শিরোনাম
বুধবার, ১২ জুলাই, ২০২৩ ০০:০০ টা
হাই কোর্টে প্রতিবেদন

সত্যতা ৫৮১ কোটি টাকার সার আত্মসাতের

নিজস্ব প্রতিবেদক

৫৮১ কোটি ৫৮ লাখ টাকা মূল্যের ৭২ হাজার মেট্রিক টন সরকারি সার আত্মসাতের অভিযোগের সত্যতা পেয়েছে বাংলাদেশ রাসায়নিক শিল্প করপোরেশন (বিসিআইসি) গঠিত পাঁচ সদস্যের তদন্ত কমিটি। হাই কোর্টে দাখিল করা তদন্ত প্রতিবেদনে এ তথ্য উঠে এসেছে।

বিচারপতি নজরুল ইসলাম তালুকদার ও বিচারপতি খিজির হায়াতের সমন্বয়ে গঠিত হাই কোর্ট বেঞ্চে গতকাল এ প্রতিবেদন দাখিল করা হয়। আদালত এ বিষয়ে দুর্নীতি দমন কমিশন-দুদককে আগামী ২৩ জুলাইয়ের মধ্যে তাদের তদন্ত রিপোর্ট জমা দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছেন। ওই দিনই রায়ের দিন ধার্য করেছেন হাই কোর্ট। প্রতিবেদনে অনুযায়ী, সাবেক এমপির মালিকানাধীন মেসার্স পোটন ট্রেডার্স কর্তৃক (২০২১-২০২২) অর্থবছরে বিসিআইসির বিভিন্ন বাফার গুদামে সরবরাহ না করা সারের পরিমাণ ছিল ৭১ হাজার ৮০১ মেট্রিক টন। আত্মসাৎ করা এই সারের ক্রয়মূল্য ছিল ৫৫৩ কোটি ৮৮ লাখ টাকা। এই ক্রয়মূল্যের সঙ্গে অন্যান্য খরচ যোগ করা হলে বিসিআইসি তথা সরকারের মোট ক্ষতির পরিমাণ দাঁড়িয়েছে ৫৮১ কোটি ৫৮ লাখ টাকা। এই সার আত্মসাতের বিষয়ে বিসিআইসিকে ব্যাখ্যা দিতে গত ৫ জুন নির্দেশ দেন হাই কোর্ট। একই সঙ্গে ওই ঘটনায় জড়িতদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে কর্তৃপক্ষের ব্যর্থতা কেন অবৈধ ঘোষিত হবে না, তা জানতে চেয়ে রুল জারি করা হয়। পাশাপাশি দুদককে এ বিষয়ে অনুসন্ধানের নির্দেশ দেয় আদালত। দুদক কৌঁসুলি জানিয়েছেন, সার আত্মসাতের ঘটনা অনুসন্ধান করছে কমিশন।

এর আগে ‘পোটনের পেটে ৫৮২ কোটি টাকার সার’ শিরোনামে বিভিন্ন জাতীয় দৈনিকে প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়। সেখানে বলা হয়, সরকারিভাবে আমদানি করা ৭২ হাজার মেট্রিক টন রাসায়নিক সার বন্দর থেকে খালাসের পর গুদামে পৌঁছে না দিয়ে আত্মসাৎ করেছে পরিবহনের দায়িত্বে থাকা ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান মেসার্স পোটন ট্রেডার্স। এতে সরকারের আর্থিক ক্ষতি হয়েছে ৫৮২ কোটি টাকা। পোটন ট্রেডার্স সাবেক সংসদ সদস্য কামরুল আশরাফ খানের (পোটন) মালিকানাধীন প্রতিষ্ঠান। তিনি ছিলেন সার ব্যবসায়ীদের সংগঠন বাংলাদেশ ফার্টিলাইজার অ্যাসোসিয়েশনের (বিএফএ) সভাপতি।

সর্বশেষ খবর