শিরোনাম
শুক্রবার, ১৪ জুলাই, ২০২৩ ০০:০০ টা
দাশেরকান্দি এসটিপি উদ্বোধন

উন্নত পয়ঃনিষ্কাশন ব্যবস্থার মহাপরিকল্পনা নিন : প্রধানমন্ত্রী

প্রতিদিন ডেস্ক

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সারা দেশে ইউনিয়ন পর্যায় পর্যন্ত বিশুদ্ধ পানীয় জল এবং একটি উন্নততর বর্জ্য ব্যবস্থাপনা ব্যবস্থা পৌঁছানোর জন্য একটি মহাপরিকল্পনা তৈরি করতে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে নির্দেশ দিয়েছেন। গতকাল বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে এক অনুষ্ঠানে রাজধানীর খিলগাঁওয়ে দাশেরকান্দি স্যুয়ারেজ ট্রিটমেন্ট প্লান্ট (এসটিপি) নামে দক্ষিণ এশিয়ার সর্ববৃহৎ একক পয়ঃনিষ্কাশন শোধনাগার উদ্বোধন শেষে প্রধানমন্ত্রী এ নির্দেশ দেন।

এটি দেশে এ ধরনের প্রথম প্রকল্প। বাসস

স্থানীয় সরকার পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রীসহ সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে দ্রুত ব্যবস্থা নেওয়ার নির্দেশ দিয়ে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, প্রতিটি বিভাগীয় শহর, জেলা, উপজেলা ও ইউনিয়নে বিশুদ্ধ পানীয় জল এবং উন্নত পয়ঃনিষ্কাশন ব্যবস্থা নিশ্চিত করার জন্য একটি মহাপরিকল্পনা প্রণয়ন করুন। একই অনুষ্ঠানে শেখ হাসিনা বিশ্বব্যাংক এবং এশিয়ান ইনফ্রাস্ট্রাকচার ইনভেস্টমেন্ট ব্যাংকের (এআইআইবি) সহায়তায় পাগলা স্যুয়ারেজ ট্রিটমেন্ট প্লান্টের পুনর্গঠন ও সম্প্রসারণের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করেন। এটির পয়ঃনিষ্কাশন ক্ষমতা ২০ কোটি মেট্রিক টন। অনুষ্ঠানে শেখ হাসিনা আরও বলেন, তাঁর সরকার ঢাকা, রাজশাহী ও চট্টগ্রামে বিশুদ্ধ পানীয় জল এবং উন্নত স্যুয়ারেজ ব্যবস্থাপনার জন্য উদ্যোগ গ্রহণ করেছে। সরকারপ্রধান বলেন, তাঁর সরকারের উদ্যোগের সঙ্গে তাল মিলিয়ে ‘আমার গ্রাম, আমার শহর’ প্রকল্পের অধীনে সরকার বিশুদ্ধ পানীয় জল এবং উন্নত স্যুয়ারেজ সুবিধা সারা দেশে ছড়িয়ে দিতে চায়। তিনি বলেন, গ্রামের মানুষ তাদের নাগালের মধ্যে সমস্ত শহুরে সুযোগ-সুবিধা পাবেন। প্রধানমন্ত্রী সংশ্লিষ্ট সবাইকে সমন্বিতভাবে মাস্টারপ্ল্যান তৈরির নির্দেশ দেন। তিনি দেশবাসীকে পানি ও বিদ্যুৎ ব্যবহারে সাশ্রয়ী হওয়ার আহ্বান জানান। প্রধানমন্ত্রী বলেন, অপ্রয়োজনে পানি এবং বিদ্যুৎ ব্যবহার করবেন না, দয়া করে এগুলো ব্যবহারে সাশ্রয়ী হোন। আপনিও এতে উপকৃত হবেন, কারণ এতে বিলও কম হবে। দাশেরকান্দি প্লান্টের দৈনিক ৫০ লাখ টন পয়ঃনিষ্কাশন শোধনের ক্ষমতা রয়েছে, যা রাজধানীর মোট পয়ঃনিষ্কাশনের ২০ থেকে ২৫ শতাংশ। রাজধানীর আশপাশের নদনদীগুলোকে দূষণের হাত থেকে রক্ষা করতে এ প্লান্ট মুখ্য ভূমিকা পালন করবে। চীনের অর্থায়নে ৩ হাজার ৪৮২ দশমিক ৪২ কোটি টাকা ব্যয়ে প্রায় ৬২ দশমিক ২ একর জমিতে প্রকল্পটি বাস্তবায়িত হয়। ব্যয়ের মধ্যে ১ হাজার ১০৬ দশমিক ৪২ কোটি টাকা সরকারি তহবিল থেকে, ১০ কোটি টাকা ওয়াসা তহবিল থেকে এবং অবশিষ্ট ২ হাজার ৩৬৬ কোটি টাকা চীনের এক্সপোর্ট-ইমপোর্ট ব্যাংক থেকে প্রকল্প সহায়তা হিসেবে এসেছে। প্রকল্প অনুযায়ী, প্রগতি সরণিতে রামপুরা সেতুর পশ্চিম পাশে একটি বর্জ্য উত্তোলন স্টেশন, রামপুরা থেকে আফতাবনগর পর্যন্ত ৫ কিলোমিটার ট্রাঙ্ক স্যুয়ারেজ লাইন এবং দাশেরকান্দিতে মূল শোধনাগার নির্মিত হয়েছে। অনুষ্ঠানে ঢাকা ওয়াসা, দাশেরকান্দি স্যুয়ারেজ ট্রিটম্যান্ট প্লান্ট ও পাগলা স্যুয়ারেজ ট্রিটমেন্ট প্লান্টের পৃথক তিনটি ভিডিও প্রামাণ্যচিত্র প্রদর্শন করা হয়।

সর্বশেষ খবর