বুধবার, ১২ জুলাই, ২০২৩ ০০:০০ টা
শিবলী রুবাইয়াত-উল-ইসলাম

খুব তাড়াতাড়ি ফ্লোর প্রাইস তুলে দেওয়ার চেষ্টা

নিজস্ব প্রতিবেদক

খুব তাড়াতাড়ি ফ্লোর প্রাইস তুলে দেওয়ার চেষ্টা

বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশনের (বিএসইসি) চেয়ারম্যান অধ্যাপক শিবলী রুবাইয়াত-উল-ইসলাম বলেছেন, রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের কারণে সৃষ্ট অর্থনৈতিক বিপর্যয়ে বিনিয়োগকারীদের পুঁজি নিরাপদ করতে ফ্লোর প্রাইস আরোপ করা হয়েছে। খুব তাড়াতাড়ি এটা তুলে দেওয়ার চেষ্টা করা হচ্ছে। আমরা যদি বুঝি- মানুষের পুঁজি বিপদে পড়বে না, সঙ্গে সঙ্গে ফ্লোর প্রাইস তুলে দেব। অর্থনীতিতে পুঁজিবাজারের চ্যালেঞ্জ এবং সম্ভাবনা নিয়ে গতকাল ইকোনমিক রিপোর্টার্স ফোরাম (ইআরএফ) আয়োজিত সেমিনারে তিনি এসব কথা বলেন।  ইআরএফের সভাপতি রেফায়েত উল্লাহ মৃধার সভাপতিত্বে সাধারণ সম্পাদক আবুল কাশেমের সঞ্চালনায় সেমিনারে মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন ইআরএফের সদস্য মুহাম্মদ মোফাজ্জল। সেমিনারে ডিএসইর চেয়ারম্যান হাফিজ মোহাম্মদ হাসান বাবু, সিএসইর চেয়ারম্যান আসিফ ইব্রাহিম, ক্যাপিটাল মার্কেট স্ট্যাবিলাইজেশন ফান্ডের চেয়ারম্যান নজিবুর রহমান, এনআরবিসি ব্যাংকের চেয়ারম্যান এস এম পারভেজ তমাল, অ্যাসেট ম্যানেজমেন্ট কোম্পানি ও মিউচুয়াল ফান্ড অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি হাসান ইমাম প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন। শিবলী রুবাইয়াত-উল-ইসলাম বলেন, বেশির ভাগ বিনিয়োগকারী জানতে চান ফ্লোর প্রাইস কবে উঠবে। আমরা ফ্লোর প্রাইসের পক্ষে নই। রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের পরিপ্রেক্ষিতে অর্থনীতিতে একটা মহাবিপর্যয় আসতে যাচ্ছে, এটা আমরা বুঝতে পারছিলাম। তখনই দেখেছিলাম রিজার্ভের সঙ্গে সঙ্গে এক্সচেঞ্জ রেট ভোলাটিলিটি। আমাদের (শেয়ারবাজার) ইনডেক্স কমে যাওয়া শুরু করে। তখন বিনিয়োগকারীদের পুঁজির নিরাপত্তার কথা বিবেচনা করে ফ্লোর প্রাইস আরোপ করি। আমরা চাইনি আমাদের সাধারণ বিনিয়োগকারীদের ওপর বড় ধরনের কোনো ধাক্কা আসুক। ফ্লোর প্রাইস যত দ্রুত সম্ভব তুলে দেব, শুধু সঠিক পরিস্থিতির অপেক্ষায় আছি। তিনি আরও বলেন, মার্কেটের খারাপ পরিস্থিতিতেও অনেকে ভালো মুনাফা করেছেন। সবসময় যদি ক্যাপিটাল মার্কেট উচ্চ গতিতে থাকে তাহলে লাভের সুযোগ কমে যায়। বাজার ওঠানামা করলে লাভের সুযোগ বাড়ে। ক্যাপিটাল মার্কেট টেকনিক্যাল বিষয়, খুব কম মানুষ এটা বোঝে। আমরা ফিন্যান্সিয়াল লিটারেসির ওপর গুরুত্ব দিয়েছি। দেশের প্রতিটি বিভাগ আমাদের কাভার করা শেষ, এখন জেলাগুলোতে আমরা বিনিয়োগ শিক্ষা কার্যক্রম শুরু করেছি। বিদেশেও আমরা আমাদের দেশের ব্র্যান্ডিং এবং ইনভেস্টমেন্ট জোগাড় করছি। আমরা যে মার্কেট ধরে রেখেছি, রাখার চেষ্টা করছি, এটা খুব কঠিন কাজ। এত স্টেকহোল্ডার, এত রকমের মানুষ, বিনিয়োগকারী, এত রকমের সমস্যা ব্যালান্স করা সত্যিই কঠিন। তারপরও আমরা সবাই চেষ্টা করছি। ২৬-২৭টি রাষ্ট্রায়ত্ত প্রতিষ্ঠানের তালিকা সরকারের কাছে দিয়েছি। বলেছি, এ প্রতিষ্ঠানগুলো পুঁজিবাজারে আসা উচিত। প্রধানমন্ত্রীর মুখ্য সচিবের কাছেও দিয়েছি। অর্থ মন্ত্রণালয়ের সঙ্গে বিষয়টি নিয়ে শিগগিরই বসব।

সর্বশেষ খবর