বৃহস্পতিবার, ১৩ জুলাই, ২০২৩ ০০:০০ টা

দুর্নীতির দায়ে ওসি ফিরোজ ও স্ত্রীর সাজা

আদালত প্রতিবেদক

দুর্নীতির দায়ে পুলিশের সাবেক ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) ফিরোজ কবিরের ছয় বছর ও তার স্ত্রী সাবরিনা আহমেদকে চার বছরের কারাদন্ড দিয়েছেন আদালত। গতকাল ঢাকার ৯ নম্বর বিশেষ জজ আদালতের বিচারক শেখ হাফিজুর রহমান এ রায় ঘোষণা করেন।

জামিনে থাকা আসামিরা রায় ঘোষণার সময় আদালতে উপস্থিত ছিলেন। পরে তাদের সাজা পরোয়ানা দিয়ে কারাগারে পাঠানো হয়েছে।

মামলা সূত্রে জানা গেছে, আসামি ফিরোজ কবিরকে কারাদন্ডের পাশাপাশি অপরাধের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট সম্পত্তির দ্বিগুণ অর্থাৎ ১ কোটি ৭৪ লাখ ৩৪ হাজার ৩৮৮ টাকা অর্থদন্ড দেওয়া হয়েছে। এ ছাড়া অপরাধের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট সম্পত্তি, অর্থাৎ ৮৭ লাখ ১৭ হাজার ১৯৪ টাকা রাষ্ট্রের অনুকূলে বাজেয়াপ্তের নির্দেশ দিয়েছেন আদালত। অর্থদন্ডের টাকা রায়ের দিন থেকে ৬০ কার্যদিবসের মধ্যে পরিশোধ করতে বলা হয়েছে। ব্যর্থতায় তা দ্য কোড অব ক্রিমিনাল প্রসিডিউর ১৮৯৮-এর ৩৮৬ ধারা অনুযায়ী আদায়যোগ্য হবে। মামলায় অভিযোগ করা হয়, ২০১২ সালের ১ জানুয়ারি থেকে ২০১৬ সালের ৩১ মে পর্যন্ত ফিরোজ কবির তার এবি ব্যাংক গুলশান শাখার, ডাচ্-বাংলা ব্যাংক গুলশান শাখার, এনআরবি কমার্শিয়াল ব্যাংক গুলশান শাখার, ইসলামী ব্যাংক গুলশান শাখার, ব্র্যাক ব্যাংক গুলশান শাখার চলতি হিসাবে এবং স্ত্রী সাবরিনা আহমেদ ইভার নামে পরিচালিত ডাচ্-বাংলা ব্যাংকের গুলশান শাখার হিসাবে জ্ঞাত আয়বহির্ভূত সর্বমোট ৩০৯ দশমিক ৯৭ লাখ টাকা জমা করেন। তাদের ব্যাংক হিসাবসমূহে পেশার সঙ্গে অসামঞ্জস্যপূর্ণ বিপুল অঙ্কের লেনদেন সম্পন্ন হয়েছে। অধিকাংশ হিসাব খোলার সময় ফিরোজ কবির অর্থের উৎস চাকরি দেখিয়েছেন। কিন্তু যে ধরনের এবং যে অঙ্কের লেনদেন হয়েছে তা বেতন-ভাতার সঙ্গে সঙ্গতিপূর্ণ নয়। অর্থের উৎস সম্পর্কে অভিযুক্তরা কোনো সন্তোষজনক ব্যাখ্যা বা প্রমাণ দাখিলে ব্যর্থ হয়েছেন। এতে প্রাথমকিভাবে প্রমাণিত হয় যে, জমা করা অর্থ মানিলন্ডারিং প্রতিরোধ আইন অনুযায়ী দুর্নীতি ও ঘুষ সম্পৃক্ত অপরাধলব্ধ। এ ঘটনায় ২০১৭ সালের ৩ অক্টোবর দুদকের সহকারী পরিচালক সৈয়দ আতাউল কবির রাজধানীর গুলশান থানায় একটি মামলা করেন। ২০১৯ সালে মামলা তদন্তের পর দুদক এ মামলায় আদালতে চার্জশিট দাখিল করেন। আসামি ফিরোজ পুলিশে চাকরিকালে বরিশাল ও রাজধানীর ঢাকার গুলশানসহ বিভিন্ন স্থানে দায়িত্ব পালন করেন।

এই বিভাগের আরও খবর

সর্বশেষ খবর