেন না, যা দেশের ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ন করে এবং এর চলমান অগ্রযাত্রা বাধাগ্রস্ত করে।

গতকাল প্রধানমন্ত্রী তাঁর কার্যালয়ে অসুস্থ, অসচ্ছল ও আহত ৪৩৮ সাংবাদিক ও তাদের পরিবারের সদস্যদের মধ্যে প্রায় ৩ কোটি ৪১ লাখ টাকার আর্থিক সহায়তার চেক বিতরণ অনুষ্ঠানে একথা বলেন। অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখেন তথ্য ও সম্প্রচারমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ এবং তথ্যসচিব হুমায়ুন কবীর খোন্দকার। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, আমি চাই বাংলাদেশের অগ্রযাত্রা (দায়িত্বহীন সাংবাদিকতার কারণে) আর বাধাগ্রস্ত হবে না। স্বাধীনতা উপভোগ করার অধিকার সবার আছে। তবে তাদের দায়িত্বশীল হতে হবে। আপনারা অবশ্যই স্বাধীনতা উপভোগ করবেন। তবে আপনাদের দায়িত্বশীলতা এবং কর্তব্যপরায়ণতা দেখাতে হবে। তিনি বলেন, হ্যাঁ, কোথাও খারাপ দেখলে তা অবশ্যই বলবেন। ২০০১ সালের ১ অক্টোবর নির্বাচনের পর থেকে যে অত্যাচার আমাদের নেতা-কর্মীদের ওপর, সাংবাদিকদের ওপর হয়েছে, সেগুলো সবার মনে রাখা উচিত। তিনি আরও বলেন, আমাদের আওয়ামী লীগ সরকার সব সময়ই আপনাদের পাশে আছে, আমরা থাকব। আমি তো প্রধানমন্ত্রীর কল্যাণ ট্রাস্ট থেকে যখন যে ধরনের সহযোগিতা দরকার, আমি সব সময়ই সেটা করে যাই। এতে আমার কাজের পরিমাণ বাড়ে, হাজার হাজার দরখাস্ত দেখতে হয়, পড়তে হয়, কাকে কী দেব, তারপরও আমি কিন্তু করে যাওয়ার চেষ্টা করি। কল্যাণ ট্রাস্ট আমি এ জন্যই করে দিয়েছিলাম, আমি যখন থাকব না, তখনো যেন কেউ বঞ্চিত না হয়, সবাই যেন পায়। প্রধানমন্ত্রী সংবাদমাধ্যম মালিকদের বাংলাদেশ জার্নালিস্ট ওয়েলফেয়ার ট্রাস্টে অর্থ সহায়তা দেওয়ার আহ্বান জানিয়ে বলেন, আমরা বঙ্গবন্ধু স্যাটেলাইট-১ উৎক্ষেপণ করেছি, আগে টেলিভিশন চালাতে গেলে ডলার দিয়ে স্যাটেলাইট ভাড়া করতে হতো, এখন ভাড়া করতে হয় না। এখন অনেক টাকা বেঁচে যাচ্ছে, বেঁচে যাচ্ছে বলে তো কল্যাণ ট্রাস্টে অনুদান দিতে পারেন। মালিকদের তো এগিয়ে আসা প্রয়োজন বলে আমি মনে করি। তিনি বলেন, টকশোয় ইচ্ছেমতো বলে যাচ্ছে, যা বলার তাই বলে যাচ্ছে। সব কিছু বলার পরও বলে কথা বলার স্বাধীনতা নেই। স্বাধীনতা ছিল কখন? আইয়ুব খানের আমলে ছিল, জিয়াউর রহমানের আমলে ছিল, এরশাদের আমলে ছিল? প্রধানমন্ত্রী বলেন, যতটা স্বাধীনতা আওয়ামী লীগ সরকার দিয়েছে, এই ১৪ বছর সাংবাদিকরা পেয়েছে, এই স্বাধীনতা এর আগে কখনো কেউ ভোগ করেনি, এটা আমি দ্ব্যর্থহীনভাবেই বলতে পারি। আমরা চাই আমাদের দেশের কল্যাণে যেন সমালোচনা হয়, দেশের ক্ষতি করার জন্য নয়। তিনি বলেন, জনকল্যাণের জন্য কাজ, দেশের কৃষক শ্রমিক মেহনতি মানুষ থেকে শুরু করে সবার জন্যই আমরা সহযোগিতা করে আসছি, যাতে জীবনমান উন্নত করা যায়। আজ কিন্তু সেই উন্নতিটা হয়েছে। হ্যাঁ, এ সময় মানুষের কষ্ট হচ্ছে আমি জানি। ইউক্রেন যুদ্ধের পর স্যাংশনের ফলে মুদ্রাস্ফীতি, আমাদের দেশে কত আর মুদ্রাস্ফীতি, অন্যান্য উন্নত দেশে দেখবেন যে কী দুরবস্থা মানুষের! তারা তো তাদের প্রয়োজনীয় জিনিস কিনতেও পারে না।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, আমরা তো এটুকু দাবি করতে পারি, এ দেশের মানুষ নুন-ভাত চাইত, নুন-ভাত জোটাতে পারত না। আজ তারা মাংস খাওয়ার চিন্তা করে। মাংসের দাম বেড়েছে, এ কথাটা তারা বলতে পারে। এ অবস্থা কি বাংলাদেশে কখনো ছিল, ছিল না। এই যে উন্নতিটা এটাও তো একটা উন্নতি। এখন তারা আর নুন-ভাত চায় না, ভাত-মাংস চায়। আমরা এ অবস্থায় নিয়ে আসতে পেরেছি। তিনি আরও বলেন, এখন সারা বিশ্বেই একটা সমস্যা। সে সমস্যার কারণে আমাদের ওপর একটা প্রভাব পড়েছে। আমরা আহ্বান করেছি, কেউ এক ইঞ্চি জমি যেন অনাবাদি না রাখে, কেউ জমি অনাবাদি রাখছে না, উৎপাদন বাড়ছে। তবে বর্ষাকালে সব সময় কাঁচা মরিচের দাম পাওয়া যায়, কারণ বর্ষার জন্য খেতে মরিচ উৎপাদনও হয় না, আর খেতে পানি আসে বিধায় মরিচ তোলাও যায় না। এ সমস্যাটা আছে। মানুষ যাতে ঝালটা খেতে পারে, আমরা মরিচ আমদানি করে সে ব্যবস্থাটা করে দিয়েছি।

সাংবাদিকরা ফ্ল্যাট পাবে সহজ কিস্তিতে : প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, আমরা সাংবাদিকদের আবাসনের জন্য বিশেষ উদ্যোগ নিয়েছি। ইতোমধ্যে অনেকেই প্লট পেয়েছেন, কেউ কেউ তা বিক্রিও করেছেন। সরকারিভাবে অনেক ফ্ল্যাট তৈরি করা হয়েছে। সামান্য কিছু টাকা জমা দিয়ে সাংবাদিকরা চাইলে কিস্তিতে পরিশোধ করে এসব ফ্ল্যাট নিতে পারবেন।

শেখ হাসিনা বলেন, এ দেশে কোনো মানুষ ভূমিহীন থাকবে না, গৃহহীন থাকবে না। তাদের আমরা ঘর করে দিচ্ছি। আমরা চাই প্রত্যেকের একটা ঠিকানা হবে। সেই সঙ্গে তাদের আমরা বিনা সুদে ঋণ দিচ্ছি, কাজের ব্যবস্থা করে দিচ্ছি। প্রধানমন্ত্রী আরও বলেন, ন্যাম সম্মেলনের জন্য আমরা যখন ফ্ল্যাট তৈরি করি তখনই আমার একটা লক্ষ্য ছিল সম্মেলন শেষে এ ফ্ল্যাটগুলো কবি, শিল্পী, সাহিত্যিক ও সাংবাদিকদের দেব। কারণ, তাদের চাকরির কোনো স্থায়িত্ব থাকে না। যখন তারা বৃদ্ধ বা অসুস্থ হয়ে যায়, কীভাবে চলবে? সরকারি চাকরি যারা করেন তারা তো অবসর ভাতা পান, আমাদের রাজনীতিবিদদের জন্যও কিছু থাকে না, আবার সাংবাদিকদেরও কিছু থাকে না। এটাই বাস্তবতা। তাই সরকারি ফ্ল্যাটগুলো চাইলে আপনারা সাংবাদিকরা নিতে পারেন।

মাঝে মাঝে মনে হয়, সব কিছু বন্ধ করে দিই : সমালোচকদের উদ্দেশে প্রধানমন্ত্রী বলেন, যারা এসব লেখে মাঝে মাঝে মনে হয়, আমরা সব কিছু বন্ধ করে দিয়ে আবার ৩ হাজার মেগাওয়াটে ফিরে যাই। ফিরে গিয়ে সবাইকে বুঝিয়ে দিই যে, কী অবস্থা হতো দেশে! মাথায় ঢুকত কেন এটা করা হলো। সমালোচনা করতে পারেন, সমালোচনা ভালো। কিন্তু সেই সমালোচনাটা আমি মনে করি গঠনমূলক হওয়া উচিত। সেই সমালোচনার মধ্য দিয়ে সংশোধনের সুযোগ থাকা উচিত। শুধু তো বলার জন্য বলা না। হ্যাঁ, অপজিট তো বলবেই, তারা কথা বলে টকশো করে, টকশোয় ইচ্ছামতো বলে যাচ্ছে, যা বলার তাই বলে যাচ্ছে। সব কিছু বলার পর বলে, কথা বলার স্বাধীনতা নেই। স্বাধীনতা ছিল কখন? আইয়ুব খানের আমলে ছিল? জিয়াউর রহমানের আমলে ছিল? এরশাদের আমলে ছিল? ২০০১ সালের কথা একবার চিন্তা করেন, খালেদা জিয়া যখন সরকারে এলেন, দক্ষিণাঞ্চলে কি কোনো সাংবাদিক যেতে পেরেছিলেন?

অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রী বলেন, আমি মনে করি, আমাদের সরকারের কার্যক্রমের হিসাব ১৯৯৬ সাল থেকে দেওয়াই ভালো। তখন তো আরও দুরবস্থা ছিল, মাত্র ১ হাজার ৫০০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ ছিল। আমরাই বিশেষ আইন করে বেসরকারি খাতে বিদ্যুৎ উৎপাদনের ব্যবস্থা করে দিয়েছি। অল্প সময়ের মধ্যে আমরা ৪ হাজার ৩০০ মেগাওয়াট পর্যন্ত বিদ্যুৎ বাড়িয়েছিলাম। দ্বিতীয়বার যখন ক্ষমতায় আসি, দেখি সেখান থেকে ১ হাজার মেগাওয়াট নেই। যাই হোক, ৩ হাজার ৮০০ মেগাওয়াট থেকে ২৫ হাজার মেগাওয়াট পর্যন্ত বিদ্যুৎ উৎপাদনে আমরা সক্ষম হয়েছি। তিনি বলেন, আমাদের আশু করণীয় ব্যবস্থা এবং সেই সঙ্গে দীর্ঘমেয়াদি পরিকল্পনা নেই। দীর্ঘমেয়াদি বাস্তবায়ন সময়ের ব্যাপার। আমরা যদি আশু করণীয় ব্যবস্থাটা না নিতাম তাহলে চিন্তা করে দেখেন, ওই ৩ হাজার ৮০০ মেগাওয়াট হয়তো ১০০-২০০ করে বাড়ত। কিন্তু ঘরে ঘরে বিদ্যুৎ তো পৌঁছাতে পারতাম না।

শেখ হাসিনা বলেন, অনেকে অনেক কথাই বলে। কুইক রেন্টাল দেওয়া হলো কেন, হিসাবও বের করে দেয় যে, এত হাজার কোটি টাকা তাদের (কুইক রেন্টাল) দেওয়া হয়েছে। হ্যাঁ, দিয়েছি। কিন্তু তার বিনিময়ে বাংলাদেশের অর্থনীতি কতটুকু এগিয়েছে সে বিবেচনাও তো করতে হবে। চৌদ্দ বছরে ৯০ হাজার কোটি টাকা দিয়েছি এটা বাস্তব কথা। কিন্তু এই ৯০ হাজারের বিপরীতে আজ বাংলাদেশের অবস্থান কোথায় দাঁড়িয়েছে! বর্তমান সরকারের উন্নয়ন তুলে ধরে শেখ হাসিনা বলেন, এখানে ২০০৬ সালে বিএনপির আমলে সর্বশেষ বাজেট দিয়েছে ৬১ হাজার কোটি টাকা। তত্ত্বাবধায়ক সরকার সর্বশেষ বাজেট দিয়েছে ৬৮ হাজার কোটি টাকা। আর আমরা ২০২৩-২৪ অর্থবছরে ৭ লাখ ৬১ হাজার ৫৮৫ কোটি টাকার বাজেট দেওয়ার সক্ষমতা অর্জন করেছি। ঘরে ঘরে বিদ্যুৎ পৌঁছে দেওয়ার ব্যবস্থা আমরা করেছি। মানুষের মাথাপিছু আয় বৃদ্ধি পেয়েছে, প্রবৃদ্ধির হার আমরা বাড়িয়েছি, এটা কি কখনো সম্ভব হতো? কখনো সম্ভব হতো না।

মশা কামড় দিলেও সরকারের দোষ : গতকাল দুপুরে ঢাকা মেডিকেল কলেজের ৭৮তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উদযাপন উপলক্ষে আয়োজিত অনুষ্ঠানে ভার্চুয়ালি যোগ দেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। এ সময় প্রধানমন্ত্রী বলেন, দেশে ডেঙ্গুর প্রকোপ দেখা দিয়েছে। এ জন্য জনসচেতনতাই বেশি দরকার। যার যার বাড়িঘর পরিষ্কার রাখতে হবে। সেদিকে সবার দৃষ্টি দিতে হবে। আমাদের দেশে তো একটা সমস্যা আছে, যা কিছু হচ্ছে সবকিছুর দোষ সরকারের। মশা কামড় দিলেও সেটা সরকারের দোষ। তিনি বলেন, সরকার কত মশা মারবে? মশার তো প্রজন্মের হার অনেক বেশি। সেই মশা যাতে বেশি না হতে পারে সে জন্য যার যার নিজের বাড়িঘর পরিষ্কার রাখতে হবে। ডিএমসি অ্যালামনাই ট্রাস্টের চেয়ারম্যান ডা. জুলফিকার রহমান খানের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে স্বাস্থ্য ও পরিবারকল্যাণ মন্ত্রী জাহিদ মালেক, শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি, বাংলাদেশ মেডিকেল অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি ডা. মোস্তফা জালাল মহিউদ্দিন ও সাবেক স্বাস্থ্য ও পরিবারকল্যাণ মন্ত্রী ডা. আ ফ ম রুহুল হক এমপি প্রমুখ বক্তৃতা করেন।

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, সেদিন উত্তরের মেয়র আমাকে বললেন, এত বড় লোক, বিশাল বিশাল ফ্ল্যাটে থাকে, তাদের বাড়ির ভিতরে মশার প্রজনন ক্ষেত্র তৈরি হয়ে আছে। উনারা নিজেরা কিছু সাফ করবেন না। সেটা বোধ হয় সরকারকে গিয়ে করে দিয়ে আসতে হবে। বাড়ি তাদের, থাকেন তারা, কমিটিও আছে, এমনকি যারা ফ্ল্যাটে থাকেন তারা কিন্তু মেইনটেনেন্সের জন্য নির্দিষ্ট পরিমাণ টাকাও দিচ্ছেন, তারপরও তারা ওটা সাফ করবেন না। কে করে দেবে? সরকার গিয়ে করে দেবে? সরকার তো প্রত্যেকের ঘরে ঘরে গিয়ে সাফ করে দিয়ে আসতে পারবে না। স্বাস্থ্য সম্পর্কে সচেতনতা যার যার নিজের ব্যাপার। নিজেকেই সচেতন থাকতে হবে, পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন থাকতে হবে। গবেষণায় মনোযোগ দিতে চিকিৎসকদের প্রতি আহ্বান জানিয়ে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, আমাদের চিকিৎসা বিজ্ঞানে গবেষণার খুব অভাব, হাতেগোনা কয়েকজন গবেষণা করেন। চিকিৎসকদের প্রতি অনুরোধ, আপনারা একটু গবেষণার দিকে মনোযোগ দেন। গবেষণার জন্য যত টাকা লাগে আমরা দেব, তারপরও আপনাদের প্রতি অনুরোধ গবেষণা করেন। তিনি আরও বলেন, চিকিৎসকদের ঘরে বসে না থেকে বিশ্বের বিভিন্ন দেশের বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকদের অনুসরণ করা উচিত। তারা কীভাবে কাজ করে তা দেখেও অনেক কিছু শেখার আছে। শেখ হাসিনা বলেন, ঢাকা মেডিকেলে ক্রমবর্ধমান রোগীদের স্বাস্থ্যসেবা দিতে খুবই কঠিন পরিস্থিতির মুখোমুখি হচ্ছে। তাই, আমরা ঢাকা মেডিকেলকে সুন্দর, আধুনিক এবং বড় হাসপাতালে পরিণত করার জন্য একটি পরিকল্পনা তৈরি করেছি। কারণ, এ হাসপাতাল থেকে যাতে একই সময় ৪ হাজার রোগী চিকিৎসা সেবা গ্রহণ করতে পারে। তিনি বলেন, আমরা আশা করি, আমরা খুব শিগগির (ঢাকা মেডিকেলকে ৪ হাজার শয্যার হাসপাতালে পরিণত করার) কাজ শুরু করতে পারব। এ সময় শেখ হাসিনা তাঁর হতাশা ব্যক্ত করে বলেন, কয়েকটি জেলা হাসপাতালে অ্যানেস্থেসিওলজিস্টের অভাবের কারণে কোনো অস্ত্রোপচার করা হয় না। এ ছাড়া, অনেক আধুনিক চিকিৎসা সরঞ্জাম সঠিকভাবে ব্যবহার করা হচ্ছে না। তিনি চিকিৎসকদের গ্রামীণ এলাকায় না থাকার মানসিকতার সমালোচনা করে বলেন, এ কারণে গ্রামের লোকদের ভোগান্তি পোহাতে হয়। এ প্রসঙ্গে প্রধানমন্ত্রী আরও বলেন, ‘সবাই (চিকিৎসকরা) ঢাকায় থাকতে চায়, তাদের কেউ ঢাকার বাইরে যেতে চায় না। যখন আপনাকে গ্রামে পোস্টিং দেওয়া হবে, তখন সেখানে থেকেই আপনাকে দায়িত্ব পালন করতে হবে।’ তিনি বলেন, সংশ্লিষ্ট সবাইকে বিষয়টির প্রতি যথাযথ মনোযোগ দিতে হবে।

সর্বশেষ খবর