রানা প্লাজা ধসে সহস্রাধিক মানুষের মৃত্যুর ঘটনায় দায়ের করা হত্যা মামলায় ভবনটির মালিক সোহেল রানার জামিন বিষয়ে শুনানি ছয় মাসের জন্য স্ট্যান্ডওভার রেখেছেন আপিল বিভাগ। এই ছয় মাস তার জামিন স্থগিত থাকবে বলে আদেশে বলা হয়েছে। প্রধান বিচারপতি হাসান ফয়েজ সিদ্দিকীর নেতৃত্বাধীন আপিল বিভাগ এ আদেশ দেন। এ সময় প্রধান বিচারপতি বলেন, ‘আমরা যখন বিচার করি তখন আমাদের ভাবতে হয় যে, ওই ঘটনায় মারা যাওয়া প্রায় ১১০০ লাশ আমাদের সামনে। তাদের আত্মীয়স্বজনরাও ন্যায়বিচার চান। তাই এখনই সোহেল রানাকে জামিন দিচ্ছি না।’ আদালতে সোহেল রানার পক্ষে ছিলেন আইনজীবী কামরুল ইসলাম। রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল সারওয়ার হোসেন বাপ্পী ও সহকারী অ্যাটর্নি জেনারেল সাইফুল আলম। এর আগে ৮ মে রানা প্লাজা ধসে পড়ে সহস্রাধিক মানুষের মৃত্যুর ঘটনায় দায়ের করা হত্যা মামলায় ভবনটির মালিক সোহেল রানাকে হাই কোর্টের দেওয়া জামিন ১০ জুলাই পর্যন্ত স্থগিত করেন আপিল বিভাগ। ওই দিন প্রধান বিচারপতি হাসান ফয়েজ সিদ্দিকীর নেতৃত্বাধীন আপিল বেঞ্চ এ আদেশ দেন। ৬ এপ্রিল এ মামলায় সোহেল রানাকে জামিন দিয়েছিলেন হাই কোর্ট। পরে ৯ এপ্রিল হাই কোর্টের দেওয়া জামিন স্থগিত করে আপিল বিভাগের পূর্ণাঙ্গ বেঞ্চে পাঠিয়ে দেন চেম্বার জজ আদালত। ফলে রানার মুক্তিও স্থগিত হয়ে যায়। এর আগে গত বছর মার্চে রানাকে কেন জামিন দেওয়া হবে না তা জানতে চেয়ে রুল জারি করেছিলেন হাই কোর্ট। ওই রুলকে যথাযথ ঘোষণা করে ৬ এপ্রিল তাকে জামিন দেওয়া হয়েছিল। ২০১৩ সালের ২৪ এপ্রিল দেশের ইতিহাসে সবচেয়ে বড় দুর্ঘটনা রানা প্লাজা ধসের মর্মান্তিক ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় প্রায় ১৩০০ মানুষের মৃত্যু হয়, যাদের প্রায় সবাই ছিলেন পোশাক কারখানার শ্রমিক। এ ঘটনায় হওয়া হত্যা মামলার প্রধান আসামি ভবনের মালিক সোহেল রানা।