শনিবার, ১৫ জুলাই, ২০২৩ ০০:০০ টা

বাংলাদেশে শক্তিশালী গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়া দেখতে চায় যুক্তরাষ্ট্র

----- হুমায়ূন কবির

নিজস্ব প্রতিবেদক

বাংলাদেশে শক্তিশালী গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়া দেখতে চায় যুক্তরাষ্ট্র

বর্তমান ও ভবিষ্যৎ বাংলাদেশের জন্য যুক্তরাষ্ট্র্র দেশে শক্তিশালী গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়া দেখতে চায় বলে মনে করেন যুক্তরাষ্ট্র্র্রে বাংলাদেশের  সাবেক রাষ্ট্র্রদূত হুমায়ূন কবির। তিনি বলেন, যুক্তরাষ্ট্র যেহেতু বাংলাদেশকে গুরুত্বপূর্ণ অংশীদার মনে করে, তাই তারা চায় এখানকার গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়া শক্তিশালী হোক। এটা শুধু বর্তমানের জন্য নয়, ভবিষ্যতের জন্যও। গতকাল বাংলাদেশ প্রতিদিনের সঙ্গে আলাপচারিতায় তিনি এসব কথা বলেন। হুমায়ূন কবির বলেন, মার্কিন আন্ডার সেক্রেটারি ও অ্যাসিস্ট্যান্ট সেক্রেটারির সফরে দুই-তিনটা বার্তা পরিষ্কার। একটা হলো মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র্র-বাংলাদেশ সম্পর্ক। বোঝা গেল, তারা এ সম্পর্ককে মূল্য দেয়। গত ৫০ বছরে দুই দেশ পারস্পরিকভাবে একে অপরের সহযোগী হিসেবে কাজ করছে, যুক্তরাষ্ট্র তার প্রশংসা করেছে। তারা আশা করছে, আগামী ৫০ বছরে এ সম্পর্ক আরও সমৃদ্ধ হবে। এর মধ্য দিয়ে যে বার্তা পাওয়া গেল আমরা শুধু যুক্তরাষ্ট্রকে বন্ধু হিসেবে দেখি তা নয়, যুক্তরাষ্ট্রও আমাদের বন্ধু হিসেবে মূল্যায়ন করে। পারস্পরিকভাবে দুই দেশই যে এই সম্পর্ক থেকে উপকৃত হই এটার পরিষ্কার স্বীকৃতি আন্ডার সেক্রেটারির বক্তব্য থেকে পাওয়া গেল। আর যুক্তরাষ্ট্র যেহেতু বাংলাদেশকে গুরুত্বপূর্ণ অংশীদার মনে করে, তারা চায় এখানকার গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়া শক্তিশালী হোক। সাবেক এই রাষ্ট্রদূত বলেন, নির্বাচন বিষয়ে তারা মনে করে আলাপ আলোচনার মধ্য দিয়ে এখানকার চলমান অস্থিরতার সমাধান খোঁজা উচিত এবং সেক্ষেত্রে বন্ধু হিসেবে যতখানি সহায়তা করা দরকার তা করতে প্রস্তুত আছে। তারা মনে করে, সুষ্ঠু ও অবাধ নির্বাচন হওয়া উচিত। আলাপ আলোচনার মাধ্যমে এ চ্যালেঞ্জ উত্তরণের জন্য তারা উদ্বুদ্ধ করছে, তাদের ভিসা পলিসির কথাও তারা উল্লেখ করছে। একইভাবে মানুষ যেন স্বাধীনভাবে নির্বাচনে তাদের ভোটাধিকার প্রয়োগ করতে পারে সে বিষয়টাও উল্লেখ করছে। তিনি বলেন, রোহিঙ্গা ইস্যুতে তারা শক্তভাবে আমাদের পাশে আছে এবং থাকবে বলছে। মিলিয়ন ডলার সহযোগিতার কথাও বলেছে। আর সব শেষে তারা মনে করে শান্তিপূর্ণ বাংলাদেশ রাখতে তাদের ইন্দো-প্যাসিফিক স্ট্র্যাটেজিতে বাংলাদেশ ইতিবাচক ভূমিকা পালন করছে। এখানে বাংলাদেশকে তারা পেতে আগ্রহী। হুমায়ূন কবির বলেন, সব মিলিয়ে বোঝা গেল, যুক্তরাষ্ট্র তিনটা ডাইমেনশন নিয়ে কাজ করছে। এক. ভূ-রাজনৈতিক কারণে। দুই, দ্বিপক্ষীয় সম্পর্ক সুদৃঢ় করার জন্য। অভ্যন্তরীণভাবে দেশের কাঠামোকে শান্তিপূর্ণ রাখতে নির্বাচনে গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়াবিষয়ক ধারণা স্পষ্ট করছে। তিন. ইন্দো-প্যাসিফিক স্ট্র্যাটেজির কারণে তারা আমাদের সঙ্গে কাজ করতে আগ্রহী। সেই প্রেক্ষাপটে রোহিঙ্গা ইস্যুকে গুরুত্বপূর্ণ মনে করছে। এই সংকটের সমাধানের পক্ষে মত দিচ্ছেন এবং অবস্থান জানান দেন।

সর্বশেষ খবর