জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক কীটতত্ত্ববিদ অধ্যাপক কবিরুল বাশার বলেছেন, রাজধানী ঢাকার মশা নিয়ন্ত্রণে সমন্বিত মশক নিয়ন্ত্রণ ব্যবস্থাপনায় মনোযোগ দিতে হবে বিষয়টি আমি বারবার বলে আসছি। লার্ভিসাইডিংয়ে জোর দিলে এডিস মশা নিয়ন্ত্রণ করা সম্ভব বলে জানান তিনি। গতকাল বাংলাদেশ প্রতিদিনকে তিনি আরও বলেন, এ ক্ষেত্রে চারটি বিষয়ের ওপর গুরুত্ব দিতে হবে। সেগুলো হলো- পরিবেশগত নিয়ন্ত্রণ, বায়োলজিক্যাল কন্ট্রোল, কেমিক্যাল বা কীটনাশক কন্ট্রোল এবং কমিউনিটি পার্টিসিপেশন। কীটনাশক প্রয়োগের ক্ষেত্রে লার্ভিসাইডের দিকে আমরা জোর দিতে বলেছিলাম। ফগিংয়ে যতটুকু না মশা মারা যায়, তার চেয়ে জনমানুষের ক্ষতি বেশি হয়। এডিস মশা নিয়ন্ত্রণে এখন কী ধরনের সিদ্ধান্ত নেওয়া প্রয়োজন জিজ্ঞাসা করলে কবিরুল বাশার বলেন, ‘এখন হটস্পট ম্যানেজমেন্টে জোর দিতে হবে। হাসপাতাল থেকে ডেঙ্গু আক্রান্ত রোগীর ঠিকানা নিয়ে হটস্পট শনাক্ত করতে হবে। এরপর ওই জায়গায় ক্র্যাশ প্রোগ্রাম নিয়ে উড়ন্ত মশা নিধন করতে হবে। যেসব জায়গায় রোগী নেই, সেখানে লার্ভা শনাক্ত ও ধ্বংস করতে হবে। এ কাজে জনগণকে সম্পৃক্ত করে সচেতনতা বাড়াতে হবে।’