রবিবার, ১৬ জুলাই, ২০২৩ ০০:০০ টা

১০ টাকায় টিকিট কেটে চোখ পরীক্ষা করালেন প্রধানমন্ত্রী

নিজস্ব প্রতিবেদক

সাধারণ রোগীর মতো ১০ টাকায় টিকিট কেটে চোখ পরীক্ষা করালেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। গতকাল সকালে রাজধানীর জাতীয় চক্ষুবিজ্ঞান ইনস্টিটিউট ও হাসপাতাল থেকে তিনি এই সেবা নেন।

প্রধানমন্ত্রী চিকিৎসা নেওয়ার জন্য হাসপাতালে পৌঁছালে হাসপাতালের পরিচালক অধ্যাপক ডা. গোলাম মোস্তফা তাঁকে স্বাগত জানান। এ সময় আরও উপস্থিত ছিলেন প্রধানমন্ত্রীর সাবেক স্বাস্থ্য উপদেষ্টা, বিশিষ্ট চক্ষু বিশেষজ্ঞ অধ্যাপক ডা. সৈয়দ মোদাচ্ছের আলী এবং জাতীয় চক্ষুবিজ্ঞান ইনস্টিটিউট ও হাসপাতালের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা। প্রধানমন্ত্রী চোখ পরীক্ষা শেষে জাতীয় চক্ষুবিজ্ঞান ইনস্টিটিউট ও হাসপাতাল ঘুরে দেখেন এবং এর বিভিন্ন কার্যক্রম সম্পর্কে অবহিত হন। তিনি হাসপাতালে উপস্থিত রোগীদের সঙ্গে কথা বলে তাদের খোঁজখবর নেন। তাদের সুস্বাস্থ্যের জন্য দোয়া করেন এবং তিনিও তাদের কাছে দোয়া চান। হাসপাতাল ত্যাগের আগে প্রধানমন্ত্রী হাসপাতালের চিকিৎসক ও নার্স এবং সেখানে আউটডোর সেবা গ্রহণ করতে আসা লোকজনের সঙ্গেও কুশল বিনিময় করেন। সেই সঙ্গে চিকিৎসা সম্পর্কে খোঁজখবর নেওয়ার পাশাপাশি তাদের সঙ্গে ছবি তোলায় অংশ নেন। উল্লেখ্য, নিয়মিত চেকআপের অংশ হিসেবে আগেও এখানে একাধিকবার ১০ টাকার টিকিট কেটে চিকিৎসা নিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

রাব্বিকে মায়ের কোলে ফিরিয়ে দেওয়ার দায়িত্ব নিলেন প্রধানমন্ত্রী : চিকিৎসা শেষে হাসপাতাল ত্যাগ করার সময় রোগী ও তাদের স্বজন, চিকিৎসক, নার্স, কর্মচারীসহ উপস্থিত সবার সঙ্গে কুশল বিনিময় ও ছবি তুলছিলেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। এ সময় ভিড়ের মাঝে দাঁড়িয়ে থাকা শিশু রাব্বির দিকে দৃষ্টি পড়ে প্রধানমন্ত্রীর। তিনি রাব্বির কাছে এগিয়ে যান। পরম মমতায় তাকে আদর করেন। প্রধানমন্ত্রী শিশু রাব্বির কাছে জানতে চান সে কী করে, কার সঙ্গে হাসপাতালে এসেছে, কোন ক্লাসে পড়ে। উত্তরে ১১ বছর বয়সী রাব্বি জানায়, চক্ষুবিজ্ঞান হাসপাতালের ক্যান্টিনে কাজ করে সে। থাকে সেখানেই। তার বাবা মারা গেছেন। মা রাবেয়া বেগম কাজ করতেন সুতার কারখানায়। এখন সৎবাবা দিনমজুর জাহাঙ্গীর আলমকে নিয়ে বাস করেন চাঁদপুর জেলার সরকারি আশ্রয়ণ প্রকল্পের ঘরে। রাব্বি প্রধানমন্ত্রীকে আরও জানায়, ক্যান্টিনে কাজ নেওয়ার আগে দ্বিতীয় শ্রেণি পর্যন্ত পড়েছে সে। জানায় ফিরে যেতে চায় চাঁদপুরে মায়ের কাছে। আবার পড়াশোনা করতে চায়। রাব্বির কথা শুনে আবেগাপ্লুত হয়ে পড়েন প্রধানমন্ত্রী। রাব্বিকে সান্ত¡না দেন। দায়িত্ব নেন তার পড়াশোনাসহ আনুষঙ্গিক বিষয়ের। চোখের সামনে এমন ঘটনা দেখে এক আবেগঘন পরিবেশের সৃষ্টি হয় সেখানে উপস্থিত মানুষের মধ্যে। রাব্বির বিষয়ে দ্রুত ব্যবস্থা গ্রহণ ও যথাযথভাবে বাস্তবায়নের জন্য সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের প্রয়োজনীয় নির্দেশনা দিয়ে হাসপাতাল ত্যাগ করেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

সর্বশেষ খবর