প্রধান বিচারপতি হাসান ফয়েজ সিদ্দিকী বলেছেন, আমরা রক্ত দিয়ে ১৯৭১ সালে এ দেশ স্বাধীন করেছি। সবাই সেই ইতিহাস জানেন। যদি যুদ্ধ করে এ ভূখন্ড স্বাধীন করতে পারি, মামলাজটের বিরুদ্ধেও যুদ্ধে আমরা জয়ী হব। গতকাল ঢাকার জেলা জজ আদালত প্রাঙ্গণে বিচারপ্রার্থীদের জন্য নির্মিতব্য বিশ্রামাগার ‘ন্যায়কুঞ্জ’-এর ভিত্তি স্থাপন অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন। প্রধান বিচারপতি বলেন, আদালতগুলোতে অনেক মামলা জমে গেছে। এ মামলার জট যেভাবেই হোক ছাড়াতে হবে। অন্যথায় বিচারপ্রার্থীরা তাদের ন্যায়বিচার পাওয়ার অধিকার থেকে বঞ্চিত হবেন। তিনি আরও বলেন, আমি বিচারকদের নির্দেশ দিয়েছি মামলা নিষ্পত্তির হার বাড়াতে। ১২০টি মামলা দাখিল হলে নিষ্পত্তি যেন ১২৫ হয়। তাহলে ৫ থেকে ৬ বছরের মধ্যে মামলাজট কমে আসবে। ন্যায়কুঞ্জের বিষয়ে প্রধান বিচারপতি হাসান ফয়েজ সিদ্দিকী  বলেন, এ ন্যায়কুঞ্জ তাদের জন্য, যারা এখানে বিচার পেতে আসেন, তাদের বিশ্রাম নেওয়ার জন্য। প্রধানমন্ত্রী বিচারপ্রার্থীদের দুর্ভোগ কমানোর জন্য ৩৫ কোটি টাকা বরাদ্দ দিয়েছেন। আমরা সারা দেশের আদালতগুলোতে এ ধরনের ন্যায়কুঞ্জ স্থাপন করছি।

অনুষ্ঠানে সুপ্রিম কোর্টের রেজিস্ট্রার জেনারেল মো. গোলাম রব্বানী, ঢাকার সিনিয়র জেলা ও দায়রা জজ এ এইচ এম হাবিবুর রহমান ভুঁইয়া, মহানগর দায়রা জজ মো. আছাদুজ্জামান, চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট মো. রেজাউল করিম চৌধুরী, চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট সৈয়দ মাশফিকুল ইসলাম, সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগের রেজিস্ট্রার মোহাম্মদ সাইফুর রহমানসহ বিচার বিভাগীয় কর্মকর্তা, ঢাকা জেলা ও মহানগর আদালতের আইনজীবীরা উপস্থিত ছিলেন।