সোমবার, ১৭ জুলাই, ২০২৩ ০০:০০ টা

তিন চিকিৎসকের মুক্তি দাবি, দুই দিন চেম্বার বন্ধ

নিজস্ব প্রতিবেদক

সেন্ট্রাল হাসপাতালের ডা. মুনা, ডা. মিলি ও ডা. শাহজাদীর নিঃশর্ত মুক্তির দাবিতে মানববন্ধন ও প্রতিবাদ সমাবেশ করেছেন ওজিএসবি ও বাংলাদেশের সব সোসাইটির চিকিৎসকরা। গতকাল ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালের বাগান গেটের সামনে এ মানববন্ধন ও প্রতিবাদ সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়। ঢাকা মেডিকেল কলেজের শিক্ষক সমিতির সাধারণ সম্পাদক ডা. আহমেদ হোসেন চৌধুরী বলেন, আমরা রোগীদের সুস্থ করার জন্যই এ পেশায় নিজেদের নিয়োজিত করেছি। আমরা যদি প্রথমেই সিদ্ধান্ত নিই রোগী বাঁচবে না তাহলে তো তার চিকিৎসাই হবে না। আমরা চেষ্টা করি রোগীকে সুস্থ করে তুলতে। এক্ষেত্রে কোনো রোগী সম্পূর্ণ সুস্থ হয়ে ওঠেন আবার কেউ মারাও যান। এ জন্য যদি প্রথমেই আমাদের দায়ী করা হয়, তাহলে আমরা চিকিৎসাসেবা দেব কী করে। এ বিষয়টি সামনে রেখেই আজ আমাদের এ প্রতিবাদ সমাবেশ। তিনি বলেন, আমাদের যে তিন চিকিৎসক কারাগারে আছেন আমরা তাদের নিঃশর্ত মুক্তি দাবি করছি। ইতোমধ্যেই স্বাস্থ্য অধিদফতরের একটি তদন্ত কমিটি গঠন হয়েছে। তারা এ বিষয়টি নিয়ে কাজ করছে। কিন্তু এ চিকিৎসকরা দোষী কি না সে বিষয়টি জানার আগেই তাদের কারাগারে রাখা হয়েছে। গাইনি বিভাগের বিভাগীয় প্রধান ডা. শিখা গাঙ্গুলী বলেন, আমরা সব সময় চেষ্টা করি রোগীদের আন্তরিকভাবে চিকিৎসা দেওয়ার। চিকিৎসাসেবা দিতে গিয়ে আমাদের বিভিন্ন বাধ্যবাধকতা থাকে। সেবা দিতে গিয়ে রোগীর শরীরে বিভিন্ন রকম ক্রিটিকাল অবস্থা তৈরি হয়। সেগুলো মাথায় নিয়েই তাদের চিকিৎসাসেবা দিতে হয়। আমরা চেষ্টা করি রোগীদের বাঁচানোর জন্য, তবে অনেক সময় সেটি সম্ভব হয় না। কিন্তু সে ক্ষেত্রে যদি আমাদের হয়রানি, মামলা-হামলার শিকার হতে হয় সেটি খুবই দুঃখজনক।  তিনি বলেন, আমাদের এ প্রতিবাদ সমাবেশ চালাতে গিয়ে কোনো রোগীর চিকিৎসায় যাতে ব্যাঘাত না ঘটে সেদিকে শতভাগ মনোযোগ দিয়েই আমরা এক ঘণ্টার জন্য এ কর্মসূচি নিয়েছি। আর এ জন্য বাংলাদেশের সব চিকিৎসালয়ের চিকিৎসকরা তাদের নিজ নিজ প্রতিষ্ঠানের সামনে এ প্রতিবাদ সমাবেশ করবেন। এ সময় হাসপাতালের অধ্যাপক, সহযোগী অধ্যাপক, কনসালটেন্ট ও বিভিন্ন চিকিৎসকরা উপস্থিত ছিলেন। দুই চিকিৎসককে গ্রেফতারের প্রতিবাদে আজ ও আগামীকাল সারা দেশে প্রাইভেট চেম্বার ও অপারেশন বন্ধ রাখার ঘোষণা দিয়েছে অবস্ট্রিক্যাল অ্যান্ড গাইনিকোলজিকাল সোসাইটি বাংলাদেশ (ওজিএসবি)। আগামীকাল আবারও বিএমএর সঙ্গে বসে পরবর্তী আন্দোলনের সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হবে।

সর্বশেষ খবর