সোমবার, ১৭ জুলাই, ২০২৩ ০০:০০ টা

রাজধানীতে জেপির কেন্দ্রীয় নেতা খুন

নিজস্ব প্রতিবেদক

জাতীয় পার্টি-জেপির কেন্দ্রীয় নেতা সালাম বাহাদুর খুন হয়েছেন। শনিবার দিবাগত রাতে রাজধানীর শহীদ সোহরাওয়ার্দী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের সামনে থেকে অজ্ঞাত অবস্থায় তার লাশ উদ্ধার করে মর্গে পাঠায় পুলিশ। পরে সেখানে গিয়ে সালাম বাহাদুরের লাশ শনাক্ত করেন তার স্বজনরা। হত্যায় ব্যবহৃত গাড়িটি শনাক্ত হলেও তাকে কোথায়, কখন হত্যা করা হয়, ঘটনায় কে বা কারা জড়িত তা গতকাল পর্যন্ত জানতে পারেনি পুলিশ। হাসপাতালে লাশ নিয়ে আসা গাড়িতে এক তরুণীর উপস্থিতি নানা প্রশ্নের উদ্রেক করেছে তদন্ত সংশ্লিষ্টদের।

জাতীয় পার্টির (মঞ্জু) মহাসচিব শেখ শহীদুল ইসলাম বলেন, আবদুস সালাম বাহাদুর দলের অর্থ সম্পাদক ছিলেন। তিনি সড়ক ও জনপথ বিভাগে ঠিকাদারি করতেন। এরশাদ সরকারের সময় তিনি জগন্নাথ কলেজে ছাত্র নেতা ছিলেন। পরে জেপি হওয়ার পর তিনি কিছুদিন দলের যুব সংগঠন যুব সংহতিতে ছিলেন। পরে মূল পার্টিতে যোগ দেন। জানা গেছে, নিহত সালাম বাহাদুরের বাড়ি পিরোজপুরের ইন্দুরকানিতে। শনিবার বেলা ১টার দিকে ধানমন্ডি ২৭ নম্বরের বাসা থেকে বের হন তিনি। এরপর থেকে তার মোবাইল ফোন বন্ধ ছিল। এ ঘটনায় নিহতের ছোট ভাই আবদুল করিম খলিফা বাদী হয়ে অজ্ঞাতনামা কয়েকজনকে আসামি করে শেরেবাংলা নগর থানায় একটি হত্যা মামলা করেছেন। ঘটনাস্থলের আশপাশের লোকজনের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, শনিবার গভীর রাতে একটি প্রাইভেট কার থেকে সালাম বাহাদুরের লাশটি শহীদ সোহরাওয়ার্দী মেডিকেলের সামনের সড়কে ফেলা হয়। পরে গাড়িটি নিয়ে পালিয়ে যায় দুর্বৃত্তরা। এ সময় গাড়িতে অল্প বয়সী দুজন ছিলেন। তাদের মধ্যে এক তরুণীও ছিল। তবে ঘটনায় জড়িতদের গতকাল সন্ধ্যা পর্যন্ত গ্রেফতার করা যায়নি। 

এ বিষয়ে জানতে চাইলে শেরেবাংলা নগর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) উৎপল বড়ুয়া বলেন, কে বা কারা, কী কারণে সালাম বাহাদুরকে হত্যা করেছে এ নিয়ে তদন্ত চলছে।

সম্ভাব্য কয়েকটি কারণ সামনে রেখে ঘটনার তদন্ত চালাচ্ছে পুলিশ। যেখানে তার লাশ ফেলা হয়, সেখানকার সিসিটিভি ফুটেজ দেখে এরই মধ্যে গাড়িটি শনাক্ত করা হয়েছে।

লাশের পায়ে ছুরিকাঘাতের চিহ্ন রয়েছে জানিয়ে তিনি বলেন, এতে ধারণা করা হচ্ছে, তাকে ছুরি মেরে হত্যা করা হয়। তার লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য সোহরাওয়ার্দী মেডিকেল কলেজ মর্গে পাঠানো হয়েছে।

সর্বশেষ খবর