সোমবার, ১৭ জুলাই, ২০২৩ ০০:০০ টা

আসছেন আরেক মার্কিন সেক্রেটারি

সফর করবেন ইইউর মানবাধিকার বিষয়ক বিশেষ প্রতিনিধিও

কূটনৈতিক প্রতিবেদক

আসছেন আরেক মার্কিন সেক্রেটারি

জোসে ডব্লিউ ফার্নান্দেজ

একজন মার্কিন আন্ডার সেক্রেটারির সফর শেষ হতে না হতেই মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের আরেকজন আন্ডার সেক্রেটারির সফর নিয়ে আলোচনা চলছে। মার্কিন পররাষ্ট্র দফতরের অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি, জ্বালানি ও পরিবেশ বিষয়ক আন্ডার সেক্রেটারি জোসে ডব্লিউ ফার্নান্দেজের ঢাকা সফর এখনো নিশ্চিত নয়। তবে চলতি মাসের শেষ সপ্তাহে এই সফর আয়োজন নিয়ে আলোচনা চলছে। তবে ইউরোপিয়ান ইউনিয়নের মানবাধিকার বিষয়ক বিশেষ প্রতিনিধি ইমোন গিলমোরের ঢাকা সফর এরই মধ্যে নিশ্চিত হয়েছে। তিনি আসবেন এ মাসের শেষ সপ্তাহেই।

জানা যায়, সম্প্রতি ঢাকা সফর করে যাওয়া মার্কিন কর্মকর্তা উজরা জেয়ার সমমর্যাদার কর্মকর্তা ফার্নান্দেজ অর্থনৈতিক সম্পর্কের বিষয়াদি দেখাশোনা করেন। ঢাকায় তার সফরের সময় বাংলাদেশ-যুক্তরাষ্ট্র ব্যবসায়ী পরিষদের বৈঠকে যোগ দেওয়ার কথা। বৈঠক হবে প্রধানমন্ত্রীর বেসরকারি শিল্প ও বিনিয়োগবিষয়ক উপদেষ্টা সালমান এফ রহমানের সঙ্গে। গত বছর ওয়াশিংটনে অনুষ্ঠিত বাংলাদেশ-যুক্তরাষ্ট্র পরিষদের বৈঠকেও ফার্নান্দেজ যুক্তরাষ্ট্রের প্রতিনিধিদের নেতৃত্ব দিয়েছেন। সূত্র জানায়, ফার্নান্দেজের সফর এখনো বাংলাদেশের শ্রম আইন সংশোধন ইস্যুতে আটকে আছে। যুক্তরাষ্ট্র শ্রম আইনে তিনটি সংশোধনের দাবি তুলেছিল। এর মধ্যে দুটি ইতোমধ্যেই হয়েছে, একটি বাকি রয়েছে। এই বিষয়ে আলোচনায় সফরের ভাগ্য নির্ধারণ হবে।

সূত্রমতে, এই সফরে ইউএস ইন্টারন্যাশনাল ডেভেলপমেন্ট ফাইন্যান্স করপোরেশন (ডিএফসি) থেকে বাংলাদেশকে শর্তযুক্ত ঋণ দেওয়ার বিষয়ে আলোচনা হতে পারে। যুক্তরাষ্ট্রভিত্তিক এই তহবিল জ্বালানি, স্বাস্থ্য, অবকাঠামো ও তথ্যপ্রযুক্তি খাতে কম সুদে, দীর্ঘমেয়াদি ও ক্ষেত্রবিশেষে সুদবিহীন বড় অঙ্কের অর্থায়ন করে থাকে। তবে এই বিনিয়োগের ক্ষেত্রে পরিবেশ, গণতন্ত্র, মানবাধিকার, পরিবেশ ও শ্রম অধিকারের ব্যাপারে যুক্তরাষ্ট্রের সন্তুষ্টি অর্জন করতে হয়। গণতন্ত্র, মানবাধিকার ও শ্রম অধিকার পরিস্থিতি রুগ্্ণ থাকা কোনো দেশে ডিএফসি তহবিল দেয় না।

অন্যদিকে ইউরোপিয়ান ইউনিয়নের মানবাধিকার বিষয়ক বিশেষ প্রতিনিধি ইয়োন গিলমোরও চার দিনের সফরে ঢাকা আসছেন ২৩ জুলাই। আয়ারল্যান্ডের সাবেক এই উপ-প্রধানমন্ত্রী এর আগে ২০১৮ সালে বাংলাদেশ সফর করেছিলেন। এবার তিনি সফরে রোহিঙ্গা ইস্যুকেই বেশি গুরুত্ব দেবেন বলে জানিয়েছেন সংশ্লিষ্টররা। তিনি কক্সবাজার গিয়ে রোহিঙ্গা শিবির পরিদর্শন করবেন। এ ছাড়া সরকারের শীর্ষ পর্যায়ের কর্মকর্তা, সুশীল সমাজ, গণমাধ্যমের সঙ্গে আলোচনা করবেন। বাংলাদেশে সুনির্দিষ্ট কোনো মানবাধিকার বিষয় নিয়ে তিনি সফর করছেন না বলে জানিয়েছে ঢাকাস্থ ইইউ আবাসিক প্রতিনিধির কার্যালয় সূত্র।

সর্বশেষ খবর