শনিবার, ১৫ জুলাই, ২০২৩ ০০:০০ টা

নির্বাচনে কে এলো না এলো তা গুরুত্বপূর্ণ মনে করছে না

----- ড. ইমতিয়াজ আহমেদ

নিজস্ব প্রতিবেদক

নির্বাচনে কে এলো না এলো তা গুরুত্বপূর্ণ মনে করছে না

আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিশ্লেষক ও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক অধ্যাপক ড. ইমতিয়াজ আহমেদের মতে, যুক্তরাষ্ট্র চাচ্ছে একটি সুষ্ঠু নির্বাচন যেন হয়। যেখানে জনগণ অংশগ্রহণ করতে পারে। ভোট দিতে পারে। তাতে কোনো দল নির্বাচনে এলো কি এলো না সেটি তাদের কাছে খুব একটা বড় বিষয় মনে হলো না। তারা বলছে যে, অবাধ ও সুষ্ঠু হলেই হলো। গতকাল বাংলাদেশ প্রতিদিনের সঙ্গে আলাপচারিতায় তিনি এসব কথা বলেন। ড. ইমতিয়াজ আহমেদ বলেন, মার্কিন প্রতিনিধি দলের সফরের এক ধরনের ধারাবাহিকতা আছে। আর নির্বাচনের আগে তাদের বাড়তি উৎসাহ সব সময়ই ছিল। এমনিতে বাংলাদেশের সঙ্গে আমেরিকার বিভিন্ন ধরনের সম্পর্ক আছে। এটি শুধু নির্বাচন কেন্দ্রিক নয়। ব্যবসা-বাণিজ্য থেকে শুরু করে বিভিন্ন ধরনের সম্পর্ক আছে। তবে যেটি পরিষ্কার হলো, বিরোধী দলের যেই দাবি বিশেষ করে সংবিধান পরিবর্তন বা তত্ত্বাবধায়ক সরকার সেসব বিষয়ে মনে হলো না তাদের খুব একটা উৎসাহ আছে। বরং তারা চাচ্ছে যে একটি সুষ্ঠু নির্বাচন যেন হয়। যেখানে জনগণ অংশগ্রহণ করতে পারে। ভোট দিতে পারে। তাতে কোনো দল নির্বাচনে এলো কি না এলো সেটি তাদের কাছে খুব একটা বড় বিষয় মনে হলো না। তারা বলছে যে, ফ্রি অ্যান্ড ফেয়ার হলেই হলো। কিন্তু সংবিধানের পরিবর্তনের বিষয় তাদের দায়িত্ব নয়। সংলাপে তাদের ভূমিকার বিষয়ে তারা বলেছে যে, এটি তাদের দায়িত্ব নয়। তারাও চাচ্ছে, সংলাপ যেন হয়। সংলাপের দায়িত্বও যে তারা নেবে সে রকমটাও মনে হচ্ছে না। বিরোধী দল নির্বাচনে যাবে কি না, বিশেষ করে নির্বাচনের যে কাঠামো তৈরি করেছে সরকার সেটিই এখন দেখার বিষয়। এ জন্য অপেক্ষা করতে হবে কিছুটা। তখন বোঝা যাবে বিরোধী দল আন্দোলনে যাবে, না নির্বাচনে যাবে। ড. ইমতিয়াজের মতে, বাংলাদেশে বড় ধরনের আন্দোলন না করলে সরকারের কোনো পরিবর্তন হয় না। আন্দোলন মানে, লাখ লাখ মানুষ যখন রাস্তায় নামে তখন হয়তো পরিবর্তন হয়। তাছাড়া পরিবর্তন করা কখনো হয়নি এবং বিদেশি কেউ এসেও কোনো কিছু করতে পারে না। সেটাও তারা মনে হয় বুঝতে পারছে। তিনি বলেন, দুই দলের সমাবেশ যেদিন হলো, সেদিন পুলিশের ভূমিকার তারা প্রশংসা করল। যুক্তরাষ্ট্র চাচ্ছে শান্তিপূর্ণ যেন হয় এবং জনগণ নির্বাচনে যেতে পারছে সেটিই তাদের প্রধান চাওয়া। সরকার বারবার বলছে, সুষ্ঠু নির্বাচন যেন হয় এ বিষয়ে কাজ করছে। নির্বাচন যতক্ষণ না হয় ততক্ষণ তো বোঝা যাবে না। তবে এটি পরিষ্কার বিরোধী দলের যে দাবি সংবিধান পরিবর্তন করতে হবে সে বিষয়ে তাদের খুব একটা আগ্রহ নেই।

সর্বশেষ খবর