রবিবার, ১৬ জুলাই, ২০২৩ ০০:০০ টা

চলতি বছর ১০০ জন মারা গেলেন ডেঙ্গুতে

নিজস্ব প্রতিবেদক

রাজধানীসহ সারা দেশে ধারাবাহিকভাবে বাড়ছে ডেঙ্গুজ্বরে আক্রান্তের সংখ্যা। গতকাল এক দিনে আক্রান্ত হয়েছেন ১ হাজার ৬২৩ জন, মারা গেছেন সাতজন। এ পর্যন্ত ডেঙ্গুজ্বরে আক্রান্ত হয়েছেন ১৯ হাজার ৪৫৪ জন। এ বছর ডেঙ্গুর থাবায় প্রাণ হারিয়েছেন ১০০ জন।

স্বাস্থ্য অধিদফতর সূত্রে জানা যায়, গতকাল আক্রান্তের মধ্যে ঢাকায় ১ হাজার ১৬৮, ঢাকার বাইরে ৪৫৫ জন। ঢাকায় আক্রান্তের মধ্যে মারা গেছেন চারজন, ঢাকার বাইরে তিনজন। এ পর্যন্ত ঢাকায় আক্রান্ত হয়েছেন ১৩ হাজার ১০৯ জন, ঢাকার বাইরে ৬ হাজার ৩৪৫ জন। এ পর্যন্ত ঢাকার হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন ৩ হাজার ২৩৮ জন, মারা গেছেন ৭৮ জন। ঢাকার বাইরের হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন ১ হাজার ৭০৯ জন, মারা গেছেন ২২ জন। গতকাল হাসপাতাল থেকে সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরে গেছেন ৮০৯ জন। এ পর্যন্ত হাসপাতাল থেকে সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরে গেছেন ১৪ হাজার ৪০৯ জন। হাসপাতালগুলোয় প্রতিদিনই নতুন করে ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে ভর্তি হচ্ছেন রোগী। বিভিন্ন বয়সী রোগীর ভিড় সামলাতে হিমশিম অবস্থায় পড়েছেন চিকিৎসক, নার্স ও স্বাস্থ্যকর্মীরা। শয্যার বেশি রোগী ভর্তি থাকায় মেঝেতে রেখে চলছে চিকিৎসা। দিনরাত সেবা দিয়ে যাচ্ছেন তারা। ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে বর্তমানে চিকিৎসাধীন আছেন ২৯৪, মিটফোর্ড হাসপাতালে ২২৪, শিশু হাসপাতালে ৭৫, শহীদ সোহরাওয়ার্দী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ৮৫, পুলিশ হাসপাতালে ১১৩ জন। সবচেয়ে বেশি রোগী ভর্তি আছেন মুগদা জেনারেল হাসপাতালে, ৫৪৮ জন। রাজধানীর সরকারি হাসপাতালে ভর্তি আছেন ১ হাজার ৮২১ জন। বেসরকারি হাসপাতালে ভর্তি আছেন ১ হাজার ৪১৭ জন। ঢাকা বিভাগে আক্রান্ত হয়ে বর্তমানে হাসপাতালে চিকিৎসাধীন আছেন ৪৪৬, ময়মনসিংহ বিভাগে ৮০, চট্টগ্রাম বিভাগে ৫৮৪, খুলনা বিভাগে ১১৭, রাজশাহী বিভাগে ৪৪, রংপুর বিভাগে ৫২, বরিশাল বিভাগে ৩৫৭, সিলেট বিভাগে ২৯ জন। ঢাকার বাইরে বাড়ছে রোগীর সংখ্যা।

নিজস্ব প্রতিবেদক, বরিশাল জানান, বরিশাল শের-ই-বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন ডেঙ্গু রোগীর চাপ বাড়ছে। গতকালের রিপোর্ট অনুযায়ী এ হাসপাতালের চারটি মেডিসিন ওয়ার্ডে চিকিৎসাধীন ছিলেন ১২৪ জন রোগী; যা চলতি মৌসুমে সর্বোচ্চসংখ্যক ডেঙ্গু রোগী চিকিৎসাধীন থাকার রেকর্ড। রোগীর চাপ বাড়লেও এ হাসপাতালে রোগীর জন্য সুযোগ-সুবিধা কিছুই বৃদ্ধি করা হয়নি। ডেঙ্গু রোগীর সব পরীক্ষানিরীক্ষা করাতে হয় বাইরে। হাসপাতাল থেকে জ্বর আর গ্যাস্ট্রিকের ওষুধ দেওয়া হলেও বাকি সব ওষুধ বাইরে থেকে কিনতে হয় তাদের। ডেঙ্গু চিকিৎসার প্রয়োজনীয় যন্ত্রপাতি না থাকায় গুরুতর রোগীদের ঢাকায় পাঠিয়ে দেন চিকিৎসকরা। এ বিষয়ে শের-ই-বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের পরিচালক ডা. এইচ এম সাইফুল ইসলাম বলেন, চলতি মৌসুমে ডেঙ্গু রোগীর চাপ আরও বাড়তে পারে আশঙ্কায় আরও ১০০ শয্যা প্রস্তুত রাখা হয়েছে। কর্তৃপক্ষ প্রয়োজনীয় জনবল ও যন্ত্রপাতি দিলে এ হাসপাতালেই ডেঙ্গু রোগীর চিকিৎসা সম্ভব বলে তিনি জানান।

সর্বশেষ খবর